আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা।আম কম বেশি প্রায় সবাই পছন্দ করে থাকে। আমাদের আশেপাশে এমন লোক খুজেই পাওয়া যাবে না যে আম পছন্দ করে না। আমরা সবাই পাকা আম পছন্দ করে থাকি। তবে পাকা আম এর পাশাপাশি কাঁচা আমেও কিন্তু প্রচুর পরিমান পুস্টিগুন রয়েছে। কাঁচা আম এর নাম শুনলেই মুখে জ্বল চলে আসে। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব,এই কাঁচা আম এর উপকারিতা গুলো। কাঁচা আম লবন দিয়ে খেতে অনেকে পছন্দ করে থাকে। পাকা আম তো আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি। কাঁচা পাকা উভয় আমে ই পুস্টিগুন রয়েছে। তবে আজকে আপনাদের জানাব,কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতাগুলোঃ

১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ

কাঁচা আমে পাকা আমের তুলনায় অনেক বেশি গুনে ভিটামিন-সি বৃদ্ধমান আছে। এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা ও কাচা আমে বেশি রয়েছে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে এই কাঁচা আম।

২) স্ট্রকের সমস্যাঃ

কাঁচা আম স্ট্রকের সমস্যা দূর করে। কাঁচা এর সাথে চিনি,জিরা,লবন এগুলা মিশিয়ে খেলে স্ট্রক এর ঝুকি অনেক গুন কমে যায়। ও ঘামাচি ও রোধ হয়।

৩) ঘাম কমায়ঃ

কাঁচা আম এর জুস খেলে ঘাম কমে যায়। যাদের অতিরিক্ত ঘাম হয়ে থাকে,তারা এই কাঁচা আমের জুস খেলে অনেক গুন কমে যায় ঘাম।

৪) এনার্জি প্রদান করেঃ

কাঁচা আম প্রচুর এনার্জি প্রদান করে থাকে। যাদের শরীরে এনার্জির মাত্রা কম তারা প্রচুর কাঁচা আম খেতে পারেন।

৫) লিভারের সমস্যায়ঃ

লিভারের সমস্যার ভাল একটু কার্যকারী হলো এই কাঁচা আম। লিভার ভাল রাখতে কাঁচা আম প্রচুর ভুমিকা পালন করে থাকে।

৬) মাড়ির রক্ত পড়া প্রতিরোধ করেঃ

কাঁচা আমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে,যা মাড়ির রক্ত পড়া সমস্যা ভাল ভুমিকা রাখে। আমাদের সবার কাঁচা আম খেতে হবে।

৭) ওজন কমায়ঃ

কাঁচা আম এ চিনির পরিমান কম থাকে,যার ফলে ওজন কমাতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে। ক্যালরি খরচে সাহায্য করে এই কাঁচা আম।

৮) পেটের সমস্যাঃ

কাঁচা আম পেটের সমস্যা দূর করে থাকে।অনেক সময় আমাদের পেটের সমস্যা হয়ে থাকে। ডায়রিয়া, আমাশয়,বদহজম এই সমস্ত সমস্যায় কাঁচা আম খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।

৯) পানির ঘাটতি রোধ করেঃ

এই গরমে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমান পানির ঘাটতি দেখা দেয়৷ কাঁচা আম খেলে পানির ঘাটতি অনেকটা কমে যায়।

১০) এসিডিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেঃ

অনেকে এসিডিটি সমস্যায় ভুগছেন, যাদের এই সমস্যা আছে তারা কাঁচা আম খেলে ভাল উপকার পাবেন।

১১) যকৃতের জন্যঃ

কাঁচা আমে প্রচুর পরিমান আয়রন বৃদ্ধমান থাকে।যা যকৃতের স্বাস্থ রক্ষায় প্রচুর পরিমান ভুমিকা পালন করে।

১২) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ

কাঁচা আম হলো ফাইবার সমৃদ্ধ। যাদের এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে,তারা কাঁচা আম খেলে ভাল ফল পাবেন।

১৩) ভিটামিন-সি বৃদ্ধমানঃ

কাঁচা আমে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-সি বৃদ্ধমান রয়েছে। ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পুরন করে থাকে এই কাঁচা আম।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ

Leave a Reply