আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর সহজ 3 টি উপায়

এ ভাই এই কাজটা করে দেনা। একদমি সময় হয়না ভাই। এই কাজটা করে দে ভাই। আরে ভাই একদমি সময় পাইনা ভাই। কি করে যে সময়টাকে মেনেজ করি। তো আজকের এই আর্টিকেলে টাইম ম্যানেজমেন্ট এর কিছু টিপস জানবো

Brian Tracy এর লেখা Eat That Frog বইতে থেকে। যিনি একজন ইন্টারন্যাশনাল মোটিভেশনাল স্পিকার, self-development, অথার এন্ড লিডারশিপ কনসালটেন্ট আর যে টিপস গুলোকে ফলো করে আমিও লাইফ এ অন্য সমস্ত সাইটকে ব্যালেন্স করার সাথে সাথে রেগুলারলি আর্টিকের লেখে সাইটে পোস্ট করি। আর আমার মতই আপনারাও এই টিপস গুলিকে আপনার লাইফে কাজে লাগাতে পারবেন।

তার জন্য বলা যায় আমি প্রত্যেকদিন যতক্ষণ না এটা সিদ্ধান্ত নিন আজকের আর্টিকেলটি কোন টপিকের উপর হবে ততক্ষণ আমি আমার সময় গুলো কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি না বিভিন্নভাবে ডিসক্রেক্টেট হতে থাকি। কিন্তু যখনই একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরই আর্টিকেল লিখবো তখন সাথে সাথেই ওই সিদ্ধান্তের উপর কাজ শুরু করতে পারি আর এমনটা আপনার সাথে নিশ্চয়ই ঘটেছে।

কোন একদিন সকালে আপনি খুব মোটিভেট হয়ে ঘুম থেকে উঠলেন এবং ভাবলেন আজ ম্যাক্সের কুড়িটি প্রবলেম সলভ করব। ব্রেকফাস্ট কমপ্লিট করার পর আপনার মনে পড়ল ওহো বাংলার কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়া হয়নি ভূগোলটাে তো পড়তে হবে আর এগুলো ভাবতে ভাবতে আপনার আসল পড়া বা অন্য যেকোনো কাজের টাইম টাই পেরিয়ে যায়।

আর এই সময়ে যদি ফোনে ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপের কোন নোটিফিকেশন আসে তাহলে তো হয়েই গেলো অর্থাৎ আসল প্রবলেমটি হলো যে আপনি এই বিষয়ে ক্লিয়ার নন যে এগজ্যাক্টলি কোনটা করতে চান। তাই অথর বলেছেন→ অ্যাডফাস্ট ডিসাইড এক্সাক্টলি হোয়াট ইউ ওয়ান্ট অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নিন আপনি আসলে কোনটা করতে চান।

একটি স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিন এবং তারপর সে একটি কাগজে লিখে ফেলুন যে আজ আমি ওই কাজগুলো করব যেমন নাম্বার ওয়ান Maths নাম্বার টু সাইন্স ইত্যাদি আর এতে আপনার মাইন্ড একটি পরিস্কারভাবে সিগন্যাল যায় যাতে আপনার কনফিউজড হবেন না যে কোন কাজটা করব আর কোন কাজটা করব না।

টিপস নাম্বার ওয়ান সবসময় কাগজে লিখে সিদ্ধান্ত নিন অর্থাৎ নোট ডাউন করুন সারাদিন আমার প্রথম কাজ হলো দিনের বিশেষ বিশেষ কাজগুলোকে লিখে ফেলা যেমন প্রথমে আর্টকেল লিখতে হবে তারপর লাঞ্চ করতে হবে বা বাড়ির কোন দরকারি কাজে বাইরে যেতে হবে অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেক দিনের প্লেনে আগে থেকে করা উচিত।

আর আমি প্রত্যেক দিনের শুরুতেই এই বিশেষণগুলো একটি বোর্ডে নোট ডাউন করি সেই মতো এক এক করে কাজ গুলো কমপ্লিট করি কারণ খাতায় লিখলে বারবার খাতা ওপেন করে সেটা দেখতে হবে। কিন্তু বোর্ডে লেখা থাকলে সেটা সবসময় আমার চোখের সামনে থাকায় আমি সহজে ডিসকানেক্ট হয়ে পড়ি না। আর আপনার কাছে নিশ্চয়ই বোর্ড নেই।

তাই আপনি খাতায় লিখে স্টার্ট করতে পারেন এবং পরবর্তীতে সম্ভব হলে একটি হোয়াইট বোর্ড ও কিনে নিজের ঘরে রাখতে পারেন। আর আপনি যদি রেগুলারলি এটা করেন তাহলে আপনার দুটো লাভ হবে। প্রথমত আপনি কোন কাজ করতে ভুলে যাবেন না। কারণ অনেক সময় আমরা একটা কাজে বিজি হয়ে অন্য কাজ করতে ভুলে যায়। এবং দ্বিতীয়তো আপনার মাইন্ড একটা ডিসিপ্লিন এর মধ্যে থাকবে যে আজ আপনাকে এই এই কাজগুলি করতেই হবে।

যা আপনাকে ওই কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য একটি এনার্জেটিক মনে রাখবে। অর্থাৎ টিপস নাম্বার টু সারা দিনের প্ল্যানিং দিনের শুরুতেই করে ফেলুন। এবার অনেকেই ভাবছেন যে সারাদিনের প্লেনিং তো করব কিন্তু কোন কাজটি আগে করবো এর জন্য আপনাকে এই রুলটি এপ্লাই করতে হবে। আমরা যে কাজই করি না কেন সেই কাজের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সেই কাজ থেকে বেরিয়ে আসা আউটকাম বা রেজাল্ট।

যেমন আমার কাছে সারা দিন ফেসবুকে ইনস্টাগ্রামে লোকের ছবি বা স্ট্যাটাস চেক করার থেকে কার্যকরী কোন কনটেন্ট বানিয়ে সাইটে পোস্ট করে মানুষের হেল্প করে পাওয়া আউটকামটি বেশি ইম্পর্টেন্ট। তেমনই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে শুয়ে শুয়ে 30 মিনিট মোবাইল ঘাটা থেকেও বেশি ইম্পর্টেন্ট আউটকাম আমি পাই সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রার্থনা করে এবং অল্প কিছু এক্সারসাইজ।

আর এভাবেই আপনিও নিজের কাছে প্রশ্ন করে জেনে নিন যে কোন কাজ গুলো আপনার কাছে বেশি ইম্পর্টেন্ট আর এই সময় কোন কাজকে চুস করার আগে একটা কথা মাথায় রাখবেন যে শর্টাম বেনিফিট থেকে long-term বেনিফিট আমাদের বেশি ফোকাস করা উচিত। অর্থ টিপস নাম্বার তৃতীয় হলো Decide What is More Important For You And Work According To That Schedule

Brian Tracy লেখা Eat That Frog বইটিতে আর অনেক টিপস রয়েছে বাট আমি পার্সোনালি এই তিনটি সবথেকে বেশি ফলো করি অর্থাৎ নাম্বার ওয়ান দিনের বেশিরভাগ মেজর ডিসিশন গুলি আমি নোট ডাউন করে ফেলি। নাম্বার টু আজ আমি কি করবো বা কখন কখন করব সেই সিডিউল ঘুম থেকে উঠাই তৈরি করে ফেলি এবং সে অনুযায়ী কাজ করি।

নাম্বার তৃতীয় যে কাজগুলি আমার জন্য সবথেকে বেশি ইম্পর্টেন্ট সেই কাজগুলো আমি সবার আগে করি অর্থাৎ যদি একটু ভালো করে দেখা হয় তাহলে টাইম ম্যানেজমেন্ট বলতে আলটিমেটলি বোঝায় নিজেকে ম্যানেজ করা। কারণ আমরা কোন জিনিস কখনই টাইমকে কন্ট্রোল করতে পারি না কিন্তু আমরা চাইলেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি। তাই self-management হল আসল টাইম ম্যানেজমেন্ট

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

Leave a Reply