আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
নিজের স্বপ্নগুলো বাস্তবে পরিণত করতে শিখুন
প্রত্যেক মানুষের জীবনে এমন কোন স্বপ্ন থাকে যার জন্য সে বেঁচে থাকতে চায় ।তার সব সময় মনে হয় ইস যদি আমার শুধু এই আসাটা সত্যি হয়ে যেত কত ভালো হতো। সেই স্বপ্ন ছোট-বড় যাই হোক না কেন ওই মানুষটার জন্য তার ঐ স্বপ্নটা সবসময়ই অনেক বড়। আর এজন্য তার মাথায় প্রথমেই যে কথাটা আসে তাহলে আমার এই ড্রিম ফুলফিল হওয়া তো অনেক কঠিন ব্যাপার।আর ফিফটি পার্সেন্ট লোক এটুকু ভেবেই আশা ছেড়ে দেয়। আর যদি আপনিও তাদের মধ্যে কেউ হন তো আপনাকে একটা প্রশ্ন করি।
আপনি সাঁতার কাটতে জানে…? যদি না জানেন তো সাঁতার আপনার জন্য কঠিনই মনে হবে। কিন্তু যে লোকটা খুব ভালো সাঁতার কাটতে জানে তার কাছে কিন্তু সাঁতার কাটা খুবই সহজ একটা কাজ। আপনি যদি তাকে জিজ্ঞেস করেন তো সেই হয়তো আপনাকে উত্তর দেয় আরে ভাই সুইমিং এর চেয়ে সহজ কাজ আছে নাকি। অর্থাৎ কোনো কাজই সহজ না আবার কঠিনও না এই দুটোই ইলিউশন। যে মানুষটার যেটা পছন্দ সে সেটাই বেছে নেয়।
আপনি কোনটা বেছে নেবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আর যদি আপনি কঠিন ভাবেন তো আস্তে আস্তে আপনার জন্য কঠিনই হতে থাকবে। আর যদি সহজ ভাবেন আজ হোক বা কাল আপনার জন্য সহজ হতে থাকবে। তো যেকোনো ইলিউশন বা ড্রিমকে রিয়েলিটি বানাতে হলে প্রথম কাজ হলো মেনে নেওয়া হ্যাঁ এটা সহজ। এটা আমার দ্বারা সম্ভব।
সেকেন্ড স্টেপ তাহলে আপনি তো মেনে নিয়েছেন যে কাজটা সহজ তারমানে আপনি নীল রঙের একটা ইলিউশন এর চশমা পড়ে নিয়েছেন। এতে করে আপনার চারপাশের সবকিছুই নীল অর্থাৎ সহজ দেখতে লাগবে। তো এখন যদি আমি আপনাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি যে ভাই এই পৃথিবীটাকে নীল দেখতে। আপনি বলবেন না আসলে আমি নীল রঙের চশমা পড়েছি তো তাই আমার কাছে নীল লাগছে। অর্থাৎ আপনার ইলিউশন এখনো রিয়েলিটিতে পরিণত হয়নি।
কিন্তু এই চশমা যদি আপনি কুড়ি বছর ধরে পড়ে থাকেন এবং কোনদিনই না খোলেন। তখন যদি আমি আপনাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি ভাই দুনিয়াটা কি নিল তখন কিন্তু আপনি হ্যাঁ দুনিয়াটা নীল। কারণ ততদিনে আপনি ভুলে যাবে যে আপনি চশমা পড়ে আছেন। তো আপনার দ্বিতীয় কাজ হল দীর্ঘ সময় ধরে ইল্যুশানের উপর ফোকাস করতে থাকা। তো এখন আমরা জেনে গেলাম ফোকাস সবসময় ইল্যুশানের ওপর ধরে রাখতে হবে।
কিন্তু জানার পরেও আমরা সেটা করতে পারি না। কেন কারন হল আমরা আমাদের কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে কিছু করতে চাই না। কেন বের হতে চায় না। কারণ কম্ফর্ট জনে বিভিন্ন মজাদার দেস্ট্রাকশনস রয়েছে যেগুলো আমাদের সবসময় ব্যস্ত করে রাখে। যেমন ধরুন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিভিশন ইত্যাদি এতগুলো ডিস্ট্রাকশন এর মধ্যে আমরা কিভাবে আমাদের ফোকাস একটা জিনিসের উপর ধরে রাখতে পারি।
এর দুটো সমাধান রয়েছে আপনি আপনার পরিবেশটা বদলে ফেলতে পারেন। যেমনটা একজন এথলেট করে। একজন এথলেট যখন গোল্ড মেডেল দিতে চায় তখন তাকে ঘরের চেয়ে বেশি সময় স্টেডিয়ামে কাটাতে হয়। কিন্তু এই সমাধানটা আমাদের অধিকাংশ লোকের পক্ষে সম্ভব না।অর্থাৎ আপনি আপনার ঘর ছেড়ে পাহাড়ে যেতে পারেন না। কিংবা অফিস যাওয়া বন্ধ করতে পারেন না।
আর অফিসে গেলে তো সেখানে পলিটিক্স নিয়ে আলোচনা হবেই। তো এই রাস্তাটা সবার জন্য না। এবার দ্বিতীয় রাস্তাটা হলো আপনার ভেতরের এনভারমেন্ট বদলে ফেলা ভেতরের এনভারমেন্ট বদলে ফেলতে পারলে যত ধরনের ডিস্ট্রাকশন আসুক না কেন আপনি ডিস্টার্ব হবেন না। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে এর জন্য তিনটি সিম্পেল স্টেপ রয়েছে।
এক সবার প্রথমে আপনাকে আপনার ভয় ক্লিয়ার করতে হবে। মানে আপনি যে কাজটা করতে যাচ্ছেন সেটা কেন করবেন। আপনি কি ভেতর থেকেই কাজটা করতে চাইছেন নাকি বাইরে থেকে কেউ আপনাকে পুষ করছে। কাজটা করার জন্য আপনার উদ্দেশ্য কি। কাজটা করার কি আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে নাকি নেই সেটা ক্লিয়ার করা।
তারপর সেকেন্ড স্টেপ হল কোথায় বা কোন বিষয়টাতে আপনাকে ফোকাশ করতে হবে সেটা স্থির করা। অর্থাৎ আপনাকে একটাই পয়েন্ট খুঁজে নিতে হবে যেখানে আপনি আপনার পুরো ফোকাসটা রাখবেন। যেমন আপনি যদি ওয়েট লস করতে চান তাহলে আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি ডায়েট এর উপর বেশি মনোযোগ দেবেন নাকি এক্সএল সাইজের উপর। প্রথমেই যদি আপনি দুই জায়গায় ফোকাশ করতে যান তো আপনি কোনোটাতেই ফোকাশ করতে পারবেন না। একটাই জায়গা বেছে নিয়ে সেটাতে আপনার পুরো ফোকাস ঢেলে দিতে হবে।
এরপর র্থাড স্টেপ হলো কিভাবে
ফোকাশ করবেন এখানেই নাইন্টি পার্সেন্ট মানুষ ভুল করেন। শুধু ওায়াই আর হোয়াট ক্লিয়ার করেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আর কিভাবে কি করবে তা ভেবে না দেখার কারণে ফেল করে যাই।ওয়াই আর হোয়াট ক্লিয়ার করার পর আপনাকে কল্পনা করতে হবে যে হ্যাঁ আমি এই কাজটাতে সাকসেসফুল হব। ততক্ষন পর্যন্ত কল্পনা করতে থাকতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার মাথার মধ্যে সে তার একটা ক্লিয়ার ইমেজ তৈরী না হয়ে যায়।
অর্থাৎ যতক্ষণ না আপনার ভেতর থেকে পুরোদমে বিশ্বাস হচ্ছে যে কাজটা পসিবল আমি এভাবে এভাবে কাজটা করলে অবশ্যই সম্ভব। আর যতক্ষণ না আপনার মাইন্ড এই ইমেজটা ক্লিয়ার না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন স্টেপ নেবেন না। যখনই আপনার ভেতর থেকে বিশ্বাস টা চলে আসবে এভাবে কিংবা এই রাস্তায় গেলে কাজটা সম্ভব তখনই একমাত্র আপনাকে ওই রাস্তায় একটা ছোট্ট স্টেপ নিতে হবে।
এই স্টেপ এগজ্যাক্টলী ফলো করার পরেও কিছু লোক সফল হবেন আর কিছু লোক ব্যর্থ হবেন। তাদের মধ্যে শুধু একটা জায়গায় তফাৎ হবে। তা হলো পারসিসটেন্স অর্থাৎ ধৈর্যের। এত কিছু করার পরেও লাইফ আপনাকে ট্রেনে থাপ্পর মারবে এমন কিছু কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে গিয়ে আপনাকে দাঁড় করিয়ে দেবে। যে আপনি স্বপ্নেও হয়তো কল্পনা করেন নি। আপনি মুখ থুবরে পড়বে এরপর যারা লুজারস তারা একবার পড়ে গেলে আর উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে না।
কিন্তু যারা Winner এরকম হাজার বার মুখ থুবরে পড়ে গেলেও আবার উঠে দাঁড়াবে। একটা ম্যাগনিফাইন গ্লাস এর কথা ভাবুন একটা কাগজের ওপর একটা নির্দিষ্ট পয়েন্টে ম্যাগনিফাইং গ্লাস এর দ্বারা যদি বেশ কিছুক্ষণ সূর্যের আলো ফেকাশ করে ধরে রাখা হয়। তাহলে কাগজ তাতে আগুন ধরে যায়। কিন্তু তার মাত্র এক সেকেন্ড আগেও যদি আপনি ম্যাগনিফাইং গ্লাস তার ফোকাশ নাড়িয়ে দেন তাহলে আর আগুন লাগে না। তো একদিন পারসিসটেন্স বাদ ধৈর্য ধরতে পারা টা খুবই জরুরী।
সবশেষে পুরো আর্টিকেলের একটা সামারি করা যাক। ফাস্ট স্টেপ আপনার স্বপ্ন পূরণ হওয়া খুবই সহজ। সেকেন্ড স্টেপ একটা পার্টিকুলার বিষয় সিলেক্ট করে সেটার উপর ফোকাস করতে হবে।র্থাড স্টেপ ডিস্ট্রাকশন থেকে বাঁচতে নিজের ভেতরের এনভারমেন্ট চেন্জ করে ফেলতে হবে। এজন্য প্রথমে আপনার ওয়াই ক্লিয়ার করুন।
তারপর একটা সিঙ্গেল বিষয় খুঁজে ফোকাশ করুন এবং সবশেষে সেটা কল্পনা করতে থাকুন যতক্ষন না আপনার ভেতরে এটা ক্লিয়ার হচ্ছে যে আপনি কিভাবে এগোলে সফলতা পেতে পারেন এবং তারপর আপনার প্রথম স্টেপটা নিন এবং সবশেষে এটা মনে রাখুন পড়ে গেছি তো কি হয়েছে সেই পরে যে এগিয়ে চলে শুধু এইটুকু করতে হবে যে পড়ার পর আবার উঠে চলতে থাকতে হবে।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি
9 thoughts on "চালাকি করে নিজের স্বপ্নগুলো বাস্তবে পরিণত করতে শিখুন।"