আজকের এই তিনটে পয়েন্ট যদি তুমি কভার করতে পারো তোমার লাইফে তাহলে তুমি হবে সমস্ত জায়গায় সবচাইতে ইম্পর্টেন্ট পার্সোনালিটি। হতে পারে সেটা তোমার ফ্রেন্ড, হতে পারে একটা নতুন গ্রুপ যাদের সাথে তোমার আলাপ হয়েছে, হতে পারে তোমার বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড হতে পারে এমন কেউ যার উপর তুমি সদ্দ্য ক্রাশ খেয়েছ তুমি চাও সে তোমাকে ইম্পরটেন্ট দিক। হতে পারে তোমার বিজনেস এর জায়গা হতে পারে তোমার অফিসে যেকোনো জায়গায় যদি এই তিনটে পয়েন্টকে মাথায় রেখে চলতে পারো এবং এপ্লাই করতে পারে রিয়েল লাইফে তাহলে তুমি হবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পার্সোনালিটি সমস্ত জায়গায় সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট পার্সোনালিটি হবে তুমি যদি এই তিনটে পয়েন্টকে তুমি মেনে চলতে পারো লাইফে এপ্লাই করতে পারো।
(১) নিজের কথা নয় আমরা সবসময় বলি যে নিজের মনের কথা শোনা উচিত কিন্তু যদি গুরুত্বপূর্ণ হতে চাও তাহলে এই ক্ষেত্রে নিজের কথা নয় আগে অন্যের কথা শোনো। কারণ প্রত্যেক মানুষ নিজের সম্পর্কে বলতে ভালোবাসে। মানুষ শুনতে বেশি ভালোবাসে না মানুষ বলতে ভালোবাসে। তাই জন্য গুড লিশেনার তৈরি হয় না। আর লিশেনার তৈরি হয় না বলে সাকসেসফুল মানুষ তৈরি হওয়ার চান্স কমে যায় কারণ সমস্ত সাকসেসফুল মানুষ গুড লিশেনার। তোমাকে যদি সাকসেসফুল হতে হয় মানে তোমাকে যদি ইম্পর্ট্যান্ট হতে হয় তাদের চোখে তাহলে তোমাকে হতে হবে গুড লিশেনার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন হয় যে তোমার মন খারাপ তুমি কোন এক বন্ধুর কাছে গেছো তোমার মনের কথাটা বলবার জন্য সে বন্ধু কি করলো তোমার টা শুনে কিছুটা না শুনে তোমাকে মাঝখানে ইন্টার অফ করে দিয়ে সে নিজে বলতে শুরু করলো আমার সাথে এরকম একটা হয়েছিল। আরে ভাই আমার দুঃখের কথা তো তুই জানিস না আমার সাথে যা হয়েছিল তুইতো জানিসই না। সে নিজেরটা বলতে এত ব্যস্ত সে তোমারটা শুনলাই না। তুমি যখন বলতে পারলে না তোমার মনের মধ্যে চাপা কষ্ট চাপাই থেকে গেলো। সেকেন্ড টাইম তুমি সেই বন্ধুর সাথে আর হয়তো কোন মনের কথা শেয়ারই করবে না। কারণ তুমি বলতে গেছিলে আর সে শুনতে পারেনি । নতুন যাদের সাথে আলাপ হবে যেখানে আলাপ হবে যেকোনো গ্রুপ বল যেখানে আমি যে এক্সাম্পল গুলো দিলাম বি এ গুড লিশেনার তার কাছ থেকে শুনে তাকে জিজ্ঞাসা করো তার ইন্টারেস্ট জায়গা কোনটা? তাকে জিজ্ঞাসা করো তার ভালো লাগে কোনটা? তার খারাপ দিক কোনটা তার ভাল দিক কোনটা ইচ্ছে করে তাকে জিজ্ঞাসা করো নিজের টা বলো না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সে তোমাকে জিজ্ঞাসা করছে নিজের টা বলোনা । কারণ প্রত্যেক মানুষ নিজের টা বলতে ভালোবাসে এই ট্রিকটাকে কে কাজে লাগাও তাকে দিয়ে তার সম্বন্ধে বলাও । যখন সে দেখবে যে তুমি তাকে ইম্পর্টেন্স দিচ্ছ তার সম্বন্ধে জানতে চাইছো তখনই সে তোমাকে অন্যের থেকে তোমাকে বেশি গুরুত্ব দেবে।
(২) অতিরিক্ত সহজলভ্যতা মানুষের দাম কমিয়ে দেয় যত বেশি সহজলভ্য হবে তোমার ভ্যালু তত কমে যাবে। নতুন কারো সাথে আলাপ হয়েছে কথার কথা নতুন প্রেম প্রথম প্রথম প্রেম প্রথম প্রথম আলাপ সারাদিন কথা বলছো 5 ঘণ্টা 10 ঘন্টা সব সময় ফোনে হোয়াটস অ্যাপ একটা সময় পর কি হবে কথা বলার মত কিছু আর খুজে পাবেনা। তখন ভ্যালু কমে যাবে। নতুন কোন বন্ধুদের গ্রুপ সব সময় আড্ডা মারছো সব সময় সেখানে যাচ্ছ এভরি টাইম কথা বলছ… একটা সময় পর তোমাকে আর তারা আর ভ্যালুটা দেবে না তোমার রেস্পেক্ট কমে যাবে তোমার ভ্যালু কমে যাবে। তোমাকে প্রায়োরিটি দেবে না বেশি সহজলভ্য যেখানেই হবে যেখানে খুব বেশি ইনভল্ভ হবে মানে যতটুকু দরকার তার থেকে বেশি ইনভল্ভ যখন তুমি হয়ে যাবে ঠিক সেই মুহুর্তে তোমার গুরুত্ব কিন্তু কমে যাবে। যেকোনো বড় কোম্পানি যখন তাদের মোবাইল লঞ্চ করে একটা খুব লিমিটেড এডিশন মোবাইল বের করেছে এই মোবাইলটা যে সময় লঞ্চ হচ্ছে ওই টুকুই টাইম ঐ সোর্ট টাইম এর জন্য পাওয়া যাবে এরপর আর ওই মোবাইলটা কিন্তু পাওয়া যাবে না তুমি যত টাকা দিয়ে দাও তুমি পাবে না। ঐ টুকু টাইমেই ওরা শুধু সেল করবে ওরকম মোবাইল যদি তোমায় কিনতে হয়.। তাহলে তোমাকে ওই টাইমে ওখানে গিয়ে ওই টাকাটা নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে নইলে তুমি পাবে না। সেটা বি দ্যাট লিমিটেড এডিশন। সেই লিমিটেড এডিশনটা হও যার জন্য যে পে করতে রাজি হবে পে করা মানে যে তোমার প্রতি সেই লেভেলের অ্যাটেনশন টা দেবে। যে তোমাকে সেই গুরুত্ব টা দেবে তার কাছে এভেলেবেল হবে। আদারোয়াইজ আর কোন জায়গায় এত বেশি এভেলেবেল হবে না তাহলে তোমার গুরুত্ব ডাউন।
(৩) সব সময় মুখে হাঁসি রেখে কথা বলো। কারণ তোমার মুখে যখন হাসি থাকবে সেই হাসি তোমার পজেটিভ পার্সোনালিটি কে ক্যারি করবে তোমাকে যে দেখবে তার মধ্যে একটা পজিটিভিটি কাজ করবে তুমি যদি গোমড়া মুখো হয়ে কথা বলতে শুরু করো তাইলে যে কেউ তোমাকে এ্যাভয়েড করে যাবে প্রথমেই। কারন গোমড়া মুখ বদ মেজাজি এই সমস্ত লোকদের আমরা এ্যাভয়েড করে যায়। সব সময় তোমার মুখে হাঁসি রাখো । আর কারো সাথে যখনই কথা হবে নেগেটিভ কনভারসেশন দিয়ে চালু করবেন না। কী শুনলাম নাকি বউ পালিয়ে গেছে একই সঙ্গে ব্রেকআপ হয়ে গেছে শুনলাম নাকি কেনো…! পজেটিভ পজিটিভ কথা বলো যে তোমার যুতোটা তো খুব সুন্দর। তাকে ইম্পর্টেন্স দাও। তাহলে তোমার গুরুত্ব বাড়বে। ৩ নম্বর গুরুত্ব পয়েন্ট সব সময় তোমার মুখে হাঁসি রাখো। যেটা তোমার পজিটিভিটি কে ক্যারি করবে যেটা সবার মধ্যে স্প্রেড হবে তাহলে লোকে তোমায় গুরুত্ব দেওয়া শুরু করবে।
তাহলে তিনটে পয়েন্ট আমরা পেয়েছি আজকে তিনটে পয়েন্টের মধ্যে প্রথম পয়েন্ট হচ্ছে শোনো অন্যের বেশি নিজেরটা কম বলো যাতে সে ফিল করে যে সে ইম্পর্টেন্ট পাচ্ছে তোমার কাছে তাহলেই সে তোমায় ইম্পর্টেন্স দেবে ।
দুই নম্বর অতিরিক্ত সহজলভ্যতা মানুষের দাম কমিয়ে দেয় লিমিটেড এ্যাডিসন হও ।
আর তিন নাম্বার মুখে সব সময় হাঁসি রেখে কথা বলো।
বানান ভুল হতে পারে তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি…
আল্লাহ হাফেজ।
One thought on "এই তিনটি উপায় মানলে সবাই তোমাকে গুরুত্ব দেবে।"