(১) মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
আমরা শারীরিক অসুস্থতাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি কিন্তু মানসিক অসুস্থতাকে আমরা গুরুত্ব দেইনা। শরীর সুস্থ রাখতে আমরা নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ঘুম এবং ব্যায়াম করে থাকি কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের সময়ে অবহেলা করে যাই। কিন্তু অনেকেই এটা জানেনা মানসিকভাবে সুস্থ থাকলেই শারিরীক সুস্থতা আসবে।
মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য যা যা করতে হবে তা হলোঃ
১। পজিটিভ মানুষদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
পজিটিভ মানুষদের সাথে যোগাযোগ থাকলে তাদের কথা বার্তা শুনে আপনার মন ভালো থাকবে। এই ধরনের মানুষেরা সবসময়ই ভালো হয় তাদের দ্বারা অন্যরা উপকার ছাড়া ক্ষতি হয়না, এমন লোকদের সাথে যোগাযোগ থাকলে তাদের দ্বারা নিজেকেও পজিটিভ মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারবেন। পজিটিভ মানুষদের সাথে থাকলে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
২। পরিবার ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুনঃ আপনার আমার সব থেকে কাছের মানুষ হলো পরিবার এবং বন্ধু বান্ধব। আপনি এদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন। নিজের সুখ দুঃখ এদের সাথে ভাগ করুন, দেখবেন আপনাকে মানসিক অসুস্থা স্পর্শ করতে পারবেনা। কিন্তু আমরা অনেকেই নিজের কষ্ট নিজের ভিতরে লুকিয়ে রেখে তিলে তিলে তুষের আগুনের মতো নিজেকে শেষ করে দেই কিন্তু এটা একদমই উচিত নয়, এক্কেবারে কাছের মানুষ যেমনঃ মা বাবা বা ভাই বোন বা কাছের কোনো বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন দেখবেন আপনার কষ্ট অনেক লাগব হবে বা একটা সলিউশন তৈরি হয়ে যাবে।
৩। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করুনঃ
মানসিকভাবে সুস্থ থাকার আরেকটি বড় মন্ত্র হলো এটা। আপনি যদি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন তাহলে দেখবেন নিজের ভিতরে অনেক আনন্দ অনুভব করছেন। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য আহামরি টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়না, আপনার পকেটে পয়সা না থাকলে ও আপনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে পারেন। বৃদ্ধ লোকদেরকে ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদেরকে রাস্তা পার করতে সাহায্য করুন, বা কাউকে শ্রম দিয়ে সাহায্য করুন দেখবেন নিজের ভিতরে অনেক শান্তি অনুভব হবে।
৪। শখের কাজটি করুনঃ
প্রত্যেকটি মানুষেরই নিজ নিজ কিছু শখের কাজ থাকে। আপনি যদি আপনার শখের কাজটি নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন তাহলে ডিপ্রেশন ভোগার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।
৫। প্রযাপ্ত পরিমানে ঘুমানঃ
৬। সক্রিয় থাকুনঃ
যেসব মানুষ অলয়েস কাজ প্রেমী হয়ে থাকে তাদেরকে মানসিকভাবে অসুস্থতা দেখা যায়না বললেই চলে, কারন এদের কাজের ভিড়ে ডিপ্রেশন নামক ব্যাধি আসতেই পারেনা। নিজেকে যেকোনো কাজ নিয়ে বেশী বেশী এক্টিভ রাখুন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৭। বর্তমান নিয়ে ভাবুনঃ
বর্তমানে আপনি যে অবস্থানে আছেন সেটা অতীতের কর্মের ফল। অতীতে যদি আরো বেশী ভালো কাজ করতেন তাহলে আরো ভালো পজিশনে থাকতে পারতেন, তাই বর্তমান সময়টাকে কাজে লাগালেই সঠিকভাবে তাহলেই ভবিস্যতে আরো ভালো করতে পারবেন। এমন চিন্তাভাবনা করুন।
(২) শারিরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
একজন মানুষের শারিরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ৫ টি টিপস শেয়ার করলাম এগুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে সুস্থ জীবন জীবন লাভ করবেন সাথে মন ও সতেজ ও ফুরফুরে থাকবে।
১। প্রযাপ্ত পানি পান করাঃ
শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পানির গুরুত্ব অনেক। পানি যে শুধু আমাদের তৃষ্ণা মেটায় তা নয়, আমাদের শরীরের পানিশূন্যতা পূরনের জন্য ও পানির প্রয়োজন। আমাদের শরীরের অভ্যান্তরিণ ক্রিয়া গুলো ঠিকভাবে চলার জন্য পানির প্রয়োজন।
২। নানান রকম ফল ও সবজি খেতে হবেঃ
প্রতিদিন খাদ্যের তালিকায় শাকসবজি ও ফল রাখতে হবে। কাচা ফল ও সবজিতে প্রচুরপরিমাণে ভিটামিন থাকে তাই শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য নানান প্রকার ফল ও সবজি খেতে হবে।
৩। প্রযাপ্ত পরিমাণ ঘুমানঃ যেকোনো মানুষের সুস্থ থাকার জন্য প্রযাপ্ত পরিমানে ঘুমের খুবই প্রয়োজন। পরিমানমতো ঘুম না হলে শরীরের ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব ও নানারকম অসুখবিসুখ ও হতে পারে। একটা মেশিন যেমন কয়েক ঘন্টা চালানোর পরে এটি কিছুক্ষণ ঠান্ডা হতে সময় দিতে হয় তেমনি আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীরটাও সারাদিন কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায় এরপরে শরীরের জন্য প্রয়োজন খুব লম্বা একটি ঘুম। ঘুমের ফলে আমরা রাতশেষে সকালবেলা আবার নতুন শক্তি নিয়ে আমরা জেগে উঠি।
৪। ব্যায়াম করাঃ
৫। মন খুলে হাসাঃ
শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য হাসি একটি খুব ভালো ঔষধ বা ব্যায়াম বলা যায়। মন খুলে জোড়ে হাসলে মন ভালো থাকে আর মন ভালো থাকলেই তো শরীর সুস্থ থাকবে।
আরো পড়ুনঃ ১। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে | ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে?
২। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নামগুলো অর্থসহ | জান্নাতি মহিলা সাহাবীদের নামগুলো
2 thoughts on "শারিরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার কার্যকরী টিপস"