আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
জীবনের কঠিন সময়ে শুধু এই ৫টি কাজ করে যান
দেখবেন আমাদের লইফে যখন অনেক বড় কোন প্রবলেম আসে। যেমন পারিবারিক প্রবলেম, নিজের ক্যারিয়ারকে নিয়ে টেনশন বা রিলেশন নিয়ে অনেক বড় কোন প্রবলেম মানে যার যত বড় প্রবলেমই আসুক না কেন এমন একটি অবস্থায় আমরা অল্প কিছু মানুষ দেখবেন নিজে অনেক কষ্ট করে ধৈর্য ধরতে ধরতে নিজের স্কিলকে ইমপ্রুভ করে লাইক বা ক্যারিয়ার বা রিলেশন কত প্রবলেম গুলোকে সল্ভ করে ফেলি।
আর এই দিকে ৯০% মানুষ আমার আসলে এই সংখ্যাটি ৯৫% বেশি মানুষ বলা উচিত। আমরা বড় কোন প্রবলেমে পড়লে সবার প্রথম প্রচন্ডভাবে ঘাবড়ে যাই। তারপর টেনশন করি এবং এর ফলে আমাদের ব্রেন আর কোন কাজ করতে চায় না। আর এরপর যখন আমাদের ব্রেনের নরমাল নেই তখন আমরা আমাদের সেই এবনরমাল ব্রেনকে নিয়ে আমাদের প্রব্লেম গুলোকে আরো বাড়িয়ে ফেলি এবং নিজের লাইফটাকে নিজে ধ্বংস করে ফেলি।
আর এই বিষয়গুলো কিভাবে ঘটে চলুন বাস্তব কিছু এক্সাম্পল দেখা যাক। ধরুন আপনি ভালো একটি জবের জন্য অনেক অনেকদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু চাকরি তো কোন খবরই নেই। উল্টো দিন দিন যেতে যেতে আপনার অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছ।
এখন আপনি বলুন এই মুহূর্তে আসলে আপনার কি করা উচিত। এই মুহূর্তে আমরা সাধারনত দুটি কাজ করতে পারি। এক টেনশন করতে করতে নিজের অবস্থা খারাপ করে ফেলতে পারি। আর দুই কেন আমার চাকরি হচ্ছে না সেই আসল পয়েন্টটিকে ফাইন্ড আউট করে সেই বিষয়টিকে সল্ভ করে জব পেতে পারি। কিন্তু আমরা দেখবেন দ্বিতীয় পয়েন্টটিতে আসতে পারিনা কারন আমরা প্রথম পয়েন্টটিতে আটকে থেকে নিজের ব্রেইনকে নষ্ট করে ফেলি তাই না।
আবার ধরুন আপনি রিলেশন গত প্রবলেমে রয়েছেন। আপনার গার্লফ্রেন্ডের সাথে আপনার সম্পর্ক খুব খারাপ যাচ্ছে। এখন এই মুহূর্তে আমরা মেজাজ দেখিয়ে সমস্যাগুলোকে বাড়িয়ে ফেলতে পারি আর দুই ঠান্ডা মাথায় একটু চিন্তা করতে পারি আসলে কেন প্রবলেম গুলো হচ্ছে আর সেই বিষয়টিকে ফাইন্ড আউট করার পর একটু একটু করে বিষয়টি সমাধান করে নিতে পারি সারা জীবনের জন্য।
কিন্তু এইদিকে আমাদের অবস্থা এতটাই খারাপ আমরা এগুলো তো করবোই না কারণ আমাদের মত সব সময় হট থাকে তাই না। আমরা তো আসলে আরো ঝামেলা বানাবোই বানাবো যাই হোক। এখানে বিষয় দুটি বিপদের সময় আপনি মাথা ঠান্ডা রেখে প্রবলেমগুলোকে খুঁজে বের করতে পারেন। আর দুই টেনশন করে করে নিজের ব্রেনকে আরো বেশি খারাপ করে দিতে পারেন। এখন আপনি ভাবুন আপনি কি করবেন।
যাইহোক এই বিষয়টি তো গেল একটি আর আরেকটি বিষয় হল মাঝে মাঝে আমাদের লাইফে হঠাৎ করে এত পরিমান বিপদ চলে আসে আমরা সেই সময় প্রচন্ড পরিমাণ কষ্টে থাকি আর আমাদের মাথা আর কোন কাজ করতে চায় না। এত পরিমান কষ্ট থাকে যা কাউকে বলে বোঝানোর মত নয় তখন আমাদের ব্রেইনের অবস্থা এমনিতেই খারাপ হয়ে যায়। এখন এই মুহূর্তে আমাদের ব্রেনকে তো ঠিকই রাখতে হবে তাই না। তাই এই মুহূর্তেও যেন আমাদের ব্রেন ঠিক থাকে এর জন্য এখন আমি আপনাদের পাঁচটি পয়েন্ট শেয়ার করব আপনারা খুব মনোযোগ দিয়ে পয়েন্ট গুলোকে পড়ে সারা জীবনের জন্য এই পাঁচটি পয়েন্টকে মাথায় ফিক্স করে রাখবেন।
১.আমাদের জীবনের খারাপ সময়গুলোই আমাদের শিক্ষা দেয় আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। একটা জিনিস আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন আপনি আপনার ক্যারিয়ারের যতবার ঠেকবেন আপনার ক্যারিয়ার ততটাই স্ট্রং হবে। আপনি এই পৃথিবীতে যত সাকসেসফুল লোকদেরই দেখবেন তারা জীবনে বহু বহুবার ঠেকেছেন। এমনও সময় গেছে চারো দিকে তাদের শুধুই অন্ধকার ছিল।
কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন সেই কষ্টের টাইম গুলোতে তারা এটি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন তার আসলে নেক্সট স্টেপ কি নিতে হবে আর সেই নেক্সট স্টেপ নিতে গিয়ে তার নতুন নতুন কি কি স্কিল শিখতে হবে সময়ের মূল্য কি সেটি তারা বুঝতে পেরেছিলেন। অভাবে পড়লে বা বিপদে পড়লে পৃথিবীতে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটাও তারা বুঝতে পেরেছিলেন সেই সময়ে।
তাই আপনার ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আপনার এই দুঃসময়ে থেকে আপনি শিক্ষা নিন। আর একটু একটু করে কষ্ট করে ভেঙ্গে না পড়ে নিজের কাজগুলো সাথে কন্টিনিউয়াসলি লেগে থাকুন। একটা চিরন্তন সত্য কথা এটি সবসময় মনে রাখবেন জীবনে কখনো না কখনো সৃষ্টিকর্তা আপনার সকল পেছনে দরজাই বন্ধ করে দিবে। আর তখন কোন রাস্তা না পেয়ে আপনাকে সামনে এগুতেই হবে। আর সেই সময় আপনি যত কষ্টই হোক না কেন সেই সকল কষ্ট সহ্য করে যখন সামনের দিকে এগোবেন তখন দেখবেন আপনার লাইফে সাক্সেস চলে এসেছে।
আর পরবর্তীতে যখন আপনি সাকসেস হয়ে যাবেন তখন আপনি মনে মনে এটি ভাববেন সেই সময় যদি আমার লাইফে খারাপ দিনগুলো না আসত তাহলে হয়তো বা আজ এতদূর আসতে পারতাম না। তাই খারাপ সময় ভেঙে না পড়ে এটি থেকে শিক্ষা নিন তাহলে এটি আপনার জন্য আশীর্বাদে পরিণত হয়ে যাবে।তো চলুন পরবর্তী পয়েন্ট জানা যাক
২. জীবনের কঠিন সময়গুলোতেও খুশি থাকতে হবে। দেখুন আপনি এখন খুব ভালো রয়েছেন তাই আপনি হাসিখুশিতে রয়েছেন। কিন্তু আসল বাস্তবতা হলো আপনি কিন্তু সব সময় এমন ভালো সময় মধ্যে থাকবেন না। আপনারো খারাপ সময়ের মধ্যেই যেতেই হবে আর এই বিষয়টি শুনলেই আমরা ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। আপনার এই খারাপ দিনগুলো আবার সবসময় থাকবে না।
তাই আপনাকে খারাপ সময়ও নিজেকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করে যেতেই হবে। কিন্তু এইদিকে আমাদের অবস্থা আমরা খারাপ সময় হাসিখুশি তো দূরের কথা উল্টো হয়তোবা অনেক মন খারাপ করে থাকি নয়তোবা খুব রাগী হয়ে যাই। এখন দেখুন এগুলো করলে তো আর আপনার সমস্যা দূর হবে না বরং বাড়বে মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ করে ফেলবেন। নিজেকে নিজে অসুস্থ করে ফেলবেন।
এখন আমি আগেই বলেছিলাম সমস্যা কিন্তু আপনার বেশিদিন থাকবে না। আর যখন আপনার সমস্যাগুলো একটা সময় সল্ভ হয়ে যাবে তখন আপনি এই বিষয়গুলোর জন্য আবার কষ্ট পাবেন বিপদে পড়বেন। যাই হোক একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন পুনরায় সুযোগ সবার জীবনে আসবেই। আপনি শুধুমাত্র প্রস্তুতি নিতে থাকুন। তো চলুন পরবর্তী পয়েন্টে জানা যাক।
৩. খারাপ সময়ে পুরনো দিনের কথা মনে করা যাবে না। দেখবেন আমরা যখনই বিপদে পড়ি তখনই পুরনো দিনের ভালো মন্দ দিনগুলোর কথা বিশেষ করে কষ্টের দিনগুলোর কথা খুব বেশি মনে পড়ে। আর এরপর যেটি হয় এই বিষয়টি আমাদের ব্রেনকে প্রচুর পরিমাণ পেশারেস্ট করে এবং আমরা যে জীবনে আবার ভালো পর্যায়ে ফিরে আসতে পারি সেই বিষয়টি আমাদের ব্রেইনে আর আসতে দেয় না। তাহলে এবার আপনি বুঝুন বিষয়টি কতটা ভয়ঙ্কর। এখন কথা হলো এই বিষয়গুলো তো আমরা এমনিতেই মনে করতে চাই না এগুলো তো এমনিতেই মনে পড়তে থাকে।
তাই এই বিষয়টি থেকে বেঁচে থাকার জন্য আপনার নিজেকে বিজি রাখতে হবে। যে এই কাজগুলো এখন আপনার অনেক বেশি করা দরকার সেই কাজগুলোকে বেশি বেশি করে করতে হবে। আর এই ধরনের মোটিভেশনাল আর্টিকেল পড়তে পারেন, বই পড়তে পারেন যেগুলো আপনার ভেতর থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে রাখবে। যাই হোক যেভাবেই হোক নিজেকে প্রচুর পরিমাণ ব্যস্ত রাখতেই হবে। আর এরপরই দেখবেন আপনার প্রবলেম গুলো একটু একটু করে সল্ভ হতে থাকবে। তো চলুন পরবর্তী পয়েন্টে জানা যাক।
৪. নিজেকে কঠিন ভাবে গড়ে তুলুন। আপনি যখন বিপদে থাকবে তখন দেখবেন কত মানুষ কত রকম কথা যে আপনাকে নিয়ে বলবে। এখন আপনার যেটি করতে হবে এই বিষয়গুলোতে কান না দিয়ে নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলুন যেন আগের আপনি আর এখনকার আপনার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক থাকে। নিজের অ্যাটিটিউডকে ইনপ্রুফ করুন নতুন নতুন স্কিলস শিখুন মোট কথা কেউ যেন আপনার সাথে কোন প্রকার কথা বলতে আসলে খুব হিসেব করে কথা বলতে আসে। যাই হোক নিজেকে ঠিক ততটাই শক্তিশালী করুন যেন সারাজীবন আপনাকে আর কোথাও ঠেকতে না হয়। তো চলুন শেষ পয়েন্টটি জানা যাক।
৫. সবুরের ফল মিঠা হয়। দেখবেন এই কথাটি কিন্তু চিরন্তন সত্য। যাদের জীবনে সাকসেস হয়েছে তাদের পেছনে তাকালেই আপনারা দেখতে পারবেন তারা অনেক ধৈর্য ধরতে ধরতে আজ সাকসেস। যাই হোক ধৈর্য ছাড়া আপনি কোনোভাবেই সাকসেস হতে পারবে না। সাকসেস এর প্রথম পয়েন্টটি হলো ধৈর্য। যাই হোক এই ধৈর্য ধরাটা কিন্তু আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় কঠিন বিষয়।
এই ধৈর্য ধরতে না পেরে আমরা অনেকেই লাইফ থেকে ছিটকে পড়ে যাই। তাই এই বিষয়টি আপনাকে মানতেই হবে ধৈর্য আপনাকে ধরতেই হবে। তাই প্লিজ আপনার সাকসেস এর জন্য ধৈর্য অপরিহার্য এই বিষয়টি আপনি মাথায় আজ থেকে সেট করে রাখুন।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি
5 thoughts on "আপনার জীবনের কঠিন সময়ে শুধু এই ৫টি কাজ করে যান। দেখবেন সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে।"