আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
চালাকি করে টাকা ম্যানেজ করতে শিখুন
আপনাকে আমি একটা সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছি। আপনি কি ধনী হতে চান…? আপনি হয়তো ভাবতে পারেন এটা কি ধরনের প্রশ্ন। কারণে অবশ্যই এর উত্তর হ্যাঁ। প্রত্যেকে ধনী হতে চাই। যদিও টাকা সবকিছু নয় তবুও টাকা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার কাছে যদি ভালো পরিমাণ টাকা থাকে তবে আপনি আরামদায়ক জীবনযাপন করতে পারবেন। আজকে অনিশ্চিত সময়ে পকেটের টাকা থাকাটা আরো বেশি প্রয়োজন।
আমাদের অনেকেরই অনেক রকম স্বপ্ন থাকে যেমন বিশ্ব ভ্রমণ করা বড় গাড়ি বা বাড়ি থাকা কিন্তু সেগুলো পূরণ করার জন্য অর্থের প্রয়োজন। সুতরাং সবাই ধনী হতে চায় তবে সত্যিটা হলো মাত্র কয়েক জন ধনী হতে পারে। আপনি কি জানতে চান কেন। তাহলে ধনী হওয়া সিক্রেটটা জানতে হলে আটিকেলটি পড়তে থাকুন। কিছু লোক ধনী হওয়ার এবং অন্যান্য না সারাজীবন গরিব থাকার মূল কারণ হলো ফাইন্যান্সিয়াল এডুকেশন এর অভাব। লোকেরা চাকরি বা ব্যবসা কঠোর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করেন।
কিন্তু তারা কঠোর উপার্জনের টাকা দিয়ে কি করেন সেটা কিন্তু সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন তবে আপনি কিভাবে আপনার টাকা ম্যানেজ করা উচিত তা না জানলে আপনি কখনো ধনী হতে পারবেন না। অকারণে টাকা ব্যয় করা আপনাকে ঋণ এবং আর্থিক সংকটের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আর আপনাকে এই বিপদ থেকে একমাত্র বাঁচাতে পারে ফাইন্যান্সিয়াল এডুকেশন।আপনার প্রথম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজটা হলো আপনার মাসিক আয় 10 থেকে 15 শতাংশ সঞ্চয় করা। এই সঞ্চিত অর্থটা আপনি তিনটি ভাগে ভাগ করে রাখবেন।
1. Emergency Funds…যখনই কোনো জরুরি অবস্থা দেখা দেবে তখন এই fund থেকে আপনি যেন ক্যাশ টাকা তুলে নিয়ে কাজে লাগাতে পারেন সেই ভাবেই fundটা তৈরি করবেন।
2.Slush Funds… এই ফান্ডের টাকা কখনো আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বা চাকরি হারালেন তিন থেকে ছয় মাস আপনাকে সার্ভাইভ করতে সহায়তা করবে।
3. Retirement Funds…এই টাকাগুলো আপনি একটা সঠিক জায়গায় ইনভেস্ট করবেন যাতে আপনার রিটারমেন্ট অবদি এ টাকা গুলো বাড়তে থাকে। ধরে নিন আপনি আসি বছর বয়স অবধি জীবিত থাকবেন। সেই অনুযায়ী রিটারমেন্ট এরপর আপনার কত টাকা লাগতে পারে সেটা হিসাব করে সেই অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা মাফিক আপনাকে টাকা সঞ্চয় করতে থাকতে হবে। কত টাকা সঞ্চয় করে রাখবেন সেটা স্থির করার পর আপনার কাজ হলো কতটা টাকা আপনি প্রতি মাসে ব্যয় করবেন সেটা স্থির করা।
আপনি ক্ষেত্রে 80/20 প্রিন্সিপালটা ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যেখানে আপনারা এর 80% ব্যয় করছে তা সনাক্ত করুন। এটা সাধারণত খাওয়া-দাওয়া বাড়িভাড়া ইলেকট্রিসিটি বিল ইত্যাদির পিছনে হয়। বাকি টুয়েন্টি পারসেন্ট ব্যয় হয়তো আপনি অানইম্পর্টেন্স জিনিসগুলোর পিছনে পড়ে থাকবেন। যেগুলো আপনি চাইলে কিছুটা অন্তত কমাতে পারেন। তাই বলে আমি সমস্ত সখ ত্যাগ করে দেওয়ার কথা বলছিনা। আপনার জীবন উপভোগ করা উচিত।
তবে একটা ব্যালেন্স মেইন রাখা চেষ্টা করুন এবং দরকারি জিনিস গুলোর পেছনেই টাকা খরচ করে। যে কোন জিনিস যেটার মূল্য দিন দিন কমতে থাকে সেটাকে বলা হয় Liability…আর যেকোনো জিনিস যেটার মূল্য দিন দিন বাড়তে থাকে সেটাকে বলা হয় Asset… আপনার পরবর্তী পদক্ষেপটা হল সাবধানতার সাথে সঞ্চিত অর্থ গুলো বিনিয়োগ করা। একটা গাড়ি হলে একটা লাইবিলিটি কারণ সেটার দাম দিন দিন কমতে থাকে। সুতরাং যখন আপনার যতটা সঞ্চয় করা দরকার ততটা আপনি করে ফেলেছেন।
কেবল তখনই গাড়ি কিনুন অথবা একটা দুর্দান্ত উপায় হলো নতুন গাড়ি কেনার পরিবর্তে আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনতে পারেন বা গাড়ি ভাড়া নিতে পারেন। যদিও নিজের বাড়ি একটা Asset হিসেবে দেখা হয়। তবুও এটা একটা অনেক বড় ইনভেস্টমেন্ট তাই আপনার পর্যাপ্ত সঞ্চয় আপনার কাছে মজুর থাকলে তবেই এই সিদ্ধান্ত নিন। শুধু তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ করলেই হবেনা সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে এটাই ধনী হয়ে ওঠার একমাত্র সিক্রেট।
এবার প্রশ্নটা হলো তাহলে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করলে ভালো হয় অনেকে তাদের টাকা বিনিয়োগ করতে ভয় পান। তবে আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে বিনিয়োগে হলো একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আপনি টাকা দিয়ে টাকা রোজগার করতে পারবেন। অর্থাৎ এখানে টাকা রোজগারের জন্য আপনাকে কোন কাজ করতে হবে না। আপনার টাকা আপনার হয়ে কাজ করবে। তাই টাকা বিনিয়োগ করার নাম শুনলেই ভয় পেলে চলবে না Calculated Risk নিতে হয়।
ব্যাংক অবদি থেকে শুরু করে শেয়ার মার্কেট টাকা বিনিয়োগ করার প্রচুর অপশন আজকের দিনে এভেলেবেল রয়েছে। আপনি চাইলে বন্ড গুলিতেও ইনভেস্ট করতে পারেন যেখানে আপনি কোন সংস্থাকে টাকা ধার দেবেন এবং সেই সংস্থা মুনাফা অর্জন করলে আপনিও একইসাথে মুনাফা অর্জন করবেন। যদি আপনি কোথায় আর কিভাবে ইনভেস্ট করতে শুরু করবেন সেটা নিয়ে কনফিউজ থাকেন তাহলে আপনি মিউচুয়াল ফান্ড গুলিতে ইনভেস্ট করতে পারেন।
এতে আপনার বিনিয়োগ করা টাকা গুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাগ হয়ে বিনিয়োগ হয়ে যাবে। তার ফলে ঝুঁকিটাও কম হয়ে যাবে। তবে টাকা বিনিয়োগ করার আগেই ইনভেস্টমেন্ট ওয়ার্ল্ড কিভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে আপনার বেসিক ধারণা থাকা অবশ্যই দরকার। এর জন্য আপনি কোন বিশ্বাসযোগ্য ফাইনান্সিয়াল এডভাইসর সাহায্য নিতে পারেন। আপনি চাইলে এর জন্য Zerodha সাহায্য নিতে পারেন।
আপনি এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে গুগলে সার্চ করতে পারেন। আপনি Zerodha তে গিয়ে আপনার নাম ও মোবাইল নাম্বার লিখে সাবমিট করলে জিরোদা টিমের তরফ থেকে আপনাকে ফোন করে তারা আপনাকে পার্সোনালি গাইড করবে আপনার ইনভেসমেন্ট ডিসিশন নেওয়ার জন্য। তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। টাকার পিছনে অন্ধের মত ছুটলে আপনি বিপদে পড়বেন ভাবনা-চিন্তা করে ডিসিশন নিন এবং দীর্ঘ দিনের জন্য ইনভেস্ট করুন।
এটুকু করতে পারলেই আপনি খুব শীঘ্রই ধনী হয়ে উঠবেন।ফাইন্যান্সিয়াল এডুকেশন বর্তমান সময়ের একটা সুপারপাওয়ার বলা চলে আর তাই এই ব্যাপারে প্রতিদিন একটু একটু করে নতুন কিছু শিখতে থাকুন। এই জিনিসগুলো আমি Conor Richardson এর লেখা Millennial Money Makeover বইটি থেকে শিখেছি।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
ভালো লাগলে আমার সাইটের পোস্ট গুলি দেখে আসতে পারেন এখানে আমি প্রতিদিন নতুন নতুন আপডেট দিয়ে থাকি আজকের আপডেট
link:
2 thoughts on "এতো টাকা ইনকাম করে যদি সঞ্চয় করতে না পারেন তাহলে কি লাভ। চালাকি করে টাকা ম্যানেজ করতে শিখুন।"