আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনার হয়তো আর্টিকেলটার টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন যে আজকে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনারা যদি আর্টিকেলে কোন ভুল পান তাহলে আমাকে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন আমি ঠিক করবো ইনশাআল্লাহ। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল টপিকে চলে যাওয়া যাক।

আমরা কিন্তু খাদ্যের ব্যাপারে খুবই সচেতন। আপনারা কি জানেন খাদ্যের সাথে কিডনির একটা সম্পর্ক আছে। সব খাদ্যই ভালো তা কিন্তু নয়। কিছু খাদ্য আছে যা কিডনির জন্য হুমকি স্বরূপ। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কি কি??

১. অতি ভোজন

খাবার যাই হোক না কেন, অতি ভোজনের কারণে যদি কারো ওজন বেড়ে যায় তাহলে সেই ওজনের জন্য সরাসরি কিডনি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।

২. অতিরিক্ত লবণ

যারা অতিরিক্ত লবণ খাই এই লবণের জন্য তাদের সরাসরি প্রেসার বেড়ে যাই। এবং এই লবণের জন্য কিডনিরও ক্ষতি হতে পারে। আর যারা অতিরিক্ত লবণ খাই তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেজন্য অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে।

৩. অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি।

যাদের ডায়বেটিস আছে তাদেরতো মিষ্টি জাতীয় খাবার অবশ্যই পরিহার করতে হবে। আর তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও চিনিটাকে পরিহার করতে হবে।তবে ফলমূলে যে মিষ্টি থাকে সেগুলো কিন্তু খেতে পারেন। কারন সেগুলো কিডনির কোন ক্ষতি করে না। তা থেকে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু সরাসরি মিষ্টি খাওয়া খুবই ঝুকিপূর্ণ। যেমন: কোমল পানীয়। ১ বোতল কোমল পণীয় অর্থাৎ ২৫০ ml যে বোতল থাকে সেখানে ৪৫ গ্রাম এর মতো চিনি থাকে। আর ১ গ্রাম চিনিতে 4.50 কিলো ক্যলোরি থাকে। তাহলে আপনারাই বলেন এটা কতটা ক্ষতিকর এবং এই চিনি সরাসরি রক্তে গিয়ে মেশে।

৪. কোলেস্ট্রল যুক্ত খাবার।

আমরা যে খাবার খাই এবং যে প্রানিজ তেল আছে যেমন গরু , খাসি, এগুলোর চর্বিতে প্রচুর পরিমানে কোলেস্ট্রল থাকে। আবার ঘি, মাখন এগুলোতেও প্রচুর কোলেস্ট্রল থাকে। কাজেই কোলেস্ট্রল যুক্ত যে সকল খাবার আছে সেগুলো পরিহার করতে হবে। কারণ এই কোলেস্ট্রল রক্ত নালীতে জমে থাকে। তো আমরাতো জানি যে কিডনিতে রক্তনালীর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কারণ এটা আমাদের শরীরের ১৫০ ভাগের ১ ভাগ হলো কিডনির ওজন। আর এই কিডনিতে রক্ত যায় ৪ ভাগের ১ ভাগ। তাই কোলেস্ট্রল কিডনির রক্তনালীকে ড্যমেজ করে।

৫. অতিরিক্ত তেলে ভাজাপোড়া

অতিরিক্ত ভাজা পোড়া রক্তনালীকে ড্যামেজ করে দেয়। এজন্য কখনো তেল ভাজা জিনিস খাবেন না। আর যদি খেতেই হয় তবে গ্রিল করে বা পুড়িয়ে খাবেন। কিন্তু তেলে ভেজে খাবেন না।

তো বন্ধুরা এই খাবারগুলোই কিডনির বেশি ক্ষতি করে। তাই উপরে উল্লক্ষিত খাবার গুলোকে এড়িয়ে চলুন। তাহলে কিডনির সমস্যা থেকে রেহায় পাবেন।
আর আজকের আর্টিকেলটা যদি ভালো লাগে তাহলে একটি লাইক দিয়ে যাবেন। একটা কমেন্ট করে এরকম আরো আর্টিকেল বানাতে আমাদের উৎসাহিত করুন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।