আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আলোচনা করব ধনী লোকেরা কেন বেশি করে বই পড়ে। চলুন শুরু করা যাক:
ধনী লোকেরা কেন এতো বই পড়ে
একটাই ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় যখন ওয়ারেন বাফেটকে ইয়ংস্টারদের জন্য একটা এডভাইস দিতে বলা হয়েছিল। ওয়ারেন বাফেট তখন একটাই কথা বলেছিলেন Read A Lot ওয়ারেন বাফেট বই পড়া এই হাবিটকে তার সাফল্যের রহস্য বলে মনে করেন। ওয়ারেন বাফেট হোক বা বিল গেটস হোক এনারা সবাই বই পড়াকে তাদের সাকসেস টুল বলে মনে করেন। কিন্তু এটা ভাবার বিষয় কেন বেশির ভাগ সফল ব্যক্তিরা বই পড়াটাকে এতটা গুরুত্ব দেন।
উত্তরটা খুবই সহজ আপনি যদি বিল গেট্স, ওয়ারেন বাফেট, ইলন মাস্কের মতো সফল ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিখতে চান কিভাবে নিজের জীবনে আরও উন্নতি করা যায় তাহলে আপনি সরাসরি তাদের কাছ থেকে শিখতে পারবেন না। কারণ এই সফল ব্যক্তিদের কাছে আপনার কাছে বসে আপনাকে এইসব কিছু শেখানোর সময় নেই। কিন্তু তারা তাদের সারা জীবনের নলেজ ও এক্সপিরিয়েন্স বইয়ের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তাদের লেখা বই পড়ে আপনি তাদের জীবন থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
শুধু তাই নয় এমন অনেকেই আছে শুধু বই পড়ে অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা নেয় যাতে সেই ভুলগুলো আবার তারা নিজেরা না করে। বই পড়ার বেনিফিট জেনে সফল ব্যক্তিদের এডভাইস নিয়ে অনেকেই অনেক সময় বই পড়তে আগ্রহ দেখায় কিন্তু একপাতা পড়ার পরই তাদের ঘুম পেয়ে যায়। কিছু মানুষ আছে যারা ভালো বইয়ের কথা শুনে ফুট করে বইটা কিনে নেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত বইটা পড়ে শেষ করতে পারেন না। আপনাকে কি একই সমস্যা আছে আপনিও কি বই পড়তে চান কিন্তু পড়তে পারেন না।
যদি এর উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আপনি একেবারে সঠিক জায়গায় আছেন। কারণ আজকে এই সমস্যার সমাধানের এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে শুধু বই পড়ার বেনিফিট সম্পর্কেই বলবোনা কিভাবে আপনি একটা পুরো বই পড়ে শেষ করবেন তাও শেখাবো। আপনি যদি সত্যিই বই পড়তে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ুন।
ওয়ারেন বাফেট এর কথা যদি বলি ওয়ারেন বাফেট 11 বছর বয়স থেকে ফাইন্যান্স রিলেটেড বই পড়া শুরু করেন। তিনি এত বেশি বই পড়তে যে তার শহরের যত লাইব্রেরি ছিল।সেগুলো তার কাছে কম বলে মনে হতো শুধু তাই নয় 91 বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেট এখনো প্রতিদিন 500 পৃষ্ঠা করে পড়েন। তাই তার পড়ার কোন শেষ নেই। কিন্তু কেন বেশিরভাগ মানুষ বই পড়তে পারে না হয়তো এই প্রশ্ন আপনার মনেও আসতে পারে উত্তরটা খুবই সহজ আর সেটা হলো যে যখন কোন বই পড়ার কথা হয় তখন লোকেরা বই পড়াকে একটা বিশাল কাজ বলে মনে করে।
আপনি আমাকে বলুন আপনাকে ইউটিউবে ভিডিও দেখতে বা পাবজি ফ্রী ফায়ার গেম খেলাটা কোন বিশাল বড় কাজ বলে মনে হয় না তো কারণ আপনি কাজগুলো করে মজা পান। কিন্তু যখনই বই পড়তে বলা হয় তখনই সবাই খুব সিরিয়াস হয়ে যায় বই পড়ার নাম শুনলেই মনে নানা ধরনের অদ্ভুত প্রশ্ন আসতে থাকে। কোন বই পড়বো কতক্ষণ করে পড়বো কিভাবে পড়বো ফিজিক্যাল বই না ইবুক কোনটা পড়বো। এমন অদ্ভুত অদ্ভুত প্রশ্ন বই পড়ার আগেই আমাদের মনে আসতে শুরু করে দেয়। যার কারণে আমরা পড়তে বসতে পারি না।
আর কোনরকমে পড়তে বসলেও দুই মিনিটের বেশি পড়তে পারি না। তাই আমি আপনাকে বলতে চাই যে আপনি যদি সত্যিই বই পড়ার হেভিট তৈরি করতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে সিরিয়াসলি বই পড়া বন্ধ করতে হবে আর অন্যান্য হেবিট গুলোর মতই চিল করতে করতে অল্প অল্প করে বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে। এমন নয় যে প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে বই পড়ে শেষ করতে হবে। প্রতিদিন একটু একটু করে কিছুক্ষণ বই পড়েও আপনি সহজেই এই ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
বই পড়তে না পারার দ্বিতীয় বড় কারণ হল বই পড়ার সময় না পাওয়া। রোজকার ব্যস্ততা জীবনে ন’টা থেকে পাঁচটার মধ্যে বই পড়ার জন্য সময় বের করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। এমনকি আজকাল তো কিছু মানুষ তাদের so-called বিডি স্কেজিউল নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকে যে তাদের খাবার খাওয়ার সময় থাকে না। আপনি যদি এই ধরনের জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হোন তাহলে আপনাকে একটু নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে কারণ আপনার জীবন আপনি যেমনটা ভাবছেন তা মোটেও নয়। বরং আপনার জীবন চলছে অটোপাইলট মোডে।
আপনি প্রতিদিন একটা অটো পাইলেটস কেডিএম ফলো করছে। যার কারণে আপনার হাতে সময় থাকে না। কিন্তু আপনি কনশাসলি আপনার Schedule দিকে মনোযোগ দিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন যে আপনি যতটা ভাবছেন ততটা ব্যস্ত আপনি নন। কারণ সারাদিনের ব্যস্ততার পর আপনার হাতে এক থেকে দুই ঘন্টা বাঁকি থাকে যা এখানে ওখানে নষ্ট হয়। এই সর্ট ফ্রি টাইম গুলোকে টাইম পকেট বলা হয়। যেমন বাড়ি থেকে অফিসে পৌঁছানো পর্যন্ত এই টাইম পকেট আপনি চাইলে আপনার কাজে লাগাতে পারেন।
যদি আপনি সেই সময়টা বই পড়ার জন্য ব্যবহার করেন। একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করলেই আপনি আপনার বিজি সিডিউলে এরকমই অনেক টাইম পকেট দেখতে পাবেন। তাই নিজেকে এটা বলা বন্ধ করুন যে আপনার কাছে সময় নেই আর বই পড়ার জন্য এই ধরনের টাইম পকেটকে কাজে লাগান। এবার সবচেয়ে সেই প্রশ্নে আসা যাক বই পড়ার সঠিক পদ্ধতি কি কারণ এটাই সবচেয়ে বড় কারণ বেশিরভাগ লোক কখন বই পড়া শুরু করতে পারে না অনেকেই বই পড়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাই।
তবে যদি আমি আপনাকে বলি যে বই পড়ার কোন সঠিক পদ্ধতি নেই আপনি যেভাবে পড়ছেন সেটাই সঠিক পদ্ধতি। কেউ কেউ একটা বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরে আবার কেউ কেউ কোন বইয়ের মাঝখান থেকে কয়েকটা চ্যাপ্টার পরে তাই কিভাবে বই পড়ছেন সেটা ম্যাটার করে না রিডিং হাবিট ডেভলপ করার জন্য সব থেকে জরুরি হলো রোজ অল্প করে হলেও বইপড়া।
এই পোস্টটি প্রথম প্রকাশিত হয় আমার সাইডে যা আমার নিজের লেখা ভালো লাগলে আমার সাইটটিতে ঘুরে আসতে পারেন
আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন। আর trickbd এর সাথে থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
এখন কিনে রেখে দিয়েছি কিন্তু পড়া হয় না!
আমি যদি “টেক্সট টু স্পিচ” অ্যাপ এর মাধ্যমে বই এর লেখাগুলো শুনে নেই তাহলে কি বই পড়ার মত সেইম উপকারিতা পাব?
“প্রযুক্তি আমাদের মুর্খ বানিয়ে দিবে” মানতে কষ্ট হলে সত্যি।
মানুষ নগরীক হলে যেমনটা অমানুষ হয়ে ওঠে ঠিক তেমনি।
আপনার পোস্ট পড়ে উৎসাহিত হলাম।
ধন্যবাদ ভাই ❤️