আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়।


বর্তমানে স্মার্টফোন সবার কাছেই রয়েছে। স্মার্টফোনের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্মার্টফোের প্রাইস অনেক কম হওয়ার বর্তমানে সবাই ব্যবহার করে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে বর্তমানে অনেক কিছুই করা যায়। একটা মোবাইলে ভিতরে এখন প্রায় সব কিছু ডুকে পড়েছে।

আগে মোবাইল ফোন ছিল শুধু কথা বলার জন্য কিন্তু এখন এমন একটা যুগ এসে পড়েছে মোবাইলের মধ্যে সব রয়েছে। বর্তমানে যুবকেরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে কথা বলার চেয়ে ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করে। সারাদিন রাত সস্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্ম ব্যবহার করে।

বিভিন্ন অনলাইন গেইমে সারাদিন ডুবে থাকে। বর্তমানে অনলাইন গেইম যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই অনলাইন গেইমের জন্য যুবক সমাজ মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এখন ছোট ছেলে মেয়েদের হাতেও স্মার্টফোন দেখা যায়। ছোট বাচ্চারা এখন মোবাইলে সারাদিন কাটুনে আসক্ত থাকে।

যুবক সমাজ সারাদিন গেইম অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্মে চ্যাটিং, নিউজ ফিডে স্কলিং চলে। বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়ে গেছে মন না চাইলেও মানুষ অনলাইনে একটিভ থাকে। ছাত্র ছাত্রীরা বই খুলে মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করে। সব সময় নোটিফিকেশন চেক করে। কে পোস্টে লাইক দিল কে পোস্টে কমেন্ট করল কেউ মেসেজ দিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আজকাল বাবা মায়েরও ছোট পোলাপানদের শান্ত করার জন্য হাতে ফোন ধরিয়ে দেয়। এই ফোন মানুষের মাথা খেয়েছে। আগে যেখানে সব বন্ধু মিলে একসাথে আড্ডা দেওয়া হতো। একজন আরেকজনের খোঁজ খবর নিত কত মজার মজার আলাপ হতো। আর এখন সবাই একসাথে হলে সবাই সবার মোবাইল হাতে নিয়ে গুতাগুতি করছে। কেউ কারো কথা শুনার টাইম নাই।

মোবাইলে আসক্তি এখন অন্যান্য নেশার চেয়েও মারাত্মক হয়ে গেছে। একজন যুবক ছেলে একবেলা না খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারবে কিন্তু মোবাইল ছাড়া ১৫ মিনিটও কাটাতে পারবে না। ইন্টারনেট হাতের মুঠোয় আসার কারণে ইন্টারনেটের ভালো ব্যবহারের চেয়ে খারাপ ব্যবহার বেশি হচ্ছে।

আমি এই আর্টিকেলে মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলো উল্লেখ করব। এই উপায় গুলো ফলো করলে ইনশাআল্লাহ আপনি মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন। তো চলুন আর বেশি কথা না বলে মূল আলোচনায় চলে যাই।

১. পড়াশোনায় মন দেওয়া

কি ভাল আপনার সমস্যা কি পড়াশোনা বাদ দিয়ে সব সময় গেইম নিয়ে পরে থাকেন। বাপের হোটেলে বসে বসে খাওয়া দাওয়া করেন আর গেইম খেলেন। জীবনে উন্নতি করার কোন চিন্তা ভাবনা নাই নাকি। নিজেকে পড়াশোনায় ব্যস্ত রাখেন। মোবাইল সাইলেন্ট করে আম্মুর কাছে জমা দিয়ে পড়তে বসবেন।

পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোবাইলের চিন্তা করবেন না। সব পড়া শেষ করে তার মোবাইল ব্যবহার করবেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ কোন কারণে। অপ্রয়োজনে গেইম খেলার কেনো মানে হয় না। খেলতে পারেন কোন কাজ নাই পড়াশোনা করে ফেলেছেন তখন কিছু সময় খেলতে পারেন। কিন্তু বাঙালি তো গেইম চালু করলে আশেপাশে কি হচ্ছে কিছুই বলতে পারবে না। তাই মোবাইল বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মন দেন।

২. নোটিফিকেশন বন্ধ রাখেন।

কি ভাই মোবাইল কি আপনিই ব্যবহার করেন আর কেউ ব্যবহার করে না। সারাদিন ফোনে পকিং পকিং করে সমস্যাটা কি। ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ করেন। দিনে একটা সময় নিধারিত করেন ঐ সময় সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্মের মেসেজ, নোটিফিকেশন সব দেখবেন।

এভাবে সারাদিন পকিং পকিং করলে সব ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আর এভাবে সারাদিন চ্যাটিং করলে চোখে চশমা দুইটা ব্যবহার করলেও চোখে কিছু দেখা যাবে না। পোলাপান গেইম শুরু করলে মনে হয় মোবাইলের মধ্যে ডুকে যাবে। কিছু কিছু পোলাপানের মাথায় চেয়ে হাতের আঙ্গুল আগে চলে। গেইম খেলার সময় দুই হাতের আঙ্গুল আলোর গতিতে কাজ করে।

৩. গ্রুপ চ্যাটিং বন্ধ

ছেলে মেয়ে এক গ্রুপে থাকলে গ্রুপের বারোটা বেজে যায়। সব পোলাপান একসাথে আজাইরা গপ্পো শুরু করলে ঐ দিন মোবাইলে চার্জ শেষ হয়ে যাবে কিন্তু গপ্পো শেষ হবে না। মোবাইল আসক্তির এটা একটা অন্যতম কারণ। সারাদিন মেয়ে বন্ধুর সাথে আজাইরা গপ্পো। খাইতে গেলেও গপ্পো, পড়তে গেলেও গপ্পো, ঘুমাতে গেলেও গপ্পো, টয়লেটে গেলেও চলে।

আরে ভাই টয়লেট হলো পারসোনাল মূহুর্ত এখানে গপ্পো করতে হয়। মানে এরা এমনভাবে কথা বলে সারাদিন কথা বললেও এদের কথা শেষ হয় না। মনে হয় পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জীবন গল্প কেউ একজন বলছে আরেকজন হু হু হু করছে।

৪. বিকেলে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করা।

বিকেল হলেও সব বন্ধু মিলে দোকান কিংবা মাঠ বসে মোবাইলে গেইম খেলা শুরু হয়ে যায়। মানে শারীরিক খেলাধুলা নেই মাথার খেলাধুলা চলে মোবাইলে। এখন থেকে মোবাইল রেখে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ইত্যাদি খেলা খেলতে পারেন।

যতটা পারেন মোবাইল থেকে দূরে থাকবেন। প্রয়োজন ছাড়া মোবাইলে হাত দিবেন না। মোবাইল ছাড়া অন্যান্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন। তাহলে আপনি মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন।

৫. সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাপ ইন্সটল না করা

আপনার মেবাইলের যদি সব সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকে এবং প্রতিদিন যদি সেগুলো ব্যবহার করেন তাহলে চিন্তা করে দেখতে ঐ অ্যাপ গুলোর পিছনে কত সময় যাচ্ছে। Facebook, Instagram, Twitter, WhatsApp, Imo, Tiktok, YouTube, Snapchat, Telegram, Discord ইত্যাদি। এসব অ্যাপ একবার ওপেন করলে সেখানে কত সময় পার করেন।

একটা অ্যাপে যদি ১০ মিনিট করে পার করেন তাহলে ১০টা অ্যাপে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট পর হয়ে যায়। আপনি যদি একটা বই হাতে নিয়ে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট পড়েন তাহলে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই এসব আজাইরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্মে টাইম নষ্ট না করে পড়াশোনার মন দেন।

সর্বশেষ কিছু কথা

মোবাইল আসক্তিতে বর্তমানে কম বেশি সবাই রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আসক্তির কারণে আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং লেখাপড়ার নষ্ট হচ্ছে। মানুষের সব সময় নতুন জিনিসের উপর বেশি আকর্ষন থাকে। মোবাইলে নতুন অনলাইন গেইম আসলে সেটা খেলে দেখতেই পারেন।

কিন্তু সেটার জন্য আসক্ত হয়ে যাওয়া সব সময় ওটা নিয়ে পরে থাকা এটা ঠিক নয়। বর্তমানে মানুষকে ধ্বংস করার জন্য মদ, গাঁজা লাগে না। একটা মোবাইলই যথেষ্ট। কারণ এই মোবাইল বড়দের নয় মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়া শিশুকেও ধ্বংস করছে। ছোট বাচ্চাকে মোবাইল দেওয়া এটা একদম ঠিক নয়। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

19 thoughts on "আপনি কি মোবাইলে আসক্ত। মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়।"

  1. মজার পোষ্ট।মানুষ মরে জাবে তবুও ফোন ছারবে না ভাই। আর ভালোই লিখেছেন।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ।
    2. ওয়েলকাম।
    3. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ওকে।
  2. Sk Shipon Author says:
    দরকারি ও উপকারি পোস্ট। কিন্তু ফোন রেখে কেউ যাবে না,কঠিন আসক্ত হয়ে গেছে সবাই এই ফোনের প্রতি।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      চেষ্টা করলে সব সম্ভব।
    2. Sk Shipon Author says:
      ঠিক বলেছেন, আগের দিন গুলো কত সুন্দর ছিল। সবাই বসে আড্ডা দিতাম। আর এখন ফোন এসে সবাই সে সময় ফোনে দিচ্ছে।
  3. Md Sadrul Hasan Dider Contributor says:
    খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ।
  4. NaYaN Contributor says:
    Apni koi gonta tipen??
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      যখন পোস্ট লিখি তখন আর যখন প্রয়োজন হয়
  5. Sabbir Mahmud Contributor says:
    ধন্যবাদ ❤
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      Welcome
  6. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    সব নিয়ম মেনে চলি তবুও আসক্তি তো যাই না ভাই
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      সব সময় মোবাইলের চিন্তা মাথায় থাকলে তো আসক্তি যাবেই না
    2. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
      আমার মনে হয় মোবাইল ছাড়া চলাই মুশকিল
    3. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      মোবাইল ছাড়া চলা মুশকিল হবে কেন..? আপনি সারাদিন মোবাইল দিয়ে কি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন তার একটা লিস্ট করেন। তাহলে বুঝতে পারবেন মোবাইল আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাকি হুদাই

Leave a Reply