* স্পয়েলার ফ্রি রিভিউঃ BLACK
PANTHER **
প্রথমেই বলে রাখি, এযাবতকালে দেখা
মার্ভেল স্টুডিওর বেস্ট ক্রিয়েশন!! একটা
অরিজিন স্ট্যান্ডালন মুভি তাও আবার
সুপারহিরো জান্রার, এমন অদ্ভুত সুন্দর
হতে পারে তা হয়তো ব্ল্যাক প্যান্থার
দেখা না অব্দি বুঝতে পারতাম না। তাই
সবার আগে অসংখ্য ধন্যবাদ মুভি
ডিরেক্টর Ryan Coogler কে এমন একটি
মুভি উপহার দেয়ার জন্য। আমি তাঁকে
ডিরেক্টর বলতে চাইছি না! এমন
ক্রিয়েটিভ ও অতুলনীয়া মুভি সেন্স তাঁর
মাঝে আছে যে তাকে সেন্সেশনাল মুভি
ক্রিয়েশনের পিকাসো বললে ভুল হবে না।
প্রতিটা এক্টকে তিনি মানুষের
স্বাভাবিক মুভি সেন্সের বাইরে থেকে
তুলে ধরে এনেছেন। যা মানুষের কাছে
সম্পুর্ণই নতুন এবং চমকপ্রদ। একটা
সাইন্টিফিক্যালি এবং
টেকনোলজিক্যালি সুপার এডভান্সড
কান্ট্রিকে কল্পনার জগৎ থেকে বাস্তবে
রূপ দেওয়ায় তিনি যে কতটা সফল তা মুভি
না দেখে বুঝবেন না। হ্যা কিছুটা চোখে
পড়ার মতো গ্রাফিক ছিল, Not welly taken
care of কিন্তু তাও আড়াল করেছে তার
ক্রিয়েটিভিটি। নতুন একটা কমিক মুভি
জেনারেশন কে স্বাগতম জানালাম
ব্ল্যাক প্যান্থার এর মাধ্যমে!
এবার আসি কাস্ট মেম্বারদের কথায়।
রিভিউ পোস্টে টি’চালা কিংবা
প্যান্থার গড এর ছবি না দিয়ে এরিক
কিলমংগার এর ছবি দিলাম কেন? কারন
পুরা মুভিটায় তার ক্যারেক্টার এবং
এক্টিংটা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট
করেছে। তার অরিজিন টাও খুব সুন্দরভাবে
দেখানো হয়েছে। লাইক আপনি ডিসিশন
নিতে যেয়ে আটকে যাবেন মাইকেল বি.
জর্ডান অর চ্যাডউইক বোজম্যান, আমি
কার মুভি দেখতে আসছি মেইনলি!! তার
স্টরিটা অবশ্যই আপনাকে মোহে জড়াবে,
তার প্রতি লাস্ট মোমেন্ট পর্যন্ত আপনার
একটা সফট পয়েন্ট কাজ করবে। তবে
কিলমংগার চরিত্রে সে ছিল অটুট এবং
এককথায় BADASS!! ২য় দফায় নাম আসে
প্রিন্সেস শুরি চরিত্রে অভিনীত
লেটিশিয়া রাইটের। তার প্রতি এতো
আশা ছিল না মুভি দেখার আগ পর্যন্ত
কিন্তু শেষমেশ শুরি পুরো মুভিটার সব
সিনেই অসাধারণ এক্টিং করেছে। ফানি,
নার্ডি এবং অতীব ব্রিলিয়ান্ট এই
মেয়েটা সম্পূর্ণ মুভি জুড়ে লিড দিয়েছে
এরপর নাকিয়া চরিত্রে অভিনয় করা
লুপিতা নি’ইয়োনগোর ক্ষেত্রেও সেইম
ফিলিংস। মুভিটায় তাকে যখন দরকার
ঠিক তখনই হাজির এমন মনে হয়েছে। Not
like so obvious but like, “hell ya, she came!”
বেশকিছু মেজর এক্ট এ সে আছে যা
সরাসরি টি’চালার সাথে জড়িত। এছাড়া
যাদের এক্ট চোখে পড়ার মত ছিল, যেমন-
এজেন্ট রস্স চরিত্রে মার্টিন ফ্রিম্যান,
ফরেস্ট হুইট্টেকার [রোল প্লে মুভিতেই
দেখবেন] , ডানাই গুরিরা এজ অকো-ই,
এন্ডি সার্কিস এজ ক্লো এবং উইন্সটন
ডিউক যার চরিত্রটা পুরাই এক্সেপশনাল
বাট মজাদার; এদের সবাই বেশ মেজর
রোল প্লে করেছে।
সবশেষে আসছি চ্যাডউইক বোজম্যান এর
কথায়। বলা বাকি নেই কারো যে সে কত
পার্ফেক্ট একজন কাস্ট টি’চালা রোলটার
জন্য! কিন্তু সত্যি বলতে আমি বাকি সবার
এক্টিং দেখে তাকে খুবই তাচ্ছিল্য
করেছি কোনো রিজন আমি দেখাতে
পারবো না কেন! কিন্তু কোনোরকম
আনপ্লিজেন্ট এক্টিং পাই নাই এটা
শিউর। কিন্তু বাকিরা যেই হারে আগুন
জ্বালাইছে সেই তুলনায় তার আগুন খুব কমই
তীব্র
এখন মুভি নিয়ে আলাপন!
এক্সপেকটেশন যা ছিল তাই পেয়েছি! এর
চেয়ে আশা করি নাই একটা সলো
অরিজিন মুভিতে। প্রতিটা সিন দেখানোর
ভিউটাই অন্যরকম। মুভির শুরু থেকেই এক
ভিন্ন দুনিয়ায় চলে যাবেন। শুরু থেকেই
যেন ঘটনার সূত্রপাত। শেষে গিয়ে আবার
যেন মনে হবে একটা নতুন শুরু। আরকি
এমনভাবে দেখানো হয়েছে সিনগুলো যেন
আপনার চিন্তা ভাবনাই একটু Out of the
Box এ থাকে। পুরো মুভিতে ভিন্ন ভিন্ন
সিনে ভিন্ন ভিন্ন মিউজিক আর
মিউজিকগুলো গাঁ নাড়া দেওয়ার মত! ভিউ
+মিউজিক দুটো একসাথে আপনাকে অন্য
দুনিয়ায় নিয়ে যাবে। কালার স্যাচুরেশন
ওয়েললি ম্যানেজড। মার্ভেল স্টুডিও
কালারফুল মুভি তৈরিতে যেমন পারদর্শী
তেমনি কস্টিউমেও। একটা ভিন্ন ধাঁচের
ফ্যাশন সেন্স একটা ভিন্ন জেনারেশনের
কান্ট্রির জন্য, এটাই স্বাভাবিক! তাও সে
জিনিস্টা যেভাবে ফুটিয়ে উঠিয়েছে
তাতে আপনার খুব শার্প নজর রাখতে হবে
না তাদের ফ্যশন বা স্টাইলের দিকে। এখন
পর্যন্ত টেকনোলোজির যেই ধারা
দেখেছি তার থেকেও এডভান্সড কিছুর
ব্যবহার দেখে আমি পুরো মুভিতে ৩বার
মাথায় হাত দিয়েছি!! হিউজ এমাউন্ট অব
এক্সারশন দেয়া হয়েছে শুধু
টেকনলজিকাল ইকিউপমেন্টের উপর। শুধু
মিস্টেক আছে একচুয়ালি মিস্টেক না
ল্যাকিং বলব। কিছু চোখে পড়ার মত
ভিএফএক্স যা বেমানান হলেও আড়াল
করেছে তার ফাইটিং সিন। খুবই
অরডিনারি ফাইটিং থেকে কিভাবে
মোশনফুল কিন্তু চোখে পড়ার মত ফাইটিং
এ নিয়ে যেতে হয় তা মুভির ফাইটিং
সিনগুলো দেখে বুঝতে পারবেন। কিছু
মেজর স্টান্ট ছাড়া বাকিসব স্টান্ট
পার্ফেক্টলি ম্যানেজড মনে হয়েছে।
মেজর স্টান্টগুলোয় গ্রাফিকাল কিছুটা
ঘাটতি আছে। আর্টিফেক্টসগুলো খুব
সুন্দরভাবে ইউজ করা হয়েছে। ওভারঅল
মুভিটা অনেক ভাল। ২:১৫ মিনিট সম্পূর্ণ
পয়সা ওসুল! মুভি রানটাইম হিসেবে আমার
রাশ মনে হয় নি, যদিও আরেকটু ডিটেলসে
গেলে ভাল লাগত। আর সব মুভির মত দুইটা
ক্রেডিট ও পোস্ট ক্রেডিট সিন আছেই
বোনাস হিসেবে। মুভিটাকে মার্ভেল
স্টুডিওসের বাইরে রাখলেও কোনো
চিন্তার পরিবর্তন হইত না, মুভিটাই
সর্বেসর্বা!!
কমিক লাভার হিসেবে রেটিং- ৭.৮/১০
মুভির কারুকাজ বিবেচনায়ঃ ৮.২/১০
একজন মুভি লাভার হিসেবে ওভারঅলঃ
৮/১০
মুভিটা দেখে ফেলুন, আশা করি নিরাশ
হবেন না!!
[[ সবার সেন্সের সাথে আমার মিল না
থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যতদূর সম্ভব
হয়েছে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করে
বলেছি কথাগুলো। ফ্যানবয় ভেবে
টিটকারি দেওয়ার আগে জেনে নিন আমি
ডিসি ফ্যান এন্ড আ হার্ড ওয়ান!!]]
ডাওনলোড লিংক একাধিক থাকায় দুইটি ফাইলে দেওয়া হল:
৪০০এম্বি
black panther 480pixel 400mb download links
২০০এম্বি
black panther 480p pixel hevc format 200mb download links
কিভাবে ডাওনলোড করবেন?
স্কিন শর্টে দেখানে নিয়মে যেকোন লিংকে ক্লিক করলেই ডাওনলোড লিংকে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে ডাওনলোড করতে পারবেন।
720p লিংকের জন্য এবং ননতুন সিনেমার লিংক পেতে আমাদের পেজে লাইক দিন
ভালো প্রিন্ট পেলে পরে আপডেট করে দেওয়া হবে।
হল প্রিন্ট ৭২০পিক্সেল নামিয়ে অকারনে এম্বি খরচ। তাই কম এম্বির লিংক দিছি।
ট্রিকবিডিতে একাধিক মুভি শেয়ার নিষিদ্ধ।
thanks for adding hevc link
mb user fact!
আমাদের পেজ লিংক। লিংক কপি করে পেস্ট করুন হয়ে যাবে
রিলিজ পেল গত সপ্তাহে।
১মাস না হলে ভালো প্রিন্ট পাওয়া যায়না।
Hd release chara dekhbo na ..?