ছোটবেলায় হয়তো মুভিটি দেখেছেন,কিন্তু এখনো অনেকেই আছেন যারা প্রায়ই মুভিটি দেখেন।আসলে এটি এমন একটি মুভি যা ৩০০ বার দেখলেও বোধহয় পুরনো হবেনা।
মুভির প্লট নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই,অনেকেরই জানা।তাও যদি কেউ না দেখে থাকেন তাহলে বলি,গল্পটা এক ধনী পরিবারের বাচ্চাকে নিয়ে।একদিন তাকে কোনোভাবে ৩ জন কিডন্যাপার কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় মোটা টাকা ধনীদের থেকে হাতানোর উদ্দেশ্যে।কিন্তু কে জানত,কিডন্যাপাররা নিজেদের পায়েই কুড়ালটা মেরেছে!এই একটা ছোট বাচ্চাই শেষ পর্যন্ত দুর্বিষহ করে তুলবে তাদের জীবন।কিন্তু কিভাবে সম্ভব?সেটাই তো মুভির সবচেয়ে মজার আর আকর্ষণীয় বিষয়।
মুভিটি হিন্দি ডাবিং,অরিজিনাল ভাষায়সহ কতভাবে কতবার যে দেখেছি তার হিসাব নেই।কিন্তু একবারও বোরিং লাগেনা।টিভিতে দেখালে তো সাথে সাথে পরিবার নিয়ে বসে যাই।সবাই মিলেই উপভোগ করি।এই একটা মুভির সাথে যে কত ইমোশন তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।সকলের অভিনয় আর মারাত্মক লেভেলের কমেডিগুলো এখনো মুভিটিকে সবার কাছে স্মরণীয় করে রেখেছে।বিশেষ করে বিল্ডিংয়ের আর চিড়িয়াখানার কমেডিগুলো আমার ফেভারিট।এরকম মুভি আগে কখনো হয়নি আর সামনে হবে কিনা তাও সন্দেহ।নিঃসন্দেহে হলিউডের এভারগ্রীন একটা কমেডি মুভি।
সবমিলিয়ে এক আবেগের নাম Baby’s Day Out।আশা করি এমন কোনো মানুষ নেই যে মুভিটি দেখেন নি।তাও যদি কেউ না দেখে থাকেন দেখে নিতে পারেন।
মুভি সম্পর্কিত কিছু তথ্য
Baby’s day out মুভিটা দেখেননি এরকম মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে!
এই মুভিটা ১৯৯৪ সালে মুক্তি লাভ করে।
মুভিটি সম্পর্কে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে, এই মুভিতে Baby bink নামের ছোটো বাচ্চাটার চরিত্রে দুজন অভিনয় করেছে।
হ্যা, ঠিকই শুনেছেন।
১৯৯২ সালে জন্ম নেয়া ওর্টন ব্রাদার্স নামের আইডেন্টিকাল টুইন অভিনয় করে মুভিটাতে।
বাচ্চা দুটির নাম “জ্যাকব জোসেফ ওর্টন” আর “এডাম রবার্ট ওর্টন”!
মুভিটা দেখে কেউ বুঝতে পেরেছিলেন যে, বাচ্চাটা আসলে একজন না, দুইজন ?
তারা এতটাই আইডেন্টিকাল ছিলো যে, বুঝার উপায় ছিলো না।
▶ যারা এখনও দেখেননাই,তারা অবশ্যই দেখে নিবেন না দেখলে অনেক বড় কিছু মিস করবেন।
5 thoughts on "Baby’s Day Out হিন্দি ডাবড – প্রাণ খুলে হাসতে চাইলে এখনই দেখে নিতে পারেন লিজেন্ডারি কমেডি মুভিটি + লিংক"