আসসালামু আলাইকুম। আজকের এই টপিকটা খুব সাধারণ। আমি ইতোমধ্যে ট্রিকবিডিতে আগেও পোস্ট করেছি।
আজকের লেখার বিষয় অল্প দামে ভালো ফোন, অর্থাৎ এখানে অল্প দাম বলতে ১৩০০০ টাকাকে বুঝাচ্ছি। ১৩০০০ টাকার মধ্যে ভালো ফোন। নিচে কিছু রিভিউ দেয়া হলো।
Infinix hot 11 play
৪ জিবি র্যামের ফোনে মাত্র ৬৪ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি পাই আর ওরা ইনফিনিক্স ফোনে ৪ জিবি র্যামে ১২৮ জিবি রম দিয়ে বসে আছে।
এই জন্যেই আমি ইনফিনক্স কে ব্যাতিক্রম ধর্মী ফোন বলি৷ এছাড়া infinix hot 10 এর মূল্য অনেক কম। এর দাম ১২৯৯০ টাকা (বাংলাদেশি অফিশিয়াল)।
এই ফোনগুলো অনেক রঙে পাওয়া যাচ্ছে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার তুলে ধরা হলো।
- ব্যাটারিঃ ৬০০০ এম্পিয়ার ব্যাটারি।
- প্রোসেসরঃ ফোনটির প্রোসেসর ২.৩ GHz (octa-core)
-র্যাম-রমঃ ফোনটির র্যাম ৪ জিবি রম ১২৮ জিবি।
Samsung Galaxy M02
এই ফোনটি কম অনেক দামে পাওয়া যাচ্ছে তার উপর এটি একগাদা ফিচার সংযুক্ত করা আছে। আমাকে ব্যাক্তিগতভাবে এই ফোনটি অনেক ভালো লাগে। যেহেতু এটা স্যামসাং ফোন তাই এখানে সফটওয়্যার আপডেট এর কোনো সমস্যা নাই।এই ফোনটি দুটি মডেলে পাওয়া যাচ্ছে। একটির র্যাম-রম ২/৩২ জিবি আরেকটির র্যাম-রম হচ্ছে ৩/৩২ জিবি। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আপনাকে ২/৩২ জিবি নেয়ার পরামর্শ দিব। যদি আপনার বাজেট বেশী থাকে তাহলে আপনি ৩/৩২ নিতে পারেন। তবে যেহেতু আপনি অল্প দামে ভালো কোনো ফোন চাচ্ছেন তাই আপনার জন্য ২/৩২ নেয়াটা ভালো হবে।
এর ২/৩২ জিবি র্যাম-রমের দাম হচ্ছে ৮৫৯৯ টাকা এবং ৩/৩২ জিবি র্যাম রমের দাম হচ্ছে ৯৯৯৯ টাকা। নিচে এই দুটি মডেলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার দেয়া হলো।
- -ব্যাটারীঃ এই ফোনের ব্যাটারী হচ্ছে ৫০০০ এম্পিয়ার (non-removal)
- -প্রোসেসরঃ এই ফোনের প্রোসেসর ১.৩ গহ্য
- -ডিসপ্লেঃ এর ডিসপ্লে মোটামুটি অনেক বড় (৬.৫ ইঞ্চি)
- -ক্যামেরাঃ এর পেছনের ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেল + ২ মেগাপিক্সেল। এবং পেছনের ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল।
- -ইউএসবি ও জিপিএসঃ সাপোর্টেড।
- -এন্ড্রোয়েড ভারসনঃ এটি এন্ড্রোয়েড ভারসন 10 দ্বারা তৈরি। (one UI 2.0)
দূর্ভাগ্যজনকভাবে এই ফোনটিতে কোনো ফিনগারপ্রিন্ট নেই। কিন্তু এটাতে ফেস লক আছে।
-কালারঃ এই ফোনটি চারটি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাচ্ছে। যথাক্রমে, black gray, blue, red
Oppo A12
এটা ২০২০ সালের তৈরিকৃত মডেল। এর আগে এই ফোনের দাম ছিলো ১৯৯০ টাকা ছিলো। কিন্তু এখন তা পরিবর্তন করে ৯৯৯০ টাকায় আনা হয়েছে। তবে এই ফোনের নতুন এক মডেল বের হয়েছে যার র্যাম-রম ৪/৬৪ জিবি এবং এর দাম ১৩৯৯০ টাকা, যা অনেক। আমি যে ফোনের কথা বলছি সেটা হচ্ছে ৩/৩২ জিবি র্যাম-রম ওয়ালা ফোন। আমি আবারো বলছি এটির দাম বর্তমানে ৯৯৯০ টাকা।ফোনটিতে রয়েছে ফিনগারপ্রিন্ট, ভালো মানের প্রোসেসর যা কম দামের অন্য কোনো ফোনে নেই। এই ফোনের বিস্তারিত ফিচার তুলে ধরা হলোঃ
- -প্রোসেসরঃ এ ফোনের প্রোসেসর ২.৩ GHz (octa-core)
- -র্যাম-রমঃ (২/৩২) আর (৪/৬৪) জিবি
- -ব্যাটারীঃ এই ফোনের ব্যাটারী হচ্ছে ৪২৩০ এম্পিয়ার (non-removal)
- -ডিসপ্লেঃ এই ফোনের ডিসপ্লে সাইজঃ ৬.২২ ইঞ্চি
- -নেটওয়ার্ক টাইপঃ ফোনটিতে সাপোর্ট করে ২জি, ৩জি,৪জি।
- -এন্ড্রোয়েড ভারসনঃ এন্ড্রোয়েড ৯.০ (ColorOs 6.1)
- -ইউএসবি ও ওটিজিঃ সাপোর্টেড।
- -ক্যামেরাঃ সামনের ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল এবং পেছনের ক্যামেরা ১৩+ ২ মেগাপিক্সেল।
- -ফোনের ওজনঃ এর ওজন ১৬৫ গ্রাম।
এই রকম একটা পোস্ট আমি skilljano.xyz এ দেখেছি। উনার থেকে আমি অণুপ্রানিত হয়ে পোস্ট করলাম। অবশ্যই এটা কপি পোস্ট না। post link
এখানে আমি অল্প দামে দুটি গেমিং ফোন এর রিভিউ দিলাম।
Walton primo H9
প্রকৃত দাম ৯৭৯৯ টাকা। এর র্যাম হচ্ছে ৪ জিবি এবং রম হচ্ছে ৬৪ জিবি। আসল কৌতুহল এখানেই। মাত্র এই টাকাতেই এতো ভালো মানের ফোন পাওয়া যাচ্ছে। বাজেট কম থাকলে এটা কিনতে পারেন। এমনিতে ওয়াল্টন ফোনের বর্তমান কোয়ালিটি অনেক ভালো মানের । নিচে এর সম্পর্রকে বিস্তারিত দেয়া হলো।
- -প্রোসেসরঃ এর প্রোসেসর হচ্ছে 1.8 GHz Octa-Core, ARM Cortex-A53। এর সাথে রয়েছে MediaTek’s Helio A20 চিপসেট। (অসাধারণ)
- -ব্যাটারীঃ এর ব্যাটারি হচ্ছে ৪০০০ এম্পিয়ার।
- -ক্যামেরাঃ এর পিছনের ক্যামেরা হচ্ছে ১৩ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা। সামনে আছে ৮ মেগাপিক্সেল এর full hd ক্যামেরা
- -ফোনটিতে ফিনগারপ্রিন্ট আছে সহ।
।
Realme 5i
আমাদের গেমিং ফোনের তালিকায় এটাকেও রাখলাম। এটি অনেক দিন ধরে ভালো সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। এর দাম বর্তমানে ১২৯৯০ টাকা। নিচে এর কিছু ফিচার দেয়া হলোঃ
- -প্রোসেসরঃ Octa-core (2.0 GHz) এবং সাথে আছে Qualcomm Snapdragon 665 (11 nm). এর চিপসেট।
- -স্টোরেজঃ র্যাম ৪ জিবি রম ৬৪ জিবি।
- -ব্যাটারীঃ ফোনটির রয়েছে ৬০০০ এম্পিয়ার
- ক্যামেরাঃ পিছন ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে চারটি ক্যামেরা ১২+৮+২+২ মেগাপিক্সেল। এবং সামন ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেলের একটি ক্যামেরা।
- -ডিসপ্লেঃ এর ডিসপ্লে ৬.৫২ ইঞ্চি।
তাই ৫০০০ এর ব্যাটারিতেও আশানুরূপ ব্যাকআপ নাই।কোয়াড( ৪) কোরের প্রসেসর তার উপর ৩২ বিটের কারনাল।তাই ৬৪ বিট সাপোর্ট করে না।আরেকটা সমস্যা হল
এতে কোনো কম্পাস বা ম্যাগনেটোমিটার নেই যার ফলে ম্যাপ বা নেভিগশনের সময় আপনার মাথায় হিটিং ইস্যু হতে পারে।
যাচ্ছেতাই মিথ্যে বলে পোস্ট করবেন না।