শুভ সকাল। কেমন আছেন সবাই ? নতুন দিনের সাথে সাথে শুরু করছি আমার আজকের টিউন।

যারা আমার আগের টিউন মিস করেছেন তারা টিউন দুটি দেখে নিন।

প্রতিবারের মত এবারও কিছু নমুনা আগে দেখে নিই। আর যাদের ফাইভার একাউন্ট আছে তারা আমার গিগ গুলোকে ফেভারিট করতে ভুলবেন না যেন।

এখানে ক্লিক করুন।

এখানে ক্লিক করুন।

এখানে ক্লিক করুন।

তাহলে শুরু করা যাক আজকের টিউন।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসকে আমরা সরাসরি একটা বাজারের সাথে তুলনা করতে পারি। আর আমরা সবাই জানি যে কি কি উপাদার থাকলে একটা জায়গাকে আমরা বাজার বলতে পারি।

তাহলে বাজারের মত ফাইভারে ও দোকান (account), ক্রেতা (buyer), বিক্রেতা (seller), প্রোডাক্ট (GIG) থাকে।  এখানে যারা আমার টিউন পড়ছেন তারা সবাই যে বিক্রেতা তা কিন্তু নয়। এদের মদ্ধ্যে অনেকে ক্রেতা থাকতেও পারেন।

গিগ ঃঃ

গিগ হল প্রোডাক্ট। আপনি যে জিনিসটা বিক্রি করবেন সেটাই হল আপনার প্রোডাক্ট বা গিগ। এখন আপনি নিজেই ভেবে দেখুন যে আপনি যখন একটি নতুন জিনিস কিনতে যান তখন কি আপনি শুধু টাকা দিয়ে জিনিস্টা কিনে নিয়ে চলে আসেন ?

অবশ্যই বলবেন “না”। আপনি প্রথমে প্রোডাক্টের গায়ে লেখা (Description) ভালোভাবে পড়েন এবং তারপর দোকানদার কে জিজ্ঞাসা করেন যে প্রোডাক্ট ভালো হবে কিনা।

যদি প্রোডাক্টের গায়ে ময়লা লেগে থাকে তাহলে কি করেন ? হয় অন্য আরেকটা প্রোডাক্ট (GIG) নেন অথবা ময়লা মুছে ভালোভাবে দেখে তারপর নেন।

এখন ভাবুন ফাইভারে আপনি হলেন বিক্রেতা। তাহলে বায়ার এসে প্রথমে দেখবে আপনার প্রোডাক্ট (GIG) দেখবে, তারপর প্রোডাক্টের গায়ের লেখা (Description) পড়বে এরপর আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করবে যে আপনার প্রোডাক্ট ভাল না খারাপ।

তাহলে প্রথমেই আপনার কাজ কি হবে এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন ?

চলুন এবার চিত্রের মাধমে দেখি।

প্রথমে গিগের একটা টাইটেল থাকবে যেমন আপনি যদি বাজারে আটা কিনতে যান তাহলে আপনি কি দেখবেন যে প্যাকেটের গায়ে আটা লেখা আছে সেটাই চাইবেন

আপনার গিগের টাইটেল হতে হবে খুবই সুন্দর যেন বায়ার গিগ টাইটেল দেখেই আপনার গিগ অর্ডার করতে আগ্রহ দেখায়।

একটা জিনিস অবশ্যই মনে রাখবেন,কখনো কারোর গিগ থেকে কপি করা গিগ বর্ণনা (Description)  এবং কপি করা ইমেজ অথবা গুগল থেক ডাউনলোড করা  ইমেজ গিগ এ ব্যবহার করবেন না। নিজের মত করে ছবি সাজিয়ে গিগ ইমেজ ব্যবহার করবেন এবং গিগ বর্ণনা নিজের মত করে যা পারবেন লিখবেন।

যত সুন্দর করে আপনার গিগের বর্ণনা আপনি বায়ারের কাছে উপস্থাপন করবেন আপনার গিগ সেল হওয়ার সম্ভাবনা ও তত বেশি হবে।

গিগ বর্ণনা এর পর হল গিগ ট্যাগ। আপনি যে বিষয়ে গিগ তৈরি করবেন আপনার গিগ ট্যাগ ও তার সাথে সাদৃশ্য রেখে দিবেন।

 

এবার আসি আসল কথায়। আপনি একটি গিগ তৈরি তো করলেন, এবার একই সময়ে কয়েক হাজার লোক গিগ তৈরি করছে তাহলে কার গিগ বেশি সেল হবে।

আপনি ভাবুন, আপনি যখন বাজারে প্রবেশ করলেন – আপনি বাজারের কোন দোকান আগে দেখবেন ? নিশ্চয় বাজারের প্রথমে যে দোকান আছে সেটাতে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস আগে খুজবেন।

ঠিক তেমনই আপনার গিগ যত উপরে থাকবে আপনার গিগ সেল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকবে।

এজন্য আপনার গিগ কে SEO  করতে হবে।

অর্থাৎ আপনার গিগ এর ভিউ,ইম্প্রেশন,ক্লিক যত বেশি হবে, আপনার গিগ তত উপরে উঠবে।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আমার আজকের টিউনটি। টিউনটি কেমন হল জানাতে ভুলবেন না। কারো কোন কিছু জানার থাকলে কমন্টে অবশ্যই লিখতে ভুলবেন না।

যে কোন ধরনের সাহায্যের জন্য কমেন্ট করুন অথবা ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন।

আজ এই পর্যন্তই, আগামী পর্বে আবার দেখা হবে। ততদিন সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ।

3 thoughts on "অনলাইনের মাধ্যমে আয় করুন। (পর্ব-৩)"

  1. robiul Contributor says:
    thanks elder brother…..!
  2. Araf Author says:
    ভাই, Traffic increase-এর কাজটা কিভাবে করে? 🙂
  3. Araf Author says:
    GIG-এর ভিউ, ইম্প্রেশন, ক্লিক, ইত্যাদি কিভাবে বাড়ানো যায়?

Leave a Reply