Be a Trainer! Share your knowledge.
Home » Online Earning » আসো ২০২৫ সালে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করি

আসো ২০২৫ সালে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করি

আমাদের জীবন থেকে আরও একটি বছর চলে গেল। ২০২৪-কে বিদায় জানিয়ে আমরা ২০২৫ নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছি। কিন্তু সত্যি করে বলো তো, লাভ কী? তুমি তো এখনও সেই পুরোনো মানুষটাই আছ। ২০২৫ সালে কি এমন কিছু করবে যা তোমার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে? নাকি ২০২৪-এর মতো ২০২৫ সালটাও এমনিই হারিয়ে যাবে, কোনো অর্জন ছাড়াই? আসো, ২০২৫ সালে একটি চ্যালেঞ্জ নিই। এমন কিছু করি যা আমাদের জীবনে সফলতা আনবে। আজ আমি তোমাদের জন্য তিনটি পদ্ধতির কথা বলবো। এগুলো যদি সঠিকভাবে শুরু করো এবং লেগে থাকো, তবে ২০২৫ সাল হতে পারে তোমার জীবনের সেরা বছর।

বেশি কিছু লিখবো না। তবে যেটুকু লিখবো, একটি লাইনও বাদ দিও না। প্রতিটি লাইনেই তোমার জন্য জ্ঞান রাখার চেষ্টা করেছি যাতে তোমার এক সেকেন্ডও নষ্ট না হয়। তাহলে প্রস্তুত? নতুন বছরে নতুন কিছু শুরু করার জন্য তৈরি তো? শোনো, আমি যা বলতে যাচ্ছি, তা মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং জীবনে প্রয়োগ করো। সফলতা আসবেই। ইনশাআল্লাহ, তুমি শুধু লেগে থাকো আর আমার দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করো। মাসে ৫০,০০০ কেন ? তার থেকেও বেশি আয় করতে পারবে।

তিনটি পদ্ধতি:

এই তিনটি পদ্ধতির কথা হয়তো আগে কোথাও শুনেছ। কারণ এগুলো এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন থেকে আয় করার মাধ্যম। তাই আজ আমি এই তিনটি বিষয়ে তোমাদের জানাবো।

কোনটি করবে?

যেকোনো একটি শুরু করতেই হবে। কারণ ২০২৫ সালে এসে টাকা ইনকাম করা আর আগের মতো সহজ নয়। যে, ২০০০ টাকা কোনো ওয়েবসাইট/অ্যাপে ইনভেস্ট করে প্রতিদিন কিছু বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম শুরু হবে। এত সহজ? আর কতদিন এসবের পেছনে ছুটবে? এসব করে কিছুই হয় না। না কিছু শিখতে পারবে, না কিছু করতে। শুধু সময়, টাকা এবং মেধা নষ্ট হবে। তাই আসো, ২০২৫ সালে একটি নতুন পথে যাত্রা শুরু করি। নতুন কিছু শিখি, নতুন কিছু করি। সফলতা আমাদের অপেক্ষায়।

  

চলো ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি ?

ফ্রিল্যান্সিং নামটা হয়তো অনেকবার, অনেক পোস্টে, অনেক জায়গায় শুনেছ, তাই না? শুনবাই তো, কারণ এটি নাকি একটি মুক্ত পেশা। আসলেই ঠিকই শুনেছ, এটি একটি মুক্ত পেশা। এবং হ্যাঁ, এটি থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এর জন্য তোমাকে যোগ্য হতে হবে, তাই না?

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য তোমাকে বিসিএস দিতে হবে না। খুব বেশি পড়ালেখা করে অনেক বড় কোনো ডিগ্রি লাগবে না। কিন্তু লাগবে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর দক্ষতা। ধরো, তুমি একটা রাজমিস্ত্রির দলের সাথে কাজে লাগতে চাও। এখন তারা কি তোমাকে এমনি এমনি তাদের দলে নিয়ে নেবে? তোমার কোনো যোগ্যতা ছাড়া ? এত সহজ দুনিয়াটা? না ভাই, মোটেও নেবে না।

সামান্য এই রাজমিস্ত্রিদের সাথে কাজ করার জন্যও তোমার মধ্যে কোনো একটা দক্ষতার প্রয়োজন হবে। সেটা কী হতে পারে? যেমন ধরো, তুমি ভালো ইট টানতে পারো। মাথায় করে ৪-৫টা ইট এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যেতে পারো। অথবা এক মস্ত বালির বস্তা বা সিমেন্ট একা একা মাথায় করে নিয়ে যেতে পারো। এইটুকু করতে পারলেই হবে। তখন তারা তোমাকে তাদের দলে কাজে নিয়ে নেবে। সারাদিন কাজ করলে ৫০০৳ হাজিরা পেয়ে যাবে।

তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটাও ঠিক এমনি। যোগ্যতা ছাড়া তুমি করতে পারবে না, ভাই। সে তুমি যতই চেষ্টা করো না কেন।

 ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নিম্নলিখিত কিছু যোগ্যতা থাকা জরুরি:
  1. নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা:
    যেমন:

    • গ্রাফিক ডিজাইন
    • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
    • কন্টেন্ট রাইটিং
    • ভিডিও এডিটিং
    • ডাটা এন্ট্রি
    • ডিজিটাল মার্কেটিং
  2. ইংরেজি ভাষার দক্ষতা:
    • মৌলিক ইংরেজি পড়া, লেখা ও কথা বলার সক্ষমতা। ( খুব বেশি যে ইংরেজি জানা লাগবে এমন কিছু না আমি যখন ফ্রীলান্সিং শুরু করছিলাম তখন আমি সামান্য বেসিক কিছু কিছু ইংরেজি জানতাম এইটুকু আর GOOGLE TRANSLATE থেকে অনুবাদ করেই আমি কাজ চালিয়ে নিতাম । )
    • ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ইংরেজি জানা অত্যন্ত জরুরি।
  3. কম্পিউটার ও ইন্টারনেট জ্ঞান:
    • ই-মেইল ব্যবহারে অভিজ্ঞতা।
    • গুগল এবং অন্যান্য টুলস ব্যবহার করা।
    • দেখো সহজ ভাবে বলতে গেলে তুমি ফেসবুক চালাইতে পারো ? এতো বেশি ফেসবুক না চালিয়ে কিছু সময় ফেসবুক বাদেও যে তোমার ব্রাউজার দিয়ে অনেক গুলো ওয়েবসাইটে যাওয়া যায় সেগুলো একটু ঘাটাঘাটি করো ভাই নাইলে হবে না ।
  4. পরিশ্রম ও ধৈর্য:
    • শিখতে এবং কাজ করতে সময় দিতে হবে।
    • শুরুতে সফলতা না পেলেও হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
    • দুইদিন চেষ্টা করবা তারপর হাল ছেড়ে দিবা আর বলবা এগুলো তোমার দিয়ে হবে না । তাহলে আসলেই ভাই তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না । সব কাজেই ধৈর্য্য অন্ত্যান্ত গুররুতপূর্ণ
  5. ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট স্কিল:
    • কাজের সময় ক্লায়েন্টের প্রয়োজন বুঝে সঠিকভাবে কাজ ডেলিভারির সক্ষমতা।
    • পেশাদার আচরণ বজায় রাখা।
  6. সময়ের প্রতি শ্রদ্ধা:
    • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার অভ্যাস গড়ে তোলা।

এগুলো যদি তুমি আয়ত্ত করতে পারো, তবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে তোমার সফলতা কেউ ঠেকাতে পারবে না। এটা আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি ।

নাকি ইউটিউবিং শুরু করবা ?

ইউটিউবিং হ্যাঁ, অনেক চিন্তা-ভাবনা করেই তোমাদের মধ্যে ইউটিউবের কথাটা তুলে ধরলাম। কারণ, ইউটিউব এখন শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, এটি আয়ের একটি বিশাল উৎস। যদি তুমি ইউটিউবকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারো, তাহলে তুমি আর শুধু ভিডিও দেখবে না—তোমার স্ক্রিনে শুধু টাকা আর টাকা দেখবে। তোমাদের অনেকেই হয়তো ইউটিউবিংয়ের চেষ্টা করেছ। ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজ করার চেষ্টা করেছ। হয়তো কেউ সফল হয়েছ, আবার কেউ মাঝপথে থেমে গেছ। আমি জানি, কারণ বেশিরভাগ মানুষই সঠিক গাইডলাইন আর পরামর্শের অভাবে হাল ছেড়ে দেয় । কিন্তু এখন থেমে থাকার সময় নয়। এবার তোমাদের জেগে ওঠার সময় এসেছে। আবারো শুরু করো নতুন উদ্যমে।

  ইউটিউবিংয়ে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র

১. তোমার কনটেন্টই তোমার হাতিয়ার

ইউটিউবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কনটেন্ট। তুমি যদি মানুষের সমস্যার সমাধান দিতে পারো, তাদের ভালো বিনোদন দিতে পারো, বা তাদের কিছু নতুন শিখতে সাহায্য করতে পারো, তবে তোমার কনটেন্ট সফল হবেই।

উদাহরণস্বরূপ:

  • ভ্রমণ ভিডিও
  • রিভিউ (মোবাইল, ল্যাপটপ, গ্যাজেট)
  • শিক্ষামূলক ভিডিও
  • রান্না বা লাইফস্টাইল ব্লগ
  • গেমিং

২. সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিকতা

  • একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ফোকাস করো।
  • নিয়মিত ভিডিও আপলোড করো (সপ্তাহে ১-২টি হলেও হবে)।
  • ভিডিওর মানের দিকে নজর দাও। ভালো ক্যামেরা, পরিষ্কার অডিও, এবং সুন্দর এডিটিং—এগুলো জরুরি।

৩. মনিটাইজেশন

ইউটিউবে ইনকাম শুরু করতে হলে চ্যানেলের মনিটাইজেশন চালু করা প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন:

  • ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার
  • ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম (গত ১২ মাসে)।
    তুমি যদি নিয়মিত ভালো কনটেন্ট দিতে পারো, তাহলে এই টার্গেট সহজেই অর্জন করতে পারবে।

৪. ইনকামের অন্যান্য উপায়

মনিটাইজেশনের বাইরে ইউটিউব থেকে আয় করার আরও অনেক উপায় আছে। যেমন:

  • স্পন্সরশিপ
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • পেইড প্রমোশন
  • নিজস্ব পণ্য বা কোর্স বিক্রি

৫. সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করো

অনেকেই ইউটিউবিং শুরু করে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেয়। কারণ তারা সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে না। তাই ইউটিউবের নিয়মকানুন শেখো। SEO কৌশল শিখো, যাতে তোমার ভিডিওগুলো সহজেই দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারে। আর ভাই যেই টপিকের উপরেই ভিডিও বানাও না কেনো সেটার উপরেই লেগে থাকো হাল ছেড়ো না । আর উপরের সব বাদ দাও আমি তোমাকে স্পেশাল একটা আইডিয়া দেই AI মানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি নিয়ে ভিডিও শুরু করো প্রচুর টাকা আয় করতে পারবা । ধরো তুমি বাংলা ভাষায় একটা শর্টফিল্ম তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড দিলে সরবোচ্চ ১০০০ ভিউজে ইউটিউব তোমাকে ৫০-৬০ টাকা দিবে । কিন্ত তুমি খুব সহজে একটু প্ররিশ্রম করে AI নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়ে দেখো আর কিছু লাগবে না , ১০০০ ভিউজে তোমাকে ১০০৳-৫০০৳ এর উপরে ইউটিউব তোমাকে দিবে ।

আসো বিজনেস করি ?

অনলাইন বিজনেস

সব ভুলে যাও। যদি উপরের দুইটার মতো অত বেশি পরিশ্রম না করতে চাও, তাহলে আসো বাবা, ব্যবসার পথে আসো। আমি তোমাকে আজকে অনলাইন ব্যবসা শেখাবো। এবং তোমার যেন কোনো কষ্ট না হয়, এজন্য তোমার ব্যবসার আসবাবপত্রগুলো আমি ম্যানেজ করে দেব। তুমি শুধু হালালভাবে ব্যবসাটা পরিচালনা করো, তাহলেই হবে। তুমি তো ফেসবুক চালাও, তাই না? ফেসবুকে ঢুকলেই এখন নানা নিত্যনতুন জিনিসের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আগেকার দিনে শুধু বড় বড় কোম্পানি আর ব্র্যান্ডগুলোর এডস ফেসবুকে বেশি দেখা যেত। তবে এখনকার দিনে একটু খেয়াল করো, খেজুরের গুড় থেকে শুরু করে জামাকাপড়সহ নানা জিনিসপত্র শুধু কোনো ব্র্যান্ড নয়, সাধারণ মানুষেরাও বিক্রি করছে, তাই না? তাহলে? এই জিনিসটা তুমি করছো না কেন? 

দেখো, তোমার মাইন্ড যেমন, তুমি সারাদিন যা দেখবে, যা সার্চ দেবে, তাই তোমার সামনে এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো হাজির করবে। তুমি উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাও। ইউটিউব, গুগল, ইনস্টাগ্রাম—সব জায়গায় শুধু এসবই সার্চ করো। কিভাবে কী ব্যবসা করে সফল হওয়া যায়? এরপর থেকে দেখবে তোমার সামনে শুধু এসব জিনিসই আসবে।

বাদ দাও। আমি তোমাকে অনেক সহজ একটা অনলাইন বিজনেসের কথা বলি। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করো। সেটা হতে পারে ই-কমার্স। সেখানে তুমি নিজে কিছু বিক্রি করো। 

যদি নিজে বিক্রি করা ঝামেলা মনে হয়, তাহলে মাল্টি-ভেন্ডর ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করো। এরপর ওয়েবসাইটটার মার্কেটিংয়ের কাজে লেগে পড়ো। আরে ভাই, ইউটিউবে দুই-একটা ভিডিও দেখো। একটা ওয়েবসাইট মার্কেটিং করার জন্য খুব বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না। একটু মাথা খাটিয়ে কাজ করলেই হয়। আর ওয়েবসাইট তৈরি করাও এখন খুব সহজ। ইউটিউবে সার্চ করো “How to Create a Multi-Vendor E-commerce Website” আর দেখো শত শত ভিডিও পেয়ে যাবে। শুধু ই-কমার্স ওয়েবসাইট নয়, আরও অনেক ধরণের ওয়েবসাইট আছে যা তৈরি করে তুমি টাকা আয় করতে পারবে।
পরিশেষেঃ
ফ্রিল্যান্সিং, ইউটিউবিং, এবং অনলাইন ব্যবসা—এই তিনটি মাধ্যমের যেকোনো একটি বেছে নিয়ে শুরু করা যেতে পারে নতুন পথচলা। মনে রাখবে, সফলতা রাতারাতি আসে না; ধৈর্য এবং ক্রমাগত প্রচেষ্টাই তোমাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। নতুন বছরে আসো, প্রতিজ্ঞা করি যে আমরা নিজেদের উন্নতিতে মনোনিবেশ করব এবং ২০২৫ সালকে জীবনের সবচেয়ে সেরা বছর করে তুলব। সফলতা আমাদের অপেক্ষায়। শুরু হোক নতুন অধ্যায়!
4 days ago (Jan 01, 2025)

About Author (89)

Md Baijit Bustami
author

Try Something New

Trickbd Official Telegram

7 responses to “আসো ২০২৫ সালে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করি”

  1. Tanvirislam Contributor says:

    ইনশাআল্লাহ

  2. Omar Faruk Contributor says:

    পোস্ট দাতার মাসে ইনকাম কত?

  3. SOBUJ12212 Contributor says:

    Apne ki kaj koren vai…?

  4. iboynayem Contributor says:

    **”আপনি কি 1xbet/Linebet/Melbet এর জনপ্রিয় গেমগুলিতে বারবার লস করছেন? যেমন Aviator, Crash, Thimble, Crazy Time, Apple of Fortune, Crystal Place, Kamikaze আরও অনেক কিছু?আপনার জন্য আছে দারুণ সমাধান!
    আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে সম্পূর্ণ ফ্রি জয়েন করুন এবং শিখে নিন কিভাবে এসব গেম হ্যাক করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে হয় সম্পূর্ণ ফ্রিতে।
    এখনই লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন!”**
    https://t.me/+mNY0ra9DvgM4ZTQ1

Leave a Reply

Switch To Desktop Version