আর্টিকেল রাইটিংবা কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
যাদের ইংরেজীতে রয়েছে অগাধ দক্ষতা তারাই নিজেদেরকে রাইটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন অনায়াসে। বিভিন্ন ওয়েব সাইটে বিভিন্ন উদ্দেশে আর্টিকেল লিখা হয়। ব্লগ আরটিকেল ছাড়াও প্রডাক্টের রিভিঊ, সারভিসের সেলস পেজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য রিসোরস বই, ব্রশিউর, লিফলেট বা অন্যান্য প্রচারনার কাজে রাইটারদের আরটিকেল লিখার প্রয়োজন হয়।

প্রকারভেদ :

আর্টিকেল রাইটিংয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ থাকলেও এই লেখায় চার ধরনের কাজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম দুই ধরনের কাজ কম পারিশ্রমিকের। বাকি দু’টি বেশি পারিশ্রমিকের। স্বাভাবিকভাবেই আপনার ভাষাজ্ঞান কম হলে, যোগ্যতা কম থাকলে পরের দু’টি কাজ পাবেন না।

কম পারিশ্রমিকের কাজ দু’টি হলো :
০১. Rewriting এবং
০২. Snippet বা Short Article Writing।

এক কথায় Rewriting হলো একটি ৩০০-৬০০ শব্দের লেখার মূল তথ্য ঠিক রেখে আর্টিকেলটিকে নিজের ভাষায় লেখা যেন পরের লেখাটি প্রথম লেখার নকল না হয়।
আর Snippet বা Short Article Writing হলো কোনো বিষয়ে ১০০-১৭০ শব্দের লেখা তৈরি করা। এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট একটি বিষয়ের ওপরই ৫, ১০, ২০ অথবা ৩০টি লেখা চাইতে পারে।

বেশি পারিশ্রমিকের কাজ দু’টি হলো :
০১. আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং এবং
০২. প্রুফরিডিং ও এডিটিং।

এক কথায় আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং হলো কোনো বিষয়ে ৪০০-৬০০ শব্দের লেখা তৈরি করা, যা কোনোভাবেই কোথাও থেকে হুবহু নিয়ে তুলে দেয়া যাবে না। এটি ধরা পড়লে এক্ষেত্রে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আর Proof reading হলো কোনো লেখার বানান, গ্রামার, স্টাইল ইত্যাদির ভুল শুধরে দেয়া। এর সাথে এডিটিং হলো লেখাটিকে আরো আকর্ষণীয় ও শুদ্ধ করে তোলা।

কীভাবে প্রস্ত্ততি নেবেন :

APA Style, MLA, Chicago style proofreading জানাটা জরুরি। APA হলো American Psychological Association এবং MLA হলো Modern Languages Association. এছাড়া ব্রিটিশ ইংরেজির জন্য অক্সফোর্ড স্টাইলের Proof reading ও Editing জানলেও ভালো কাজ দেবে।
এসব প্রুফরিডিং বিষয়ে অনলাইন থেকে অনেক সাহায্য পাবেন। নীলক্ষেতেও বই পাবেন আশা করি। তবে নিয়মগুলো বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। ওডেস্কে এগুলোর পরীক্ষা আছে। পরীক্ষাগুলোয় প্রথম ১০ শতাংশ বা ২০ শতাংশের মধ্যে থাকলে এ ধরনের কাজ পাওয়াটা সহজ হয়ে যায়।
এছাড়া আপনি নমুনা হিসেবে একটি দুর্বল লেখা জোগাড় করে তার প্রুফরিডিং এবং এডিটিং করে রাখুন। প্রয়োজনে এমপ্লয়ারকে দেখাতে পারবেন। এছাড়াও ইজিনআর্টিকেলসডটকমে কয়েকটি আর্টিকেল প্রকাশ করে রাখুন নমুনা হিসেবে দেখানোর জন্য।
সাফল্য আপনার হাতের মুঠোয় আসবে, যদি সঠিক প্রস্ত্ততি নেয়ার পর কাজের জন্য বিড করা শুরু করেন এবং ডেডলাইন মেনে কাজে ফাঁকি না দিয়ে এগোতে থাকেন। তাহলে এমপ্লয়ারেরা আপনাকে ছাড়তে চাইবে না।
ট্রানস্লেশন : ইংরেজি-বাংলা বা বাংলা-ইংরেজির অনুবাদের কাজ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কম থাকে। বরং প্রফেশনাল সাইট যেমন- ট্রানস্লেটরসবেজডটকম, প্রজডটকম ইত্যাদি সাইটে থাকে এবং এসব সাইটে প্রথমেই পে করে মেম্বারশিপ নিতে হয়। তাই সমস্যা। ব্যক্তিগতভাবে অনুবাদের কাজে আগ্রহ থাকলেও এ সমস্যার জন্য কাজ করা সমস্যা হয়।
ট্রান্সক্রিপশন : এটি খুবই ভালো আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে যদি আপনি দক্ষ হতে পারেন। আপনাকে করতে হবে : একটি অডিও ফাইল কানে শুনবেন বা একটি ভিডিও দেখবেন এবং সেখানে উচ্চারিত ইংরেজি হুবহু টাইপ করে দেবেন।

অর্থাৎ আপনার প্রয়োজন মূল দু’টি দক্ষতা : ০১. ইংরেজি শুনে বোঝা এবং ০২. দ্রুত টাইপিং দক্ষতা।
এতে রেট কেমন হয়? সাধারণত এক ঘণ্টার অডিও বা ভিডিওর জন্য ১০-১৫ ডলার। আপনি যদি শুধু এই কাজের জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠেন, তাহলে বেশ কাজের সুযোগ আছে।
সামারাইজেশন : সামারাইজেশন কাজটি হচ্ছে একটি আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্টকে ১০০-১৫০ শব্দে রূপ দেয়া। কখনো কোনো বইয়ের সংক্ষিপ্ত রূপও চাইতে পারে।
রিজিউম রাইটিং : আমেরিকান কর্পোরেট জগত বা ইন্টারনেট জগতের জন্য উপযুক্ত রিজিউমে বা সিভি তৈরি করতে পারলে এ ধরনের কাজও যথেষ্ট পাওয়া যাবে।
প্রেস রিলিজ রাইটিং : বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা ওয়েবসাইটের জন্য প্রেস রিলিজ লেখার কাজ প্রায়দিনই পাওয়া যাবে। এজন্য আপনাকে প্রেস রিলিজ লেখার সঠিক ফরমেট ও স্টাইল জানতে হবে। এজন্য হয়তো পিআরওয়েবডটকম সাহায্য করতে পারে। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনি সঠিক স্টাইলে পিআর তৈরি করতে পারেন।
প্রেস রিলিজের পেমেন্ট আর্টিকেল রাইটিংয়ের চেয়ে বেশি হয়। একটির জন্য ৫-১০ ডলার হয়ে থাকে। কাজও প্রায়ই থাকে।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন : এটি আসলে ইংরেজি ও পাওয়ার পয়েন্ট দক্ষতার সমন্বয়। আপনাকে কোনো বইয়ের চ্যাপ্টার বা মিটিংয়ের বিষয়বস্ত্ত বা টিউটোরিয়াল সম্বন্ধে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে হবে। পেমেন্ট ভালো। মাঝে মাঝেই কাজ থাকে।

প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারঃ

*Dupe free Pro software.
* Word web.
* Note pad.
* MS Word.
* File Format Converter.

8 thoughts on "কন্টেন্ট লিখে আয় করার উপায়"

  1. The Matrix Contributor says:
    Apnar post ta valo but sobar jonno effective na. Steemit.com e motamoti sobai content share kore earn korte pare. Ata try korte paren
  2. OndhoKobi Author says:
    পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং এর পর্যায়ে পড়ে?
  3. Farhan Subscriber says:
    Online এ Income করতে চান ভিসিট করুনঃ- http://bit.do/epo
    minimum withdrew :-20 tk phone recharge করতে পারবেন । তাছারাউ BKash, Rocket,Nagad, iPay তেউ withdrew নিতে পারবেন ……

Leave a Reply