অনলাইন থেকে কে না টাকা ইনকাম করতে চায়। সবারই ইচ্ছে থাকে অনলাইন থেকে কিছু আয় করার। অনলাইনে অনেক উপায় আছে টাকা আয় , করার। কিন্তু সেগুলোর মধ্য খারাপ ও ভালো দিকও রয়েছে। আজকে আমরা এই পোস্টে কয়েকটি অনলাইনে টাকা ইনকামের উপায় সম্পর্কে জানব যেখান থেকে আপনারা নিশ্চিন্তে ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করে আয়

ব্লগিং করে আয় করার পদ্ধতি টি অনেক পুরাতন পদ্ধতি কিন্তু অনেক কার্যকরী পদ্ধতি। ব্লগিং করে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব।

এটি মূলত একটি ডিজিটাল নিউজপেপারের মতো। আপনি সেখানে যে কোনো বিষয় নিয়ে লিখতে পারবেন এবং যার সেই বিষয় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন সে এসে পড়ে যাবে।

আপনি বর্তমানে এখন যে পোস্ট টি পড়ছেন সেটিও একটি ব্লগ। তাহলে বুঝতেই পারছেন বিষয়টা ঠিক কি রকম। আপনার যদি লেখা লেখির প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে খুব ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আপনার যে বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, জ্ঞাণ বেশি সে বিষয়ে লিখলে বেশি কাজে দেয়।

আপনি চাইলে নিজের একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারেন। এখন আপনি কোনো খরচ ছাড়াও ব্লগ সাইট বানাতে পারেন। তবে ফ্রি বিষয়ে খুব একটা গ্যারান্টি পাওয়া যায় না। তাই আপনি যদি একটি ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে একটি সাইট বানিয়ে নিতে পারেন এবং সেখানে লেখালেখির মাধ্যমে খুব ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি মানুষ আয় করে সেটি হলো ফ্রিল্যান্সিং। আমাদের দেশের বেকারত্ব কমাতে এই পদ্ধতি টি সবথেকে বেশি ভূমিকা পালন করছে। এবং এই খাতে অনেকে দক্ষ হাতে কাজ করে আমাদের দেশকে রিপ্রেসেন্ট করে চলেছে।

এই কাজটি করতে চাইলে আপনার একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ভালো মানের একটি স্মার্টফোনের দরকার হবে। এই জিনিসগুলোর একটিও যদি আপনার থাকে তাহলে আর চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে এই কাজ শুরু করে দিন। ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার ক্লায়েন্ট হবে সব অন্যান্য দেশের লোকজন।

এখানে কাজ করার জন্য আপানর একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকা দরকার। সেটি হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটো ইডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব সাইট তৈরি, কপিরাইট, কন্টেন্ট রাইটিং, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি।

এই সব কাজের যেকোনো কাজের পাশাপাশি আপনার প্রয়োজন ইংরেজি এর প্রতি দক্ষতা। তাহলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনেক বড় বড় সাইট আছে সেগুলো আপনারা গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এখান থেকে আপনার পেমেন্ট নেওয়ার জন্য ব্যাংক একাউন্ট বা পেপাল এর দরকার হবে।

ইউটিউবিং করে আয়

বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছেন যাদের মাসিক ইনকাম ৪০-৫০ লক্ষ টাকা। আপনিও কিন্তু চাইলেই ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে হয়ে যেতে পারেন একজন ইউটিউবার।

ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। বড় বড় ইউটিউবার রা প্রথমে মোবাইল দিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরে সফল হওয়ার পর দামি দামি গ্যাজেট কিনে।

আপনার ভিডিও যদি প্রয়োজনীয় হয় তাহলে খুব তারাতারিই অনেক ভিউ পেয়ে যাবেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে ভিডিও টির অডিও ও ভিডিও এর ইডিটিং ভালো হতে হবে।

তারপর সর্বনিম্ন ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং নূন্যতম ভিউ লাইন পেয়ে গেলে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিও এর জন্য মনিটাইজেশন একটিভ করে নিলেই আপনার ইনকাল শুরু হয়ে যাবে।

ওয়েবসাইট বানিয়ে আয়

আপনি হয়তো জেনে থাকবেন একটি ভালো সাইটের দাম লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনিও চাইলে ওয়েবসাইট বানিয়ে সচল করে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানানো বর্তমানে ফেসবুক আইডি খোলার মতোই সহজ।

কিন্তু যে সাইট গুলো ফ্রিতে বানানো হয় সে সাইট গুলোর কোনো চাহিদা থাকে না। তবে আপনার সাইটে যদি নিয়মিত ভিউ পরে তাহলে সাইট খুব ভালো একটা পর্যায়ে চলে যাবে এবং খুব ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইনে সার্ভে আয়

অনেক কোম্পানি আছে যারা গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরেনের সার্ভে করে থাকে। অনেক দেশে তো সরকারি ভাবেই সার্ভে হয়ে থাকে। দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের জনগণ কতটা সন্তুষ্ট এটা যানার জন্য সরকার এই সার্ভে গুলো করে থাকে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানিই সার্ভে করে থাকে।

এইসব সার্ভে সাধারণত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই এইসব সার্ভে কাজ করে প্রতিমাসে ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন। বড় বড় কোম্পানি গুলোতো একটি সার্ভের জন্য ১০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করে থাকে। এই সব সার্ভে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।

তো বন্ধুরা পোস্ট টি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এমন সব নৃত্য নতুন পোস্ট পেতে ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই সাইট টি।

Leave a Reply