বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি অন্যতম মাধ্যম। বর্তমান পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ ইনকাম করছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা কঠিন কিছু নয়। তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই…

• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
কোন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট আপনাকে দিয়ে বিক্রি করিয়ে, সেই প্রোডাক্ট এর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন আপনাকে দিবে, মূলত একেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।

আরেকটু পরিস্কার ভাবে বলছি, ধরুন কোন একটি কোম্পানি আপনাকে একটি মোবাইল বিক্রি করতে বলল, সেই মোবাইলের দাম ১০ হাজার টাকা। সেই কোম্পানি বলল আপনি যদি একটি মোবাইল বিক্রি করে দিতে পারেন তাহলে আপনাকে সেই মোবাইলের ২% কমিশন দিবে।

ধরুন আপনি একটি মোবাইল বিক্রি করিয়ে দিলেন। তাহলে সেই কোম্পানি আপনাকে সেই মোবাইলের দামের ২% (২০০ টাকা) কমিশন দিবে।

• কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন:
আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং গুলো অফলাইনে হতো, এখনো হয়। তবে বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং টা অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে। বেশিভাগ বড় বড় ই-কমার্স কোম্পানি (যেমন: অ্যামাজন, আলিবাবা, আলীএক্সপ্রেস ইত্যাদি) অ্যাফিলিয়েট অপশন রেখেছেন।

আপনি তাদের এফিলিয়েট অপশন ব্যবহার করে, তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিলে তারা আপনাকে ভালো পরিমাণ কমিশন দিবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট।

যেহেতু বাংলাদেশের অ্যামাজন ই-কমার্স অ্যাভেলেবল না, তাই আপনাকে অন্য কোন দেশের অডিয়েন্সকে টার্গেট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে। আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকেও এ ক্লিক মার্কেটিং করতে পারবেন তবে অন্য দেশকে টার্গেট করে।

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে শুধু যে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে, এমন কিছু না। আপনি চাইলে ডিজিটাল প্রোডাক্ট (যেমন: ওয়েব হোস্টিং, অ্যাপস, কোডিং, বিভিন্ন এক্সটেনশন, ওয়েবসাইট থিম ইত্যাদি) বিক্রির মাধ্যমে ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ফলে কোম্পানি গুলো খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে। এছাড়া যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তারাও ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারছে। এতে করে বেকারত্ব দূর হচ্ছে।

বিশ্বের বেশির ভাগ ই-কমার্স কম্পানি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সাপোর্ট করে। আপনি চাইলে তাদের ই-কমার্স প্রোগ্রাম ব্যবহার করে মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

• এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যম:
আপনি চাইলে নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। অথবা আপনার যদি ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেল থাকে সেক্ষেত্রে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে ভালো রেজাল্ট পাবেন। সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট পাবেন সোশ্যাল মিডিয়া পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

• পেমেন্ট সিস্টেম:
বিশ্বের যত বড় বড় এক মিনিট মার্কেটিং কোম্পানিগুলো রয়েছে তারা প্রায় সবাই ব্যাংক ট্রান্সফার কে সাপোর্ট করে। তবে বড় বড় কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম (অ্যামাজন) যেহেতু বাংলাদেশ সাপোর্ট করে না, তাই আপনি সরাসরি বাংলাদেশের ব্যাংকে তাদের পেমেন্ট আনতে পারবেন না।

তবে আপনি চাইলে পেওনিয়ার এর মাধ্যমে এফিলিয়েট এর পেমেন্ট নিয়ে, সেই পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এছাড়া বর্তমানে পেওনিয়ার থেকে মাত্র ১০০০ টাকা হলেই বিকাশেও ট্রান্সফার করা যাচ্ছে। তাই পেমেন্ট নিয়ে অন্তত চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।

তবুও আপনি কোন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হওয়ার আগে অবশ্যই তাদের পেমেন্ট ইনফোরমেশন এবং নীতিমালা গুলো ভালোভাবে পড়ে নেবেন।

আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

 

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু সার্চ ইঞ্জিনের নাম [জেনে নিন এখানে]

ভার্চুয়াল Ram (Virtual Ram) কি? ভার্চুয়াল Ram এর সুবিধা এবং অসুবিধা What is virtual Ram in Bangla

2 thoughts on "অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করবেন? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনে নিন"

    1. Md Nuhu Author Post Creator says:
      Thanks ♥♥

Leave a Reply