আসসালামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে সবাই এখন প্রযুক্তি নির্ভর। যতদিন যাচ্ছে তত প্রযুক্তির ব্যাবহার বেড়ে যাচ্ছে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়, অনেকে জানেন এবং শুনেছেন। ইউটিউব আসলে আমাদের কিভাবে ইনকাম দেয় এটা অনেকে জানে না। এ বিষয়ে কিছুটা ধারনা আপনাদের দিব,যে ইউটিউব আমাদের কিভাবে টাকা দেয়।
ইউটিউবে ভিডিও দেখতে দেখতে অনেক সময় এড সো করে, সেই এড থেকে কিছু টাকা ইউটিউবারদের দেয় এবং কিছু টাকা এডসেন্স কোম্পানি রেখে দেয়। এখন কথা হলো এই এড গুলো কারা দেয়? এই এডগুলো বড় বড় কোম্পানিগুলো দেয়।
যাই হোক, মুল টপিকে ফিরে যাই, ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আমাদের যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
এই বিষয়গুলো জানা থাকলে আপনি ইউটিউব থেকে সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
১) ইউটিউব চ্যানেল খোলা জানতে হবেঃ–
ইউটিউবে কাজ করার জন্য প্রথম আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল খোলা সম্পর্কে জানতে হবে। এমন একটা চ্যানেল নাম নির্বাচন করতে হবে,যাতে সেই নামে অন্য কোনো চ্যানেল না থাকে।এবং নিয়ম মেনে কাজ করলে তাহলে সেই চ্যানেল খুব সহজে র্যাঙ্ক করবে। সুন্দর ও ইউনিক নাম দিলে সেই চ্যানেল সহজে সার্চ করে সবাই পায়। এক ই নামে একাধিক চ্যানেল থাকলে সবাই সহজে আপনার কাঙ্কিত চ্যানেল খুজে পায় না সহজে। তাই ইউটিউব চ্যানেল খোলা সম্পর্কে আগে পরিপূর্ণভাবে ধারনা নিয়ে, ইউটিউবে কাজ করতে হবে।
২) কন্টেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবেঃ–
ইউটিউবে কাজ করার আগে আপনার অবস্যই আপনি কোন ধরনের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করবেন সেটি নির্বাচন করতে হবে। চ্যানেল খোলার পর আপনি যে ধরনের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করবেন, সে কন্টেন্ট সিলেক্ট করে চ্যানেল খুলবেন। আপনি যদি টেক বিষয় নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ক্যাটাগরি টেক রিলেটেড দিবেন৷ আপনি যদি রান্নার ভিডিও করতে চান, তাহলে ক্যাটাগরিতে রান্নার রিলেটিভ দিবেন। কারন, আপনি যখন ভিডিও আপলোড করবেন, যে ক্যাটাগরির, ইউটিউব তখন সে ক্যাটাগরির লোকদের কাছে আপনার ভিডিও পৌছাবে।
তাই আপনি যে কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করবেন, ক্যাটাগরি সে কন্টেন্ট রিলেটেড দিবেন।
৩) ভালভাবে গুছিয়ে কথা বলা জানতে হবেঃ-
ইউটিউবে কাজ করার জন্য আপনাকে সুন্দর ও মনোরমভাবে গুছিয়ে কথা বলা জানতে হবে৷ কারন আপনি যখন গুছিয়ে কথা বলে ভিডিও বানিয়ে আপলোড দিবেন, তখন সে ভিডিও সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখবে। এবং আপনার ভিডিও ভাইরাল হবার চান্স থাকবে তখন। যে রিলেটিভ ভিডিও বানান,সে বিষয়ে সুন্দর ভাবে লোকদের কাছে তুলে ধরবেন,যাতে আপনার ভিডিও যে ক্লিক করে সে সম্পন্ন দেখে।
৪) ভিডিও করা জানতে হবেঃ-
ইউটিউবে কাজ করলে আপনার ভিডিও করা সম্পর্কে ভালভাবে ধারনা থাকতে হবে। মোবাইল হোক বা ক্যামেরা হোক ভিডিও ফ্রেম এবং ভিডিও এর কোয়ালিটি সম্পর্কে ধারনে নিয়ে মাঠে নামতে হবে।ঝাপসা বা লো-কোয়ালিটি ভিডিও ভাইরাল হয় না৷ খারাপ রেজুলেশন এর ভিডিও লোকজন দেখে না৷ তাই আপনাকে ভিডিও এর বিষয়ে সম্পন্ন জ্ঞান অর্জন করে ইউটিউবে কাজ করতে হবে।
৫) ভিডিও এডিট সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবেঃ
ভিডিও করার পর সে ভিডিও কাটা,ছাটা,মিউজিক বসানো এবং বিভিন্ন ইফেক্ট সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। যেকোন একটা সফটওয়্যার সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। ভিডিও করার পর সরাসরি ইউটিউবে আপলোড দিলে সে ভিডিও লোকজন দেখে না৷ এজন্য যেকোন একটা সফটওয়্যার সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে, সে সফটওয়্যার দিয়ে এডিট করে আপলোড দিলে অনেক ভাল হবে, এবং সবাই সে ভিডিও দেখবে।
৬) মানসম্মত ভিডিও বানাতে জানতে হবেঃ-
আপনি ইউটিউবে কাজ করার আগে যে টপিক নিয়ে কাজ করবেন, সে টপিক নিয়ে মানসম্মত ভিডিও বানানো জানা থাকা দরকার। কারন মানসম্মত ভিডিও সবাই বেশি মিনিট দেখবে,এবং আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে।গুছিয়ে ভিডিও বানাতে হবে, যে বিষয়ে ভিডিও করছে সেই বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন সম্পর্কে আগে ধারনা নিয়ে ইউটিউবে কাজ করতে হবে।
৭) ভিডিও আপলোড করা সম্পর্কে জানতে হবেঃ-
ভিডিও করার পর, সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা জানতে হবে। কারন সব ঠিক-ঠাক করার পর সে ভিডিও আপলোড ভালভাবে না করা জানলে সে ভিডিও ভাইরাল হবে না। টাইটেল,ডিস্কিপশন,ট্যাগ এগুলো সম্পর্কে ভালভাবে ধারনা নিতে হবে। এছাড়াও কোন সময় ভিডিও আপলোড দিতে হবে৷ ভিডিও কিভাবে আপলোড দিলে ভাল হবে। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
৮) থাম্বনেইল বানানো জানতে হবেঃ-
ইউটিউবে কাজ করার আগে থাম্বনেইল সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পর থাম্বনেইল ভালো হলে দর্শকরা সেই থাম্বেল এর উপর ক্লিক করবে।তাই থাম্বনেইল যত ভালো হবে তার ভিউ তত ভালো হবে সে তত সফল হতে পারবে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পিছনে থাম্বনেইল এর গুরুত্ব অপরসীম। তাই থাম্বনেইল সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা অর্জন করতে হবে।
৯) এডসেন্সের সাথে চ্যানেল একটিভ করতে জানতে হবেঃ-
ইউটিউব এর যত ইনকাম সব এডসেন্স একাউন্টে জমা হয়। ইউটিউব চ্যানেল এডসেন্স একাউন্ট এর সাথে কানেক্ট করা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। ইউটিউব এর শর্তগুলো আছে শর্তগুলো পূরণ করার পর এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হয় এবং চ্যানেলের সাথে কানেক্ট করতে হয়। তাই এডসেন্স সম্পর্কে সম্পন্ন ধারণা নিয়ে ইউটিউব এ কাজ করতে হবে।
১০)এডসেন্স থেকে টাকা উঠানো সম্পর্কে জানতে হবেঃ-
এডসেন্স একাউন্ট থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার সম্পর্কে জানতে হবে। এডসেন্স এর সাথে ব্যাংক একাউন্ট কানেক্ট করা জানতে হবে। প্রতিমাসে ১০০$ হলেই অটোমেটিক এডসেন্স ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দেবে।তাই এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করতে হবে।
১১) কপিরাইট ভিডিও সম্পর্কে জানতে হবেঃ-
ইউটিউবে কপিরাইট সম্পর্কে জানতে হবে। অনেক ভিডিও আছে সিস্টেম করে ব্যবহার করলে কপিরাইট আসেনা। অনেক ভিডিও আছে আপলোড দিলে কপিরাইট আছে। নির্দিষ্ট একটা সেকেন্ড আছে যে সেকেন্ড ইউটিউবে ভিডিও ব্যবহার করলে কপিরাইট আসেনা। তাই ইউটিউব এ কাজ করার আগে কপিরাইট ভিডিও সম্পর্কে সম্পন্ন জ্ঞান অর্জন করে ইউটিউবে কাজ করতে হবে।
১২) ভাল মাইক্রোফোন কিনতে হবেঃ-
ইউটিউব এ কাজ করার আগে সাউন্ড কোয়ালিটি যাতে ভালো হয় এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য মানসম্মত ও উন্নত মাইক্রোফোন কিনতে হবে। যাতে সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক ভাল এবং মানসম্মত হয়। বাজারে অনেক ধরনের মাইক্রোফোন আছে তবে যে মাইক্রোফোন অনেক ভালো বাছাই করে নিতে হবে।
১৩)ভিডিও র্যাঙ্ক করা জানতে হবেঃ-
ইউটিউবে কাজ করার আগে, ভিডিও কিভাব র্যাঙ্ক করা যায় সে সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা অর্জন করতে হবে। ভিডিও কোয়ালিটি যতই ভাল হোক,ভালভাবে র্যাঙ্ক না করাতে শিখলে সে ভিডিও ভাইরাল হয় না। তাই এ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এই বিষয়গুলো জানা থাকলে, আপনি ইউটিউবে কাজ করতে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-
- ধন্যবাদ।
13 thoughts on "ইউটিউবে কাজ করার আগে যে বিষয়গুলো অবস্যই আপনার জানতে হবে।"