প্রক্সি নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন আর এটা আপনার সার্ভে কাজের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। 

 

প্রক্সি নির্বাচন ভুল করলে আপনার সময় অর্থ ২ টাই লস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চলুন আমরা প্রক্সি নিয়ে যে ধারনা থাকা দরকার সেটা আগে জেনে নিব।

 

সবার আগে তো জেনে নিব প্রক্সি কত প্রকারঃ

 

HTTP Proxy:

এই টাইপের প্রক্সি গুলো দিয়ে মূলত ওয়েবসাইট এক্সেস করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা শুধু HTTP রিকোয়েস্ট গুলোকেই নিয়ন্ত্রন করতে পারে।

HTTPS Proxy:

এটা সিকিউর HTTPS প্রোটোকল ব্যবহার করে আর এটার তথ্য সার্ভারে Encrypt হয়ে ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের যোগাযোগ ঘটায়।

SOCKS Proxy:

এই টাইপ প্রক্সি গুলো যেকোন ধরেন রিকোয়েস্ট গ্রহন করে তবে HTTP এক্সেস সে গ্রহন করেনা। 

FTP Proxy:

এই প্রটোকল টা মূলত ফাইল ট্রান্সফারের কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকে।

DNS Proxy:

ডোমেইন নেম এর প্রটোকল ফলো করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

Transparent Proxy:

এই টাইপ প্রক্সি তে কোন প্রকার রিকোয়েস্ট মডিফাই করার সিস্টেম নেই আর এর ব্যবহার হয়ে থাকে ডাটা ক্যাশিং এর জন্য।

Anonymous Proxy:

এই টাইপের প্রক্সি গুলো তার ক্লায়েন্ট এর সকল তথ্য লুকিয়ে রাখতে সক্ষম।

High Anonymity Proxy:

এই ধরনের আইপি গুলো ক্লায়েন্ট যে আইপি ব্যবহার করছে সেটার তথ্য সে পুরোপুরি লুকিয়ে ফেলতে সক্ষম।

Reverse Proxy:

সাধারনত এই প্রক্সি গুলো ক্লায়েন্ট আর সার্ভারের মধ্যে অবস্থান করে এবং সার্ভারের সকল রিকোয়েস্ট রিসিভ করার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।

 

 

তবে এত কিছু আমাদের না জানলেও হবে কারন এগুলোর মধ্যে জাস্ট Https এবং Socks সাথে হাল্কা করে ভিপিএন  নিয়ে আলোচনা করবো আমাদের কোন টা নির্বাচন করতে হবে তা এবার একটু গভীর ভাবে দেখবো।

 

Socks Proxy: 

এই প্রক্সি টা সাধারনত ওয়েবসাইট ব্রাউজিং , ফাইল শেয়ার এবং ডাউনলোড এর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা সব ধরনের প্রটোকল এর রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করতে পারে।  এটার আবার দুইটা টাইপ আছে একটা হলো Sock 4 অন্যটার Sock 5 আর এই সার্ভের কাজের জন্য উপযুক্ত এই টাইপ আইপি গুলো।

 

HTTPS: 

এই ধরনের আইপি গুলোর মধ্যে কিছু Elite প্রক্সি টাইপ রয়েছে যদি সেগুলো খুজে বের করতে পারেন তবে এগুলো দিয়েও ভালো ভাবে সার্ভে করা যায়।

 

তাহলে আমরা HTTP এবং Sock 5 ব্যবহার করবো যদি সার্ভে কাজ করতে চাই OK

এখানে আবার কিছু জিনিস মাথায় অবশ্যই রাখতে হবে শুধু Sock 5 কিংবা HTTP হলেই হবে না কিন্তু কেন ?

 

 

এগুলো মধ্যে আবার একটা টাইপ হচ্ছে dedicated IP আর অন্যটা Residential প্রক্সি আমাদের কোন টা দরকার সেটা আমরা জানি হয়তো না জানলে জেনে নেই।

 

 

আমি শর্ট করার জন্য সংক্ষিপ্ত ভাবে যদি বলি dedicated IP এই ধরনের আইপি গুলো সাধারনত হোস্টিং এর কাজে ব্যবহার করা হয় আবার দেখবেন এগুলো VPS সার্ভারেও ব্যবহার হয় আচ্ছা ভিপিএস কে আপাদত সাইডে রাখি।

যেমন এগুলোর ব্যবহার করে থাকে এই কোম্পানীগুলো তাদের ক্লায়েন্ট কে সার্ভিস প্রদানের জন্য 

  • GoDaddy: https://www.godaddy.com/
  • Bluehost: https://www.bluehost.com/
  • HostGator: https://www.hostgator.com/
  • Namecheap: https://www.namecheap.com/
  • DreamHost: https://www.dreamhost.com/
  • SiteGround: https://www.siteground.com/
  • Liquid Web: https://www.liquidweb.com/
  • A2 Hosting: https://www.a2hosting.com/
  • InMotion Hosting: https://www.inmotionhosting.com/
  • Hostinger: https://www.hostinger.com/

 

 

 

Residential IP গুলো মূলত আমরা যেগুলো আমাদের বাসায় অফিসে ব্যবহার করি সেগুলোকে বলা হয়। যেমন উদাহরন যদি দেই আমাদের যেমন GP, BL, Robi, Broadband এর ইন্টারনেট কানেকশন গুলোই মূলত রেসিডেন্সিয়াল। 

আমাদের যেমন এই মোবাইল টেলিকম কোম্পানী গুলো আছে ঠিক তেমনি USA এর টেলিকম কোম্পানী রয়েছে যার নাম গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আমাদের টার্গেট করতে হবে সেই USA এর টেলিকম কোম্পানীর প্রক্সি কানেকশন গুলো কে যদি সার্ভে কাজ করতে চাই।

আমি কিছু ওয়েবসাইট লিংক দিয়ে দিচ্ছি যেগুলো রেসিডেন্সিয়াল প্রক্সি সেল করে থাকে 

  • Luminati – https://luminati.io/
  • Oxylabs – https://oxylabs.io/
  • Smartproxy – https://smartproxy.com/
  • NetNut – https://www.netnut.io/
  • Shifter – https://shifter.io/
  • Geosurf – https://www.geosurf.com/
  • Storm Proxies – https://stormproxies.com/
  • Microleaves – https://microleaves.com/
  • Proxy-Cheap – https://proxy-cheap.com/
  • Soax – https://soax.com/

Bandwidth VS Monthly VS Dynamics VS Share VS Private:

যেই প্রক্সি গুলো GB খরচের উপর নির্ভর করে সেল হয়ে থাকে সেগুলো মূলত এমন যে আপনাকে ৩-১০+ ডলার খরচ করে 1GB ডাটা প্লান কিনে নিলেন আপনি সেই 1Gb শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই প্রক্সি ব্যবহার করতে পারবেন আর শেষ হবার পর চাইলে আবার ডাটা কিনে চালাতে পারবেন।

মাসিক প্রক্সি যেগুলোকে মূলত Static প্রক্সি বলা হয়ে থাকে এগুলো পুরো মাস সেম থাকবে আপনি চাইলেও চেঞ্জ করতে পারবেন না সেক্ষেত্রে আপনার যদি সেম সাইটে কাজ করার দরকার হয় সেক্ষেত্রে কিছু কিছু সাইটে আবার একাউন্ট করা যাবে তবে সব গুলোতে সম্ভব হবেনা। কিন্তু এর ভালো দিক হচ্ছে এই আইপি দিয়ে কাজ করলে লং টাইম রিনিউ করে আপনার টার্গেট করা সাইটে নিশ্চিন্তে কাজ করে যেতে পারবেন। আর আপনার লোকেশন সেম দেখাবে সব সময়।

 

আমরা ঘুরতে কে না পছন্দ করি যদি আপনি চান যে আপনার আইপি আপনার লোকেশন একেক সময় একেক জায়গা দেখাক তবে Dynamics নির্বাচন করুন। এক্ষেত্রে কিছু সাইটে অসুবিধা ফেস করবেন আবার কিছু সাইটে সুবিধাও পেয়ে যাবেন যেমন লোকেশন এর কারন কিছু সার্ভে ম্যাচ পেয়ে যেতে পারেন আর অসুবিধা কিছু অফারওয়াল এ লোকেশন চেঞ্জ এর কারনে প্রোফাইল আপডেট করতে বলতে পারে যেমন ধরে নিন Tapjoy.

 

যে আইপি গুলো কয়েকজন এর কাছে সেল হয় সেগুলোকেই শেয়ার আইপি বলতে পারেন দেখবেন অনেক সাইট আছে যেগুলো এক আইপি ৩-৫ জনের কাছে সেল করে থাকে এগুলো দিয়ে সার্ভে কাজ হয় তবে সমস্যা হলো ধরে নিন এটা দিয়ে ৩-৪ জন একাউন্ট করলো তাদের মধ্যে আপনিও একজন যখন কাজ করতে যাবেন তখন দেখবেন অনেক সার্ভে তে ঢুকলে বলবে You Already Done This তবে নিজের অন্য কোন সাইটে একাউন্ট দিয়ে সেম সার্ভে আগেই পূরন করলেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।

 

প্রাইভেট আইপি গুলো মূলত একজন এর কাছে সেল করা হয়ে থাকে আর এগুলো মাসিক কিংবা GB এর হিসাব এ ও সেল হয় থাকে এগুলোর মাঝে সব গুলোই ভালো তা কিন্তু না।

 

 

সব রেসিডেন্সিয়াল প্রক্সি কি ভালোঃ

অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে একটা মাসিক আইপি ৮০ ডলারেও সেল হয় আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে ৫ ডলারেও সেল হয় কিন্তু আমাদের কোন গুলো নেওয়া উচিৎ।

 

দামে কম মানে ভালো আইপি খুজতে গেলে সময় নষ্ট করবেন এর থেকে ভালো কিছু কোম্পানী রয়েছে সেগুলোর প্রক্সি একটু দামে বেশী হলেও কাজে কিন্তু ভালো ভালো পারফর্ম করে।

আবার সাবধান আমি বলছি দেখে ৮০ ডলারে আইপি ভালো হবে বলে কেউ কেনার কথা ভাববেন না কিন্তু।

 

সব আইপি দিয়ে সার্ভে কাজ হয় না কিছু প্রক্সি দিয়ে কাজ করা যায় তবে সেগুলো সম্পর্কে আপনার ভালো ধারনা থাকা দরকারঃ 

কিছু লোকেশন এর আইপি এবং কিছু সিরিয়াল এর আইপি দিয়ে ভালো কাজ হয় আমি কিছু শেয়ার করছি তবে কোর্সের শেষের দিকে সিক্রেট আইপি প্যানেল গুলো  নিয়ে বিস্তর ধারনা দিয়ে দিব যাতে কোর্স শেষে নিজের কাজ নিজেই করতে পারেন।

IP Research:

174.249/174.210/ Verizon Business

166.199/107.77/166.216/166.137/107.122/107.123/107.115/107.127 AT&T Services

172.58/172.56 T-Mobile

67.161/98.50 Comcast

 

76.86/74.67/50.84/97.98/74.69/173.95/67.247/72.181/72.225 Spectrum

তবে এছাড়াও কিছু আছে তবে সেগুলো সময় হলে শেয়ার করবো বা আপনারাই সেগুলো দিয়ে কাজ করবেন।

 

এবার আসি প্রক্সি দিয়ে কাজ করা বেটার নাকি RDP/VPS:

কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই আর ডি পি বেটার কারন এটা সব থেকে সিকিউর আর আপনাকে পুরোপুরি সেফ রাখে যেন আপনি ইউ এস এর নাগরিক এমন একটা রিয়েক্ট করবে সার্ভে সাইট গুলোর সাথে যার ফলে তাদের বুঝতে সমস্যা হবে যে আপনি আসলে দেশী তে ভাংগান আর বিদেশীতে কামান।

প্রক্সি দিয়ে কাজ করার সুবিধা এপ গেমস অফার গুলো শেষ করতে সুবিধা হয় কিন্তু আইপি ডিটেক্ট এর কারনে বেশী ব্যান ও হয়।

অন্যদিকে আর ডি পি হলে আপনি মোবাইলে থেকে একটা পিসি রিমোট কানেকশন এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করে সেটার মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন

কম বেশী অনেক সাইটে কাজ করা যায় আর ডি পি তে আর আর ডি পি যেহেতু সব সময় চলমান থাকে তাই লোডশেডিং শুরু হয়ে গেলেও সেই সার্ভে যেখানে রেখেছেন সেখান থেকেই পাবেন কাজ টা মিস যাবেনা। 

তবে আবার সকল  RDP দিয়ে আবার কাজ হয় না এই ক্ষেত্রে ও ঐ যে বলেছিলাম ডেডিকেটেড এবং রেসিডেন্সিয়াল এর ব্যপারটা সেটা এখানেও বিদ্যমান তাই অল্প টাকাতে RDP পেলেই কাজ হবেনা এর জন্য দরকার রেসিডেন্সিয়াল।

প্রক্সি ব্যবহার করেও কাজ করা যায় আর ডি পি ব্যবহার করেও কাজ করা যায় সব কিছুতেই সুবিধা এবং অসুবিধা কিছু না কিছু থাকবেই।

যেহেতু প্রক্সি নিয়ে আলোচনা করেছি ব্যান এর ব্যাপারে বলবোনা তা কি হয় নাকি?

এমন অনেক সাইট আছে যেগুলোতে লং টাইম আইপি দিয়ে কাজ করতে হয় নয়তো ব্যান আবার এমন অনেক সাইট আছে যেগুলোতে ডেইলি আইপি দিয়েও কাজ করা যায়।

আবার অনেক সময় প্রক্সি ছাড়া সাইটে ঢুকে গেলেও আপনার পরিচিতি লিক হয়ে ব্যান হতে পারেন।

উলটা পালটা প্রশ্নের উত্তর দিয়েও ব্যান হতে পারেন। আবার ভুল উত্তর দেওয়ার জন্য সেই কোম্পানীর নেক্সট সার্ভে নাও পেতে পারেন।

আরো অনেক প্রবলেম গুলোর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য হলো যদি দেখেন কোন আইপি দিয়ে ভালো সার্ভে ম্যাচ হচ্ছে তবে সেই ব্রাউজারের Cache ফাইল কখনো রিমুভ করবেন না তাহলে আপনি যদি কোন সময় আইপি চেঞ্জ ও হয়ে যায় ক্যাচ ফাইল টার কারনে অনেক সুবিধা পাবেন তবে রিমুভ করলে আবার সেই কোম্পানী গুলোর সার্ভে আর নাও আসতে পারে যেগুলো বেশী আসতো। আবার কিছু কিছু সাইটের পলিসিতে উল্লেখ থাকে Cache রিমুভ না করার জন্য।

তবে অনেক সময় দরকার ও হয় তবে না করাই বেটার।

 

 মোবাইল ইউজার দের জন্য দরকারী কিছু টুলসঃ

https://play.google.com/store/apps/details?id=net.typeblog.socks

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.github.shadowsocks

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.microsoft.rdc.android

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.google.chromeremotedesktop

 

এগুলোর আমরা যখন যেটার দরকার হবে তখন সেটার কাজ শেয়ার করবো।

 

 

তাহলে আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি দেখা হচ্ছে নেক্সট টাইম নতুন পর্ব নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন 

লেখকঃ Cyber Prince & ImDarkMagician

 

 

One thought on "প্রক্সি নিয়ে যে বিষয় গুলো আপনার অবশ্যই জানা উচিৎ ( পর্ব – ১১)"

Leave a Reply