চলমান বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন করেননি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়। এ তথ্য জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের প্রেস উইং। তবে, তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও নিজের নামে কোনো সিম নেই তার।
এদিকে আঙ্গুলের ছাপ অর্থাৎ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের প্রথম দফার আল্টিমেটামের শেষদিন ছিল গত ৩০ এপ্রিল। সেবারে এ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অবশ্য সময় বাড়িয়ে তা ৩১ মে করা হয়। তবে এ সময়ের মধ্যেও কোনো সিম পুনঃনিবন্ধন করেননি বেগম খালেদা জিয়া।
অবশ্য বেগম জিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন কি না এ ব্যাপারে কোনো তথ্যই জানাতে পারেননি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এবং শাইরুল কবীর খান। তারা চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব বা বিশেষ সহকারীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার পরামর্শ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার নিজ নামে কোনো মোবাইল সিম নেই। ঘনিষ্ঠদের মোবাইলের মাধ্যমেই তিনি প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে অবশ্য এ বিষয়ে জানতে তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সোহেল জানান, তিনি (খালেদা জিয়া) মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘উনার নিজের নামে কোনো ফোন আছে কি না তা আমার জানা নেই।’ মারুফ কামাল খান সোহেল আরো বলেন, ‘তিনি (বিএনপি চেয়ারপারসন) প্রয়োজনে অফিসিয়াল ফোনে কথা বলেন। যেগুলো তার সহকারী ও স্টাফরা রাখেন।’
প্রসঙ্গত, জিরো আওয়ার, অর্থাৎ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের পর অনিবন্ধিত সব সিমের আউটগোয়িং কল বন্ধ হয়ে গেছে। সিম পুরোপুরি অকার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে ইনকামিং কল চালু থাকবে আগামী আরো ৩/৪ দিন। অপারেটর ভেদে থাকবে ইনকামিং কলের মেয়াদের ভিন্নতা।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, রাত ১২টার পর সব অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করে দেওয়া শুরু করে দিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো। অবশ্য সিমগুলো বন্ধ করতে দুই দিনের মতো সময় লাগতে পারে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।
অনিবন্ধিত সিমগুলো দুই মাস বন্ধ রেখে আগস্ট থেকে গ্রাহকদের কেনার সুযোগ রাখা হলেও সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক নির্দেশনায় জানিয়েছিলো, ১ জুন থেকে ৪৫০ দিন পর্যন্ত গ্রাহক নির্ধারিত ফি দিয়ে সিম চালু করতে পারবে গ্রাহকরা। সেক্ষেত্রে তাকে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালুর পর আঙুলের ছাপ দিয়ে পুনঃনিবন্ধনের সময়ের পর অর্থাৎ ১ জুন থেকে বন্ধ সংযোগগুলো চালু করতে নতুন সিম কেনার সমপরিমাণ অর্থ গুণতে হবে গ্রাহকদের।