ফ্রি নেট, অনলাইনে আয় আর হ্যাকিং নিয়ে আর কত থাকবেন? এবার একটু অন্য কিছু করুন। নতুন কিছু জানুন, নতুন কিছু ভাবুন।
ট্রিকবিডিতে সাধারণত বই নিয়ে তেমন একটা আলোচনা হয় না। সবাই ব্যস্ত প্রযুক্তি নিয়ে। সবাই ছুটছে ফ্রি নেটের পেছন। তবে এখানে কেউ যে গল্প উপন্যাস একদম পড়ে না এমনও আবার না। আমি অনেক আগে থেকেই খেয়াল করেছি ট্রিকবিডিতে অনেক বই নিয়েই অনেক রিভিউ আছে। তো আজ আমি এই রিভিউর সংখ্যা বাড়াতে চলেছি।
যেই বইটা নিয়ে আলোচনা করব সেটা নিয়ে ২০০৩ সালে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল। বইটা বিক্রি হয়েছে ৮০ মিলিয়ন কপিরও বেশি। অনুবাদিত হয়েছে ৪০ টিরও বেশি ভাষায়।
কথা বলছিলাম ড্যান ব্রাউনের ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার বই দি দ্যা ভিঞ্চি কোড নিয়ে। বইটিতে প্রকাশিত হয়েছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নানান রহস্য, উত্থান পতন, ন্যায় ঐক্য যুদ্ধ আর ভালোবাসা। তো কি আছে এই বইটাতে? চলুন খুজে দেখা যাক। শুরু করা যাক দি দ্যা ভিঞ্চি কোডের পোষ্টমার্টেম।
দি দ্যা ভিঞ্চি কোড – ড্যান ব্রাউন
মূল প্লট
প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে আত্নহত্যা করলেন বিখ্যাত কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে। তার মৃতদেহে পাওয়া গেল অদ্ভুত সব চিহ্ন। পুলিশদের তদন্তে সহায়তার জন্য ডাকা হল সিম্বলিষ্ট রবার্ট ল্যাংন্ডকে।
ল্যান্ডন আবিস্কার করল সনিয়ের গায়ের অদ্ভুত চিহ্নগুলো হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন এক ভ্রাতৃসংঘের। এমন একটি সংঘ যা যিশুখ্রিস্টের জন্মের সময় থেকে চার্চ আর ধর্মকে রক্ষা করে আসছে শয়তান আর অন্যায়ের হাত থেকে। ল্যাংডনের মনে প্রশ্ন জাগল তাহলে হারিয়ে যাওয়া সংঘটি এখনও জীবিত আছে? তাদের উদ্দেশ্যই বা কি?
মিউজিয়ামে ল্যান্ডন পরিচিত হয় সোফি নামের এক রহস্যময়ীর সাথে যে তাকে একটি ধাধা সম্পর্কে বলে যেটি রেখে গিয়েছিল জ্যাক সনিয়ে। ধাধার সমাধানের সময় রবার্ট জানতে পারে জ্যাক সনিয়ে সোফির দাদা।
ধীরে ধীরে রবার্ট তার তদন্তে এগিয়ে যায়। তার সঙ্গি হয় সোফি। ঘটনাক্রমে পুলিশ তাদের জ্যাকের হত্যাকারী বলে সন্দেহ করে। ক্যাপ্টেন বেজু ফসেকে দায়িত্ব দেয়া হয় তাদের গ্রেফতার করতে। অপর দিকে এক ভয়ংকর খুনি সাইলাস তাদের পিছু নেয়।
রবার্টের বুদ্ধিদিপ্ত চিন্তা, ইতিহাসের ঘটনা, বিজ্ঞান আর ন্যায়ের পথ ধরে এগিয়ে যায় দি দ্যা ভিঞ্চি কোডের গল্প। লেখক ড্যান ব্রাউন এই উপন্যাসে হলি গ্রেইলের রহস্য উন্মোচন করেছেন। তিনি যিশুখ্রিষ্টের রহস্যময় ইতিহাসকে পাঠকের সামনে তুলে আনেন। এছাড়াও আমাদের প্রতিদিনের জীবনে জড়িয়ে থাকা নানান সংকেতের রহস্য ভেদ করেন প্রতি পাতায়।
ড্যান ব্রাউনের সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্র রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের এটি দ্বিতীয় উপন্যাস। শুরু থেকেই ল্যাংডন শুধু একটি কাল্পনিক চরিত্রই নয় বরং যেন পাঠকদের বাস্তব সঙ্গি হিসেবে বেশি পরিচিত। সাহসী, ন্যায়বান আর বুদ্ধিদীপ্তির কারনে রবার্টকে সারা বিশ্বের থ্রিলার প্রেমীরা আপন করে নিয়েছে।
বিস্তারিত
বইয়ের নাম: দি দ্যা ভিঞ্চি কোড (The Da Vinci Code)
লেখক: ড্যান ব্রাউন
বাংলা অনুবাদক: মো: নাজিম উদ্দিন
সিরিজ: রবার্ট ল্যান্ডন
জেনার: ইতিহাস, রহস্য, ডিটেকটিভ, থ্রিলার উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ: এপ্রিল ২০০৩
মূল ভাষা: ইংরেজী
ডাউনলোড
আগেই বলেছি বইটি চল্লিশটিরও বেশি ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাও আছে। অনলাইনে এই বইটির সম্পূর্ণ বাংলা ইবুক আছে। এখন আপনার দায়িত্ব হল গুগোল মামার সাহায্য নিয়ে বইটি খুজে বের করা।
জানতে চাচ্ছেন আমি কেন ডাউনলোড লিংক দিচ্ছি না? কারনটা হল এটাই আমার প্রথম পোষ্ট। জানি না প্রকাশ হবে কি না…তবে লিখেছি বহু কষ্টে। আর তাই পোষ্টটা নিট এন্ড ক্লিন রাখতে চাচ্ছি। লিংক দিয়ে শুধু শুধু রানা ভাইজানের কুনজরে পড়ে লাভ কি বলেন!?
কিন্তু চিন্তা নেই। আমি কি ওয়ার্ড দিয়ে দিলাম। এগুলো লিখে সার্চ দিলেই ইবুকটি বাংলায় পেয়ে যাবেন আশা করি। আর না পেলে কমেন্টে বলুন, আমি লিংক শেয়ার করতে চেষ্টা করব।
কি ওয়ার্ড: the da vinci code bangla pdf download
আরো কিছু কথা
আমি বিরাট মাপের বইখোর। সারাদিন বই নিয়েই পড়ে থাকি। আমার দিন কাটে থ্রিলার-উপন্যাসের পাতায় পাতায়। ভিঞ্চি কোড অবশ্যই পড়বেন এনং ভাল লাগলে জানাবেন, তাহলে নিজ থেকে আমি আরো ভাল ভাল বইয়ের রিভিউ লেখার আগ্রহ পাব। জানেনই তো বই শেয়ার করার মত আনন্দ একজন বইখোর অন্য কোথাও পায় না।
** Download Link
abar hoise..
tnx