কম্পিউটার ব্যবহার করেন কিন্তু ভাইরাসের সম্মুখীন হননি এটি বললে বলবো আপনি ডাহা মিথ্যা কথা বলতেছেন।
আপনি যদি একজন কম্পিউটার ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।
আর যদি ভাইরাস সম্পর্কে ধারনা না থাকে আপনার তাহলে আপনার মুল্যবান তথ্য, কন্টেন্ট গুলো চুরি হতে পারে, শখের কম্পিউটার টি শেষ হয়ে যেতে পারে।
বইটি পড়ে যা যা জানতে বা শিখতে পারবেনঃ
১। কম্পিউটার ভাইরাস কি?
২। কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস
৩। ভাইরাসের ভয়াবহ আক্রমনে বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার বিপর্যয়ের ঘটনা।
৪। CHi ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত
৫। ৫টি ক্ষতিকারক ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
৬। কম্পিউটার ভাইরাস থেকে কিভাবে নিজের কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
৭। পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কম্পিউটার ভাইরাস কি?
কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা ধারনা ছাড়াই নিজে নিজেই কপি হতে পারে।
মেটা ফর্মিক ভাইরাসের মতো তারা প্রকৃত ভাইরাসটি কপিগুলোকে পরিবর্তিত করতে পারে।
অথবা কপিগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হতে পারে
একটি ভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে যেতে পারে কেবলমাত্র যখন আক্রান্ত কম্পিউটারকে স্বাভাবিক কম্পিউটারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
যেমনঃ কোন ব্যবহারকারী ভাইরাসটিকে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠাতে পারে।
বা বহনযোগ্য মাধ্যমে, ফ্লপিং ডিস্ক, সিডি, ইউএসবি ড্রাইভ বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়াতে পারে ।
১। ট্রোজানঃ
ভাইরাসের পরপরি বর্তমানে সবচে বড় নিরাপত্তা জনিত হুমকি হচ্ছে ট্রোজান বা ট্রোজান হরসেস ।
এ ভাইরাস এবং একটি ট্রোজান এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য যে এটি নিজেকে অন্য কোন ফাইল বা প্রােগ্রামে রিপ্লেস করে না, তাই বলে এটি কম ক্ষতিকারক নয় ।
আর একবার ব্যাকডােৱ হলে প্রোগ্রামার বা প্রােগ্রামারের স্ক্রিপ্ট)Scripts) আপনার কম্পিউটারে রিমােটলি নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সব কিছুই করতে পারবে ।
এছারাও ট্রোজান ভাইরাসের মত আমাদের কম্পিউটারের অনেক ভাবে ক্ষতি করতে পারে।
দুঃজনক হলেও সত্যি যে, এই ট্রোজানকে বেশির ভাগ সময় আমরা নিজেরাই ইনস্টল করে থাকি, কিভাবে?
যখন আমরা কোন ক্রাক করা প্রােগ্রামস ইনস্টল করি, কোন প্যাচ ব্যাবহার করি বা কোন থার্ডপার্টু ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল করি, এমনকি কোন MP3 বা ছবির ফাইল থেকেও ট্রোজানের শিকার হতে পারি ।
২। ওয়রমঃ
worm মানে ক্রিমি
ক্রিমিরা যা করে , এটি ফায়ারওয়াল্ল ছিদ্র সৃষ্টি করে সয়ংক্রিয়ভাবে এক পিসি থেকে অন্যান্য পিসিতে নিজের কপি পাঠায়।
নেটওয়ার্ককে এরা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরতে পারে।
এটি সবচে বড় সমস্যা করে কম্পিউটারের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে যা থেকে আপনার কম্পিউটার আনান্য ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে ।
এছারাও এটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে সঙ্গে ব্যবহার করে সমস্যা সৃষ্টি করে ।
৩। স্পাইওয়্যারঃ
স্পাইওয়্যার মূল কাজ হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তার রচয়িতাকে প্রেরন করা ,
যাতে তারা এই সব তথ্য আইনবহির্ভূত কাজে ব্যাবহার করতে পারে ।
স্পাইওয়্যার আপনার ব্রাউজারের হােম পেজ পরিবর্তন, সার্চং পেজ পরিবর্তন , অনাকাংকিত টুলবার যােগ করে নানান সমস্যার সৃষ্টি করে, যা খুবই বিরক্তকর ।
এছাড়া এই সমস্ত স্পাইওয়্যার সাথে কীলগিং (keylogging) থাকতে পারে ,
যা থেকে স্পাইওয়্যার রচয়িতা আপনার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, পাসওয়ার্ড, ইউজার নামের মত বিভিন্ন তথ্য পতে পারে ।
স্পাইওয়্যার নিজে নিজে ছড়াতে পারে না, এটা কোন প্রােগ্রামের বা ওয়েবপেজর অংশ হিসেবে কম্পিউটার ইনস্টল হয়, তারপর তার কাজ শুরু করে ।
সবচে বড় ভাবনার বিষয় হচ্ছে , সাধারণ এন্টিভাইরাস এদের শনাক্ত করতে পারে না।
এর জন্য এন্টিভাইরাসে এন্টিস্পাইওয়্যার অপশন থাকতে হয় ।
৪। আডওয়ারঃ
আডওয়ার সধারন্ত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন কাজে ব্যাবহার হয় , যেমন উইন্ডােজ লাইভ মেসেঞ্জার বা ইয়াহু মেসেঞ্জারে অ্যাডওয়ার সংযুক্ত করা থাকে।
যা কিনা মেসেঞ্জার ইনস্টল করার সময় চুক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এছাড়াও অনেক প্রকার অ্যাডওয়ার আছে, যে সব
আপনার অনুমতি ছাড়াই কম্পিউটারে সফটওয়্যার ইনস্টল হতে পারে , যদিও অ্যাডওয়ার সরাসরি আমাদের কোন ক্ষতি করে না তবুও অবৈধ অ্যাডওয়ার অনান্য ক্ষতিকারক প্রােগ্রাম আনার রাস্তা হয়ে যায় ।
এছাড়াও আরো অনেক কিছু রয়েছে বইটিতে।
বইয়ের নামঃ কম্পিউটার ভাইরাস
বইয়ের লেখকঃ তানভীর আহমেদ রাজীব
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩২ টি।
বইয়ের ধরনঃ কম্পিউটর বেসিক
পিডিএফ সাইজঃ ৬ মেগাবাইট প্রায়।
ডাউনলোডঃ Download
আরো পড়ুনঃ ১। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে | ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে?
২। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নামগুলো অর্থসহ | জান্নাতি মহিলা সাহাবীদের নামগুলো
তবে আপনার পোস্টের প্রথম লাইনটির সাথে আমার কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। আমি দেড় বছর যাবত কম্পিউটার ব্যবহার করছি, কোন ধরণের অ্যান্টি ভাইরাস ছাড়া। আগে উইন্ডোজ ও এখন লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করছি। তবে আজ পর্যন্ত কখনো ভাইরাসের আক্রমণের সম্মুখীন হইনি।
Tokhon seta Windows Defender diye remove korley ki hobe naki tar poreo khoti korte pare ?