মাসুদ রানা : হ্যাকার-১,২(দুই খণ্ড একত্রে)
ইউনোকোড, কম্পিউটিং জগতে সবচেয়ে শক্তিশালী কোড।
আমাদের প্রচলিত বাইনারি কোডের যেকোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিতে পারে নিমেষেই।
এই কোড দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া যায় পৃথিবীর সকল নেটওয়ার্ক ও তার সাথে যুক্ত সকল কম্পিউটার। ইউনোকোডের স্রষ্টা দশজন।
তারাই কোডটি ডেভেলপ করেছে, প্রত্যেককে বলা হয় এক একজন ইউনো।
দশজন ইউনো ব্যতীত এই কোড সম্পর্কে পৃথিবীর কেউই কিছু জানে না।
সবাই তা বিশ্বাস করলেও বিশ্বাস করেনা শুধু একজন ইউনো।
উনার ধারনা তাদের বাইরেও একজন ইউনো রয়েছে।
সকল ইউনোরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা এই কোড সম্পর্কে কাউকেই কিছু জানাবে না।
কারন এটার ক্ষমতা সম্পর্কে একমাত্র তারাই জানে।
কিন্তু হঠাৎই পৃথিবীতে নেমে আসে চরম বিপর্যয়।
এক এক করে মারা পড়তে থাকে এক একজন ইউনো। হত্যাকান্ড এমনভাবে চালানো হয় যাতে সেটা মনে হয় স্রেফ একটা দূর্ঘটনা।
কে এই হত্যাকান্ড চালাচ্ছে সে নিয়ে কেউ তদন্ত চালায় না।
কারন ইউনোদের পরিচয় পৃথিবীর কারো জানা নেই। তাদের মৃত্যুও তেমন গুরুত্ব দেবার মত ঘটনা নয়।
ইউনোদের মারার পেছনে একটাই পরিকল্পনা। ইউনোকোড দিয়ে তৈরি একটা ভাইরাস দিয়ে সমস্ত পৃথিবীর কম্পিউটার সিষ্টেম ধ্বংস করে দেওয়া।
ইউনোরা বেচে থাকলে এই ভাইরাসের জন্য এন্টিভাইরাস তৈরি করে ফেলবে বলেই মেরে ফেলা হচ্ছে তাদের।
এই ভাইরাসটিকে কে তৈরি করেছে তাও জানা নেই কারোরই।
তাহলে কি সত্যিই দশজনের বাইরেও কোন ইউনো আছে নাকি দশজনের ভেতর থেকেই কেউ ঘটাচ্ছে এই কাজ।
রায়হান রশিদ, রানা এজেন্সির আইটি স্পেশালিষ্ট। সাইবার জগতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে একবার ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ডাবল আর।
কে এই ডাবল আর তা আজও কেউ জানে না।
এই ডাবল আরই হল রায়হান রশিদ।
পৃথিবীর সকল দেশ ডাবল আরকে খুজলেও রানা তাকে কোথাও তুলে দেয়নি কারন ততদিনে রায়হান তার ভূল বুঝতে পেরেছিল।
তাই মাসুদ রানা তাকে চাকরি দেন রানা এজেন্সিতে।
ইউনোকোড দিয়ে তৈরি ভাইরাস আপলোড করে দেওয়া হয়েছে নাসার ওয়েবসাইটে একটি স্পেসশিপের সিগনাল হিসেবে।
ভাইরাসটি এতই নিখুত আর শক্তিশালী যে এটা ভাইরাস বলে কারও সন্দেহই হয় নি।
ভাইরাসটি ছিয়ানব্বই ঘন্টা পরে নিজ থেকেই জীবন্ত হয়ে উঠবে।
আর ধ্বংস করে দেবে পৃথিবীর সাইবার জগৎ।
ভাইরাসের ব্যাপারটি সবার চোখ এড়িয়ে গেলেও চোখ এড়ায়নি রায়হানের।
নাসার ওয়েবসাইট হ্যাক করে সে খুজে পায় এটা।
আর এটার তান্ডব নিজ চোখে পরখ করে রানা এজেন্সির নেটওয়ার্ক সিষ্টেমে।
চারদিন পর সব কম্পিউটার ধ্বংস হয়ে যাবে সেটা তো হতে পারে না।
মিশনে নামে রানা এজেন্সির প্রধান মাসুদ রানা আর আইটি স্পেশালিষ্ট রায়হান।
ভাইরাসটি ঠেকানোর একটিমাত্র উপায়।
একটা ইউনোকোড দিয়ে তৈরি এন্টিভাইরাস।
কিন্তু সেজন্যে খুজে বের করতে হবে একজন ইউনোকে। সেটাও খুব সহজ কাজ নয়, যে ভাইরাস তৈরি করছে সে চায় না এটা ঠেকানোর মত কেউ থাকুক।
কম্পিউটিংয়ে যাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ আছে তাদের কাছে অসাধারন লাগবে বইটি সেই গ্যারান্টি দিতে পারি। পাশাপাশি সায়েন্স ফিকশনেরও স্বাদ পাবেন পাঠকরা। মাসুদ রানার তুখোড় তদন্ত আর বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থিতি তো মাসুদ রানা সিরিজের অন্য বইয়ের মত।
পাশাপাশি অসংখ্য ছোট বড় চমকের সাথে আছে হালকা রোমান্স।
এক কথায় অসাধারনের চেয়েও বেশি কিছু।
বইয়ের নামঃ হ্যাকার
বইয়ের লেখকঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৯৬ টি।
বইয়ের ধরনঃ অ্যাডভেঞ্চার
প্রকাশনীঃ সেবা প্রকাশনী
পিডিএফ সাইজঃ ৫০ মেগাবাইট প্রায়।
ডাউনলোডঃ
Hacker Bangla pdf
#লেখকের ক্ষতি আমাদের কাম্য নয়, বইটির হার্ড কপি কেনার সমর্থ থাকলে বইটির হার্ড কপি কিনে পড়ুন।
হ্যাকার বই
আরো পড়ুনঃ ১। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে | ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে?
২। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নামগুলো অর্থসহ | জান্নাতি মহিলা সাহাবীদের নামগুলো
আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইলো www.puretrick99.com
আপনিও মাসুদ রানার ভক্ত, জানতাম না। ❤️???
টাইটেলে মাসুদ রানা উল্লেখ করলে বোধহয় আরও ভালো হতো।