আমার বড় ভাই হুমায়ুন আহমেদ বই রিভিউঃ
জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের বাবা ১৯৭১ সালে মুক্তযুদ্ধের সময়ে মারা যান তার মা কিভাবে যেন তার ৬ ছেলেমেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেচেঁ যায়। হুমায়ুন আহমেদরা ছিলো ৬ ভাইবোন, তার বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের পরিবারে নেমে এলো অভাব অনটন। কোনোরকম কয়েক বছর কাটানোর পরে সাংসারিক অবস্থা মোটামুটি ফিরে পেল, এরপরে হুমায়ুন আহমেদের ছোট ভাই জাফর ইকবালকে পড়ালেখার জন্য বিদেশে পাঠালো, কয়েকবছর পরে হুমায়ুন আহমেদ নিজেও পড়ালেখার জন্য বিদেশ গেলেন এবং জাফর ইকবালের আগেই দেশে ফিরে এসে টেলিভিশনের জন্য নাটক লেখা শুরু করে, এরপরেই বাজারে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে।
হুমায়ুন আহমেদ নাটক লিখে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে বই লেখা শুরু করে, তার বইগুলো ও খুব জনপ্রিয়তা পায়। তার কাছে টাকাপয়সা ও আসতে থাকে যথেষ্ট পরিমানে, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এরপর কিছু বছর পরে তার বৈবাহিক জীবনে অশান্তি নেমে আসে তখন হুমায়ুন আহমেদের ৪ ছেলেমেয়ে, এই সময়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। হুমায়ুন আহমেদের অনেক নাম ডাক আছে দেশে তার সমস্যা না হলেও বেচারা তার স্ত্রী তো এখন ছোট ছোট ৪ ছেলেমেয়ে নিয়ে অসহায়, তাই হুমায়ুন আহমেদের মা এবং ভাইবোনেরা চায় ডিভোর্স দেওয়ার পরেও যেন হুমায়ূন আহমেদের বউ এই পরিবারের একজন না হয়েও যেন থাকতে পারে তাই জাফর ইকবাল গিয়ে তার বড় ভাইকে বলে বুঝিয়ে যে ভাবিতো এখন অসহায় আমি ভাবিকে সাপোর্ট করতে চাই, হুমায়ুন কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে থাক।
এর কয়েমাস পরেই হুমায়ূন আহমেদের ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যায়। অপারেশন ও সফল হয় কিন্তু আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, খুবই বেশী অসুস্থ মেডিকেল থেকে তাদের পরিবারের লোকজনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পৌছতে বলা হয়েছে। জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী সেখানে যায়, গিয়ে দেখে তাকে উচু একটা বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে ঔষধ দিয়ে, সুস্থ হলেই জাগিয়ে তোলা হবে।
প্রতিদিন পাখি ডাকা সকালে তারা দুজন হাসপাতে যায় আবার অনেক রাত পর বাসায় ফিরে এভাবে কিছুদিন যাবার পরে হঠাৎ এক সকালে হুমায়ূন আহমেদের মা ফোন করলো জাফর ইকবালের কাছে বলল, জাফর বাবা তুই শিগ্রই যা তোর বড় ভাইয়ের কাছে আমার সকাল থেকে শরীরটা অস্থির করছে, খুব অস্থিরতা তুই তারাতাড়ি হুমায়ুনের কাছে যা।
জাফর আর তার স্ত্রী তাই তাড়াহুড়া করে হাসপাতালে পৌঁছলো গিয়ে দেখে নার্স ডাক্তাররা তার ভাইয়ের বেডের চারপাশে ভিড় করে দাড়িয়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যাস্ত। ডাক্তাররা তাদের দুজনকে দেখে অন্য ডাক্তার ও নার্সদের ইশারা করলো আপনজনদের কাছে আসতে দাও, একজন তরুণ নার্স কেদে কেদে বললো আর মাত্র কিছুক্ষণ এই পৃথিবীতে আছে ……. খুব শিগ্রই চলে যাবে। হুমায়ূনের ব্লাড প্রেশার কমতেছে, মাথার ব্লেড প্রেশার কমতেছে, মস্তিষ্কের নিউরন সেল গুলো ধিরে ধিরে মরে যাচ্ছে ?
এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গেল হুমায়ূন আহমেদ। মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল একজন বিজ্ঞানের ছাত্র তার মাথায় কিছুতেই ঢুকছেনা তার মা কিভাবে আগেই বুঝতে পারলো তার সন্তানের মৃত্যু হবে একটু পরে এই ভেবে তিনি বললেন আমি এই সংবাদ মাকে জানাতে পারবোনা, এই নিষ্ঠুরতম কাজ তার স্ত্রী করলো, সে ফোন করে বাড়ির সবাইকে জানালো।
আমি এই রিভিউতে অনেক কিছু এড়িয়ে সংক্ষেপে লিখেছি, হুমায়ূন আহমেদের শেষ জীবনের কাহিনী / ঘটনা জানতে pdf টি পড়ুন।
বইয়ের নামঃ আমার বড় ভাই হুমায়ুন আহমেদ।
বইয়ের লেখকঃ মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল (এই লেখকের All PDF বই)
বইয়ের ধরনঃ আত্মজীবনী
পিডিএফ সাইজঃ ২ মেগাবাইট প্রায়।
ডাউনলোডঃ Read Online / Download
আরো পড়ুনঃ ১। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে | ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে?
আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইলো www.puretrick99.com
2 thoughts on "আমার বড় ভাই হুমায়ুন আহমেদ pdf বই Download (হুমায়ূন আহমেদ এর শেষ জীবনের ঘটনা)"