পাইথন প্রোগ্রামিং সিরিজের প্রথমে যেই পোস্ট দেয়া উচিৎ ছিল সেই পোস্ট দিতে হচ্ছে শেষের দিকে। আন্তরিক ভাবে দুঃখিত আমার ভুলের জন্য।
আর, প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই ondhokobi কে এই পোষ্ট টার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য!!
তাহলে চলুন শুরু করি।
পাইথন কী??
শত শত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর ভীড়ে এটি একটি হাই-লেভেল অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।
পাইথনের ইতিহাস
১৯৯১ সালে গুইডো ভ্যান রস্যিউম পাইথন তৈরি করেন।
পাইথন মানে অজগর হলেও মুলত পাইথন নামকরণ করা হয়েছে একটি সার্কাস দল “মন্টি পাইথন” এর নাম থেকে।
আসলে উনি উনার অবসরে বসে একটা ইন্টারপ্রেটার তৈরি করতে চাইছিলেন যেটা হবে উনার নিজস্ব স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জন্য।
পাইথন আসলে ইন্টারপ্রেটার ল্যাঙ্গুয়েজ এটি সি, সি++, জাভা এর মত কম্পাইলড ল্যাঙ্গুয়েজ না।
কম্পাইল্ড ল্যাঙ্গুয়েজ এর বড় অসুবিধা হল এটাতে যদি কোন এক লাইনে যদি ইরোর থাকে তাহলে পুরো প্রোগ্রাম বন্ধ হয়ে যায়।
কারণ, কম্পাইলার আগে সব গুলো কোড পরে তারপর সেটাকে কম্পাইল করে।
কিন্তু, ইন্টারপ্রেটার ল্যাঙ্গুয়েজ এক লাইন করে পড়ে আর এক লাইন করে ইন্টারপ্রিট করে।
পাইথন, কোডকে কম্পিউটার এর ভাষায় অনুবাদ করায় হচ্ছে ইন্টারপ্রেটার এর কাজ।
পাইথন এ কোন ভ্যারিয়েবল লিখতে গেলে বলে দেয়া লাগে না যে এটা কোন ধরনের ডাটা টাইপ।
কিন্তু, অন্য ল্যাঙ্গুয়েজ এ বলে দেয়া লাগে। আর, পাইথন এর সবথেকে বড় কথা হল এটা দেখতে ইংরেজির মতোই।
যে কেও দেখে বুঝতে পারে।
পাইথন দিয়ে কি কি করা যায়?
- পাইথন দিয়ে এন্ড্রয়েড এপ ডেভেলপ করতে পারবেন।
- পাইথন দিয়ে রোবটিক্স করতে পারবেন। অর্থাৎ, রোবটিক্স শিখতে গেলে পাইথন আপনার লাগবেই।
- পাইথন দিয়ে লিনাক্স, উইন্ডোজ, ম্যাক এর জন্য এপ তৈরি করা যায়।
- পাইথন দিয়ে ওয়েব সাইট বানাতে পারবেন।
- পাইথন দিয়ে মেশিন লার্নিং শিখতে পারবেন।
- পাইথন দিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখতে পারবেন।
- পাইথন দিয়ে আরডুইনো সহ অন্যন্ন সকল IOT ডিভাইস কন্ট্রোল করতে পারবেন।
পাইথন দিয়ে একড্রয়েড এপ ডেভেলপ শিখতে গেলে আপনার জানা লাগবে Kivy Framework । এটা বেশ সহজ। শিখে ফেললে অনেক সহজে এন্ড্রয়েড এপ ডেভেলপ করতে পারবেন।
পাইথন দিয়ে রোবটিক্স মানে কোন আরডুইনোর সাহায্যে সহজেই রোবট তৈরি করতে পারবেন।
পাইথন দিয়ে ডেস্কটপ এপ ডেভেলপ করতে চাইলে শিখে ফেলুন Tkinter। এটা বেশ মজার শিখে নিন।
পাইথন দিয়ে ওয়েব সাইট ডিজাইন করতে পারবেন।
এটা পাইথনের দ্বিতীয় সবথেকে বড় সেক্টর যেখানে পাইথনের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বললেই চলে।
ওয়েব সাইট এ দুই ধরনের কাজ করা হয়। এক ফ্রন্টেন্ড এবং আরেক হল ব্যাকেন্ড।
আমরা HTML, CSS, JS দিয়ে ওয়েব সাইটের ফ্রন্টেন্ড ডিজাইন করতে পারি।
কিন্তু, ব্যাকেন্ড এর জন্য লাগে PHP এবং JS এর Framework। তবে, এখন সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে Python Django (জ্যাঙ্গো)
আপনি খুব সহজেই জ্যাঙ্গো দিয়ে যেকোন ব্লগ, সোশ্যাল সাইট বানাতে পারবেন।
আপনি জেনে অবাক হবেন ইন্সটাগ্রাম, মজিল্লা, ফেসবুক ট্যাগ, ইউটিউব, ড্রপবক্স, পিন্টারেস্ট, কোরা, ডিসকাস, রেড্ডিট সব কিছুতেই প্রধান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে জ্যাঙ্গো.
একটা কথা বলে নেই ইউটিউব এর প্রধান সহকারী প্রতিষ্ঠাতা জাবেদ করিম একজন বাংলাদেশি।
আর, শুধু জ্যাঙ্গো না, পাইথনে আরো আছে Flask, Bottle, Web2Py ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে, সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় জ্যাঙ্গো। অনেকে বলে জ্যাঙ্গো নাকি কঠিন তবে আমার কাছে সত্যি বলতে পাইথন যেমন সহজ তার থেকেও সহজ জ্যাঙ্গো। আমার তো খুব ভালো লাগে।
মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহ সব নতুন প্রযুক্তিতে এখন পাইথনের ব্যবহার!!
২০১৮ সালে মোস্ট ওয়ান্টেড ল্যাঙ্গুয়েজ এর তালিনায় পাইথন আছে প্রথমে।
তাহলে, আরো কিছু জানতে হলে বলুন আমি পোষ্ট এডিট করে আবার লিখে দেবো। পাইথন কেন শিখবেন বুঝতে পেরেছেন??
আরো ভালো আর্টিকেল পেতে চলে যান এই লিংক এ www.thebanglatech.xyz
10 thoughts on "পাইথন প্রোগ্রামিং – কেন শিখবো পাইথন – পর্ব ১২"