আসসালামু আলাইকুম
আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলেই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি।
TrickBD তে এটা আমার ৩য় পোস্ট । আশা করি সকল ভাই-বোনের আমার এই পোস্ট টি অনেক উপকারে আসবে। আমার জানামতে আমিই প্রথম এই বিষয় পোস্ট করছি। কেউ আগে করে থাকলে মাফ করবেন। অনেক কিছু বলেছি এবার মূল পোস্ট এ যায়।
আপনি হয়ত জেনে থাকবেন যে কে মূলত দুইটি
ভাগে ভাগ করা যায়; অন-পেজ এস.ই.ও. এবং অফ-পেজ
এস.ই.ও. । একটা ব্লগ বা সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক
করানোর জন্য অন-পেজ এস.ই.ও. এবং অফ-পেজ এস.ই.ও.
২টাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ঠিকমত অন-পেজ এস.ই.ও.
না করেন তাহলে আপনি যত ভালোভাবেই অফ-পেজ
এস.ই.ও. করেন না কেনো, আপনার সাইট খুব সহজেই সার্চ
ইঞ্জিনে ভালো পজিশনে আসবে না। তাই আপনাকে
২টার প্রতিই সমান গুরুত্ব দিতে হবে এবং ২টার জন্যই
কাজ করতে হবে। অন-পেজ এস.ই.ও. এর কাজ মূলত সহজ
এবং এইটা অফ-পেজ এস.ই.ও. এর মত রেগুলার প্রসেস না।
একবার যদি আপনার পুরো ব্লগ ভালোভাবে অফ-পেজ
এস.ই.ও. অপ্টিমাইজ করেন তাহলে সহজে তা আর
পরিবর্তন করা লাগবে না।
যাই হোক, আজকে আমি আপনাদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস
ব্লগের জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ন অন-পেজ এস.ই.ও.
চেকলিষ্ট নিয়ে লিখবো। আশা করি এই পোষ্টি পড়ার
পরে আপনারা নিজেরাই আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বা
সাইটের অফ-পেজ এস.ই.ও. এর কাজ করতে পারবেন। এই
জন্য আর কোন এস.ই.ও. এক্সপার্টকে হায়ার করার দরকার
পড়বে না। চলুন দেখে নেওয়া যাক ১০টি গুরুত্বপূর্ন অন-
পেজ এস.ই.ও. চেক লিষ্ট।
১ . এস .ই . ও . ফ্রেন্ডলী ওয়ার্ডপ্রেস থিম
আপনার ব্লগ/সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে দূত র্যাঙ্ক
করানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি এস.ই.ও.
ফ্রেন্ডলী থিম ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত দেখা যায়
যে আমরা অনেকেই আমাদের ব্লগের জন্য ফ্রি থিম
ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমাদের কখনোই ফ্রি থিম
ব্যবহার করা উচিত না, কারণ ফ্রী থিমে অনেক হিডেন
টেক্সট/লিঙ্ক থাকে এবং লোডিং টাইম অনেক বেশী
হয় যার কারণে এই থিমগুলো এস.ই.ও. ফ্রেন্ডলী হয় না।
এছাড়া থিম এর ডিজাইন ও নেভিগেশন ও একটা থিম
এস.ই.ও. ফ্রেন্ডলী হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আপনার
ব্লগকে এস.ই.ও. ফ্রেন্ডলী করার জন্য আপনাকে অবশ্যই
একটা প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করতে হবে।
২ . ব্লগের ইউ আর এল ঠিক করা
আপনি যখন প্রথমবার আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ ইন্সটল
দিবেন তখন আপনার ব্লগের জন্য একটা ডিফল্ট ইউ আর
এল ঠিক করে দিতে হবে। আপনি হয় www সহ ইউ আর এল
সিলেক্ট করবেন অথবা www ছাড়া ইউ আর এল সিলেক্ট
করবেন। আসলে www সহ এবং www ছাড়া ইউ আর এল এর
মধ্যে গুরতর কোন পার্থক্য নাই, কিন্তু তারপরেও
আপনাকে যেকোণো একটা সিলেক্ট করতে হবে এবং
গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে আপনার সাইট সাবমিট করার
সময় সেটা সাবমিট করতে হবে। অন্যথায় গুগল আপনার
সাইট একবার www সহ এবং একবার www ছাড়া ইন্ডেক্স
করবে তাতে করে আপনার সাইটের কন্টেন্টগুলো
ডুপ্লিকেট হিসেবে গন্য হবে এবং এতে করে আপনে
অনেক ঝামেলায় পড়তে পারেন। যেমন সমাধাণ
আইটিতে www ছাড়া ডিফল্ট ইউ আর এল ব্যবহার
করতেছি।
৩ . এস .ই . ও . ফ্রেন্ডলী পার্মালিঙ্ক সেটাপ করা
আপনি যখন ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দিবেন তখন আপনার
ব্লগের ডিফল্ট পার্মালিঙ্ক হিসেবে থাকবে Plain:
http://www.yourdomain.com/?p=123 যা আপনাকে
পরিবর্তন করে Post Name: http://www.yourdomain.com/
sample-psot/ করে দিতে হবে। আপনার ব্লগকে এস.ই.ও.
ফ্রেন্ডলী করার জন্য পার্মালিঙ্ক খুবই গুরুত্ব বহন করে।
হবে।
কিভাবে করবেন?
আপনার ব্লগের এডমিন প্যানেলে প্রবেশ করুন। তারপর
সেটিং এ যান, সেখান থেকে পার্মালিঙ্কস সিলেক্ট
করুন এবং পার্মালিঙ্ক হিসেবে পোষ্ট নেম সিলেক্ট
করে সেভ করুন।
৪ . আপনার ব্লগ সার্চ ইঞ্জিন ঠিকমত ইন্ডেক্স করবে কিনা সেটা চেক করুন
আমরা যখন ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ ইন্সটল করি তখন আমাদের
ব্লগ ডিফল্ট হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন ইন্ডেক্সেবল থাকে,
অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন আমাদের ব্লগকে ইন্ডেক্স করতে
পারবে। কিন্তু আপনি যখন একটা নতুন ব্লগ সেটাপ দেন
তখন আপনার ব্লগে কিছুই থাকে না এবং হয়ত আপনার
ব্লগের সব সেটাপ ঠিক করে পোষ্ট দিতে অনেক দেরী
হয়। তাই আমাদের উচিত নতুন ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনে ডি-
ইন্ডেক্স করা রাখা এবং সব প্রয়োজনীয় সেটিং ঠিক
করে ও কমপক্ষে ১০-১৫টা পোষ্ট পাবলিশ করার পরে
ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনে ইন্ডেক্স করানো।
কিভাবে ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ডি-
ইন্ডেক্স করে রাখবেন?
আপনার ব্লগের এডমিন প্যানেলে প্রবেশ করুন। সেটিং
এ যান তারপর সেখান থেকে রিডিং এ যান, এইখানে
আপনি সার্চ ইঞ্জিন ভিজিবিলিটি নামে একটা অপশন
পাবেন। এইখান থেকে Discourage search engines from
indexing this site চেক বক্সে ক্লিক করুন এবং সেভ করুন।
৫ . প্রয়োজনীয় ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনগুলা ইন্সটল , একটিভ এবং কনফিগার করুন
ওয়ার্ডপ্রস ইন্সটল করার পরে আপনাকে কিছু
প্রয়োজনীয় প্লাগিন ইন্সটল দিতে হবে এবং কনফিগার
করতে হবে। এই প্লাগিন গুলার আপনার সৌন্দর্য্য
বাড়াতে, নিরাপত্তা বাড়াতে এবং ইউজার ফ্রেন্ডলী
করতে সাহায্যে করবে।
দরকারী ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন সমূহ
অ্যাকিসমেট
জেটপ্যাক
ডব্লিউ পি সুপার কেচে
ওয়ার্ডপ্রেস এস.ই.ও. বাই ইয়োষ্ট
ডব্লিউ পি অপ্টিমাইজ
টেবলপ্রেস
প্রিটি লিঙ্ক লাইট
লিমিট লগিন এটেম্পটস
ব্রোকেন লিঙ্ক চেকার
সুমোমি
৬ . গুগল ও বিং ওয়েবমাষ্টার টুলে ব্লগ সাবমিট করা ও ভেরিফাই করা
প্রাথমিক সব সেটিং ঠিক করার পরে ও প্রয়োজনীয়
কিছু পোষ্ট আর পেজ পাবলিশ করার পর আপনার ব্লগকে
গুগল আর সাবমিট করতে হবে
এবং ওনারশীপ ভেরিফাই করতে হবে। এতে করে আপনার
ব্লগের সকল নতুন পোষ্ট খুব তাড়াতাড়ি গুগল ও বিং এ
ইন্ডেক্স হবে এছাড়া আপনার
ব্লগের ট্রাফিক, ব্যাকলিঙ্ক সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
৭ . গুগল এনালাইটিক্স সেটাপ
করা
একটা ব্লগে/সাইটের ট্রাফিক পরীক্ষা বা বিশ্লেষণ
করার জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে। তাই
আপনাকে অবশ্যই গুগল এনালাইটিক্স সেটাপ করতে হবে।
এইটা অনেক সহজ, গুগল এনালাইটিক্সে যান, আপনার
জিমেইল আইডি দিয়ে লগিন করে আপনার সাইট
ভেরিফাই করুন, তারপর আপনাকে একটি কোড দেওয়া
হবে সেটা আপনার ব্লগে ইনসার্ট করতে হবে।
৮ . এক্সএমএল সাইটম্যাপ তৈরী করুন এবং গুগল ও বিং
ওয়েবমাষ্টারে সাবমিট করুন
এক্সএমএল সাইট একটা ব্লগ/সাইটের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন
করে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের জন্য আপনাকে ম্যানুয়ালী
এক্সএমএল সাইটম্যাপ তৈরী করতে হবে না। আপনি যদি
তাহলে এক্সএমএল সাইটম্যাপ অটোমেটিকালী তৈরী
হয়ে যাবে। আপনাকে শুধুমাত্র এক্সএমএল সাইটম্যাপ গুগল
ও বিং ওয়েবমাষ্টারে সাবমিট করতে হবে।
৯ . রোবট ডট টি এক্স টি ফাইল
তৈরী করুন
রোবট ডট টি এক্স টি ফাইল একটা ব্লগ/সাইটের জন্য
অনেক গুরুত্ব বহন করে। এই ফাইলে বলা থাকে সার্চ
ইঞ্জিন বোট কোন-কোন পেজ/পোষ্ট ইন্ডেক্স করবে আর
কোনগুলো ইন্ডেক্স করবে না। আপনি খুব সহজেই এই রোবট
ডট টি এক্স টি ফাইল তৈরী করতে পারেন। একটি
নোটপ্যাড ফাইল তৈরী করুন যার নাম
দিবেন robots.txt এবং সেখানে নিম্নক্ত কোডগুলো
দিয়ে সেভ করুন। তারপর এই ফাইলটা আপনার সার্ভারে
আপলোড করে দিন। এছাড়া আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস
এস.ই.ও. বাই ইয়োষ্ট প্লাগিন ব্যবহার করেন তাহলে
আপনি সেটা দিয়ে আপনার সাইট এর এডমিন প্যানেল
থেকে রোবট ডট টি এক্স টি ফাইল এর কোড পরিবর্তন
করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের জন্য রোবট ডট টি এক্স টি
ফাইল এর ডিফল্ট কোড
</p><br /> <p>User-agent: *</p><br /> <p>Disallow: /cgi-bin/</p><br /> <p>Disallow: /wp-admin/</p><br /> <p>Disallow: /wp-includes/</p><br /> <p>Disallow: /recommended/</p><br /> <p>Disallow: /comments/feed/</p><br /> <p>Disallow: /trackback/</p><br /> <p>Disallow: /index.php</p><br /> <p>Disallow: /xmlrpc.php</p><br /> <p>User-agent: Googlebot-Image</p><br /> <p>Allow: /wp-content/uploads/</p><br /> <p>User-agent: Mediapartners-Google</p><br /> <p>Disallow:</p><br /> <p>User-agent: Googlebot-Mobile</p><br /> <p>Allow: /</p><br /> <p>Sitemap: http://</p><br /> <p>www.yourdomain.com/</p><br /> <p>sitemap_index.xml
১০. এবাউট , কন্টাক্ট এবং
প্রাইভেসি পলিসি পেজ
তৈরী ও পাবলিশ করুন
একটা ব্লগের জন্য এবাউট, কন্টাক্ট ও প্রাইভেসি
পলিসি পেজ অনেক গুরুত্ব বহন করে। তাই আপনার ব্লগের
জন্য এই পেজ গুলো তৈরী করুন এবং পাবলিশ করুন।
এবাউট পেজে আপনার ব্লগ ও আপনার সম্পর্কে
বিস্তারিত উল্লেখ করুন। কন্টাক্ট পেজে আপনার ব্লগের
মালিকের সাথে কন্টাক্ট করার জন্য ইমেল আইডি, ফোন
নাম্বার বা আপনি চাইলে ঠিকানাও দিতে পারেন।
এছাড়া অনেকে তাদের সোশ্যাল সাইটের প্রোফাইল/
পেজের ঠিকানাও কন্টাক্ট পেজে দিয়ে থাকে যাতে
করে আপনার ব্লগ ব্যবহারকারীরা যেকোন দরকারে খুব
সহজেই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
আশা করি আমার এই পোস্ট টা অনেকের ভালো লাগবে। অনেকে বা তা আগে থেকেই জানে।করো কোনো প্রব্লেম হলে কমেন্ট এ জানান।আর সব সময় TrickBD এর সাথে থাকুন।
http://facebook.com/azadbinasif
Thanks.