আসসালামু আলাইকুম
আশাকরি সবাই ভালো আছেন।
সবাই ভালো থাকেন ভালো রাখেন এই প্রত্যাশাই করি সব সময়।
আজ নিয়ে আসলাম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন “SEO” নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পর্ব-৩।
তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।

৩ ) কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন


ফটো: www.outofseo.com


মানসম্মত তথ্য এবং সার্ভিস
মানসম্মত ও স্বত্ত্ব কন্টেন্ট বা তথ্য হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট জনপ্রিয় করার মূল হাতিয়ার । এটি একদিকে যেমন ব্যবহারকারীদেরকে সাইটে নিয়মিত আসতে প্রভাবিত করে , তেমনি গুগলের কাছেও সাইটের গুরুত্ব বেড়ে যায় । ওয়েবসাইটে লেখা সংযােজন করার পূর্বে কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা এবং লেখায় এর প্রতিফলন থাকা প্রয়ােজন । গুগলের ” এডওয়ার্ডস সাইটে এজন্য একটি টুল রয়েছে যা একটি কিওয়ার্ড কতটা জনপ্রিয় তা যাচাই করতে সাহায্য করে । পাশাপাশি এই টুলের মাধ্যমে নতুন নতুন কিওয়ার্ড সম্পর্কে জানা যায় । সাইটটির ঠিকানা হচ্ছে – https://adwords.google.com/select/KeywordToolExternal
তাছাড়া গুগলের ” ওয়েবমাস্টার টুলস ” সাইটে শীর্ষ কিওয়ার্ডের একটি লিস্ট পাওয়া যায় , যা থেকে ব্যবহারকারীরা সাইটে ভিজিট করার পূর্বে গুগলে কোন কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আসে তা জানা যায় । ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট তৈরি করার সময় বানান এবং ব্যাকরণের দিকে খেয়াল রাখা উচিত । লেখায় একাধিক বিষয়বস্তু থাকলে সেটিকে কয়েকটি প্যারাগ্রাফে ভাগ করে এবং শিরােনাম সহকারে লেখা উচিত ।

এংকর টেক্সটের যথাযথ ব্যবহার

এংকর টেক্সট ( Anchor ext ) হচ্ছে HTML এর link tag বা এংকর ট্যাপের ভেতরের শব্দগুচ্ছ যাতে ক্লিক করে অন্য কোন পৃষ্ঠা বা সাইটে যাওয়া যায়। এই টেক্সটি গুগল এবং ব্যবহারকারীদেরকে লিংক সম্পর্কে পূর্ব ধারণা দেয় । এই লিংকটি একই সাইটের অন্য কোন পৃষ্ঠার সাথে হতে পারে অথবা ভিন্ন কোন সাইটের সাথে সংযুক্ত হতে পারে । এংকর টেক্সটে “click here” , ” Page ” বা “Article” এই জাতীয় সাধারণ শব্দ ব্যবহার না করে লিংককৃত পৃষ্ঠার বর্ণনামূলক হওয়া উচিত । এংকর টেক্সটাট যাতে অল্প কয়েকটি শব্দের সমন্বয়ে হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে , সম্পূর্ণ একটি বাক্যকে এংকর টেক্সট হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয় । একটি সাধারণ লেখা থেকে লিংককে যাতে আলাদাভাবে চেনা যায় সেজন্য এংকর টেক্সটে ভিন রং , আন্ডারলাইন ইত্যাদি css স্টাইল ব্যবহার করা যেতে পারে ।

ছবির ব্যবহার।

ওয়েবসাইটে ছবি বা ইমেজ যুক্ত করার সময় HTML এর img src = ” img_link ” alt = “__” ট্যাগের মধ্যকার alt এট্রিবিউটে ছবির বর্ণনা যুক্ত করা উচিত । এর ফলে কোন ব্রাউজারে যদি ছবিটি না আসে তাহলে এই এট্রিবিউটের লেখাটি দৃশ্যমান হবে । একটি ছবিকে লিংক হিসেবে ব্যবহার করার সময় এটি এংকর টেক্সটেরও কাজ করে । অন্যদিকে এর মাধ্যমে গুগলের ইমেইজ সার্চের সাহায্য ব্যবহারকারীরা ছবিটি খুজে পাবে । ছবির বর্ণনার পাশাপাশি ছবির ফাইলে নামও | বর্ণনামূলক ও সংক্ষিপ্ত হওয়া প্রয়ােজন । সাইটের সাইটম্যাপ ফাইলের মত ছবির জন্যও একটি XML সাইটম্যাপ তৈরি করা যায় , যা গুগলকে ওয়েবসাইটের সকল ছবি সম্পর্কে ভাল ধারণা দেয় ।

হেডিং ট্যাগ

HTML , এ h1 থেকে শুরু করে h6 পর্যন্ত ৬টি হেডিং ট্যাগ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিরােনামকে h1 ট্যাগের মধ্যে এবং কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য হেডিং ট্যাগের মধ্যে লেখা হয় । হেডিং ট্যাগের লেখা যেহেতু পৃষ্ঠার অন্যান্য লেখা থেকে আকারে বড় হয়ে থাকে তাই এটি ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি সহজেই আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় এবং লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত করতে ব্যবহারকারী ও গুগলকে সহায়তা করে । তবে একটি পৃষ্ঠায় মাত্রাধিক হেডিং ট্যাগ যাতে ব্যবহৃত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।

৪ )ক্রাওলার উপযােগী এসইও

robots . txt ফাইলের ব্যবহার
ক্রাউলার ( Crawler ) হচ্ছে একধরনের কম্পিউটার প্রােগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে এবং নতুন নতুন তথ্য তার ডাটাবেইজে সংরক্ষণ ( বা ক্রাউলিং ) এবং সাজিয়ে বা ইন্ডেক্সিং রাখে । ক্রাউলার প্রোগ্রামকে প্রায় সময় ইন্ডেক্সার , বট , ওয়েব স্পাইডার , ওয়েব রােবট ইত্যাদি নামে ডাকা হয় । গুগলের ক্রাউলারটি গুগলবট নামে পরিচিত । গুগলবট নিরবিচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেটে বিচরণ করে বেড়ায় এবং যখনই নতুন কোন ওয়েবসাইট বা নতুন কোন তথ্যের সন্ধান পায় , এটি গুগলের সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখে । robots.txt হচ্ছে এমন একটি ফাইল যার মাধ্যমে একটি সাইটের নির্দিষ্ট কোন অংশকে ইন্ডেক্সিং করা থেকে সার্চ ইঞ্জিন তথা ক্রাউলারকে বিরত রাখা যায় । এই ফাইলটিকে সার্ভারের ফুল ফোল্ডারের মধ্যে রাখতে হয় । একটি সাইটে এমন অনেক পৃষ্ঠা থাকতে পারে যা ব্যবহারকারী ও সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের কাছে অপ্রয়ােজনীয় , সেক্ষেত্রে এই ফাইলটি (robots.txt) হচ্ছে একটি কার্যকরী সমাধান । গুগলের ওয়েবমাস্টার টুলস সাইট থেকে এই ফাইল তৈরি করা যায় ।

nofollow লিংক সম্পর্কে সতর্কতা

গুগলবট একটি সাইটকে যখন ক্রাউলিং করতে থাকে তখন সেই সাইটে অন্য সাইটের লিংক পেলে তাতে ভিজিট করে এবং সেই সাইটকেও এমউলিং করে । এক্ষেত্রে একটি সাইটের পেজরেংক (PR) এর উপর অন্য সাইটের পেজরেংকের প্রভাব পড়ে । HTML ট্যাগের ট্যাগের মধ্যে ” rel ” এট্রিবিউটে
“nofollow” দিয়ে রাখলে গুগল সেই লিংকে ভিজিট করা থেকে বিরত থাকে । nofollow লেখার নিয়ম হচ্ছে –
site name এটি মূলত বিভিন্ন ব্লপিং সাইটে পাঠকদের মন্তব্যে অবস্থিত লিংকে ব্যবহৃত হয় , যা স্প্যামার বা অনাকাঙিত ভিজিটরদেরকে তাদের সাইটের পেজরেংক বাড়ানাে প্রতিরােধ করে । এটি অযাচিত মন্তব্য প্রদানে স্প্যামারদেরকে নিরুৎসাহিত করে । তবে যেসকল ক্ষেত্রে স্প্যাম প্রতিরােধের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে nofollow ব্যবহার না করা ভাল এতে পাঠকরা মন্তব্য প্রদানে উৎসাহিত হবে এবং সাইটের সাথে তাদের যােগাযােগ আর বেশি হবে ।

৫ ) ওয়েবসাইটের প্রচারণা এবং বিশ্লেষণ

সঠিক পদ্ধতিতে প্রচারণা
একটি সাইটকে যখন অপর একটি সাইট লিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত করে তখন একে বলা হয় ব্যাকলিংক ( Backlink ) । একটি সাইটের ব্যাকলিংক যত বেশি হবে গুগলের কাছে সেই সাইটের গুরুত্ব তত বাড়তে থাকবে এবং এর পেজরেংকও বাড়তে থাকবে । ফলস্বরূপ সার্চের মাধ্যমে আরো বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী সাইটে আসবে । বেশি করে ব্যাকলিংক পাবার জন্য ওয়েবসাইটে মানসম্মত তথ্য থাকা এবং এর সঠিক প্রচারণা প্রয়ােজন । একটি সাইটে ভাল তথ্য থাকলে ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটে স্বেচ্ছায় ব্যাকলিংক সংযুক্ত করবে । একটি ওয়েবসাইটের প্রচারণা দুই ধরনের হতে পারে

  1. অনলাইন
  2. অফলাইন

অনলাইন প্রচারণার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্লগিং । ওয়েবসাইটের সাথে একটি ব্লগ সংযুক্ত থাকলে এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের নতুন নতুন সার্ভিস বা পণ্যের সাথে ব্যবহারকারীদেরকে সহজেই পরিচয় করিয়ে দেয়া যায় । অনলাইন প্রচারণার মধ্যে আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কিং ও কমিউনিটি সাইটে প্রচারণা । তবে এসব সাইটে প্রচারণার ক্ষেত্রে একটু সংযমী হওয়া প্রয়ােজন । ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি নতুন তথ্য বা যে কোন ছােটখাট পরিবর্তন শেয়ার না করে বেছে বেছে ভাল তথ্যগুলাে সবাইকে জানানাে উচিত । অন্যথায় এটি অন্যদের বিরক্তির উদ্রেক করে । নিজের সাইটের সমজাতীয় কমিউনিটি সাইট বা বিভিন্ন ফোরামে প্রচারণা করা ভাল , তবে সেসকল সাইটে অযথা পােস্ট প্রদান বা স্প্যামিং যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অফলাইন প্রচারণার মধ্যে রয়েছে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন , বিজনেস কার্ড তৈরি , পোস্টার , লিফলেট , নিউজলেটার প্রকাশ

ফটো: prymadigitalmarketing.com


ইত্যাদি।


সৌজন্যে: WizBD.Com

9 thoughts on "সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন “SEO” নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা (পর্ব-৩)"

    1. JS Masud Contributor Post Creator says:
      tnx
    1. JS Masud Contributor Post Creator says:
      tnx
  1. IMDAD SHUVRO Author says:
    সুন্দর পোস্ট
    1. JS Masud Contributor Post Creator says:
      thank you
  2. samim ahshan Author says:
    H3 jodi site a 5-7 bar use problem ase?
    1. JS Masud Contributor Post Creator says:
      না

Leave a Reply