আসসালামু আলাইকুম

গুগল সম্প্রতি তাদের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ‘জেমা ৩’ প্রকাশ করেছে। এই মডেলটি একক-অ্যাকসেলারেটরের উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যার ফলে এটি মাত্র একটি জিপিইউ বা টিপিইউ-তে নির্বিঘ্নে চলতে পারে। গুগলের দাবি, ‘জেমা ৩’ লামা, ডিপসিক ও ওপেনএআই-এর মডেলগুলির তুলনায় উন্নত কর্মক্ষমতা প্রদান করে এবং এটি বিশেষভাবে এনভিডিয়ার জিপিইউ ও গুগলের নিজস্ব এআই হার্ডওয়্যারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

‘জেমা ৩’ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘জেমিনি ২.০’ প্রযুক্তি, যা এটিকে শক্তিশালী ও বহুমুখী করে তোলে। মডেলটি মূলত ডেভেলপার ও গবেষকদের সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে তারা বিভিন্ন প্রয়োগে এটি ব্যবহার করে নতুন অ্যাপ তৈরি করতে পারেন। ফোন, ল্যাপটপ, ওয়ার্কস্টেশন কিংবা ক্লাউড পরিবেশে এটি নির্বিঘ্নে চলবে। এছাড়াও, মডেলটি ৩৫টিরও বেশি ভাষা সমর্থন করে এবং প্রাক-প্রশিক্ষিত সংস্করণে ১৪০টিরও অধিক ভাষার অন্তর্ভুক্তি রয়েছে, ফলে এটি আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রহণযোগ্যতা পায়।

নতুন বৈশিষ্ট্য

  • কার্যকলাপ সম্পাদন: নির্দিষ্ট কমান্ড অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ সম্পাদন করে, যেমন তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও নথি বিশ্লেষণ।
  • কোয়ান্টাইজড সংস্করণ: সীমিত কম্পিউটিং ক্ষমতায়ও কার্যকরভাবে চলার উপযোগী, যা ছোট আকারে থাকলেও যথার্থতা বজায় রাখে।
  • উন্নত বিশ্লেষণ: আধুনিক ভিশন এনকোডারের মাধ্যমে উচ্চ রেজুলেশনের ছবি বিশ্লেষণে সক্ষম, এমনকি অসম্পূর্ণ ছবিও সঠিকভাবে বুঝতে পারে।
  • সুরক্ষা ও বিষয়বস্তুর ফিল্টারিং: ‘শিল্ডজেমা ২’ নামে একটি সুরক্ষা শ্রেণিবিন্যাসক সংযুক্ত, যা বিপজ্জনক, যৌন বা সহিংস বিষয়বস্তু শনাক্ত করে ফিল্টার করে।

গুগল ডেভেলপার ও গবেষকদের উৎসাহিত করতে ক্লাউড ক্রেডিট ও একাডেমিক প্রোগ্রামের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করছে, যা নতুন উদ্ভাবনের পথে সহায়ক হবে। তবে, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কিছু ঝুঁকিও বিদ্যমান; অনিচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিকর গবেষণায় ব্যবহারের সম্ভাবনা থাকলেও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় এ ধরনের ঝুঁকি খুবই কম পাওয়া গেছে। তাছাড়া, মডেলটি যদিও খোলা হিসেবে ঘোষিত, নির্দিষ্ট শর্তাবলী অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।

সবমিলিয়ে, ‘জেমা ৩’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতে এআই ভিত্তিক বিভিন্ন প্রয়োগে নতুন দিক প্রদান করবে।

তো আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন। বিদায়।

Leave a Reply