আপনি প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট এর প্যাকেটে বার কোড দেখে থাকবেন। যার মধ্যে শুধুমাত্র নাম্বার স্টোর করাই সম্ভব।
কিন্তু তার থেকেও অ্যাডভান্সড টেকনোলজি হলো কিউআর কোড (এই কিউ আর কোড এর মধ্যে আপনি অনেক কিছু স্টোর করে রাখতে পারেন)
ফর এক্সাম্প্লে- আপনি কোন টেক্সট স্টোর করতে পারেন কোন ওয়েবসাইটের ইউআরএল এমনকি আপনার কন্টাক্ট নাম্বার আপনার এড্রেস ও স্টোর করতে পারেন।
আর যদি আপনি কোন ওয়েবসাইটের ইউআরএল এড্রেসকে স্টোর করে রাখেন কোন কিউ আর কোড এতে তখন যে যে ফোন দিয়ে ওই কিউআর কোডটি স্ক্যান করবে তারা ডিরেক্টলি ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারবে।
ফোনের টাইপ করার দরকার পড়বে না কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই কিউআর কোড কে আপনি নিজেও তৈরি করতে পারেন?
আর আপনি সেটা কিভাবে বানাবেন এবং কিউ আর কোড কিভাবে কাজ করে সেটা জানার জন্য পোস্ট টা শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখবেন।
সোজা ভাষায় বলতে গেলে এই কিউআর কোড গুলো একটা টুডি এনক্রিপ্টেড’ কোড এর মধ্যে অনেক ধরনের ডেটা স্টোর করা সম্ভব।
আপনি কোন দোকানে বা যে কোন জায়গায় যদি কোন কিউ আর কোড দেখেন তবে একটা জিনিস জেনে নেবেন যে এই ছোট্ট জায়গাটার মধ্যে অনেক ইনফরমেশন স্টোর করা আছে।
আর ওই ইনফরমেশন গুলো কে সেই পড়তে পারবে যে ওই কিউআর কোডটি স্ক্যান করবে! সেটা কিউআর কোড স্ক্যানার দিয়েও হতে পারে এমনকি আপনার ফোন দিয়েও হতে পারে।
ওটাকে স্ক্যান করতে হবে তারপরেই আমরা জানতে পারব যে ওর মধ্যে কি আছে।
এবার আপনার মাথার মধ্যে একটা প্রশ্ন আসতে পারে মানে যদি কোন ইনফরমেশন কাউকে দিতে হয় তবে সেটা দিরেক্টলি ও তো দেওয়া যেতে পারে কিউআর কোড বানানোর কি দরকার আছে!?
প্রথমে কিউআর কোড বানাতে হবে তারপর তাকে দিতে হবে তারপর সে ওই কিউআর কোড স্ক্যান করবে তারপর সে জানতে পারবে যে ওর ভেতরে কি আছে তো এতো ঝামেলা পোহানোর দরকারটাই বা কি?
এখানে একটা ছোট্ট এক্সাম্পল দিলে তবে আপনি বুঝতে পারবেন ধরুন কোন দোকানে আপনি পেটিএম এর মাধ্যমে টাকা দিচ্ছেন যদি কিউআর কোড না থাকতো তবে কি করতে হতো ?
সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওই দোকানদারের নাম্বার নিতে হতো তারপর সেই নাম্বারটা কে আপনার পেটিএম এর মধ্যে ইন্টার করতে হত এবং তারপরেই আপনি টাকাটা সেন্ড করতে পারতেন।
কিন্তু যখনই আপনার সামনে একটা কিউআর কোড চলে আসে তখন শুধুমাত্র স্ক্যান করে আপনি দোকানদারকে ওই টাকাটা দিতে পারেন এতে আপনার সময় বেঁচে যায় এবং নাম্বার ভুল হবার সম্ভাবনাও থাকে না।
অর্থাৎ যখনই আমরা অফলাইন থেকে অনলাইনে কোন ডেটা ট্রান্সফার করি তখন হয় আমাদের ফোনে তে সেটাকে টাইপ করতে হয় কিংবা যদি কম্পিউটার কেউ ব্যবহার করে তবে তাকে কিবোর্ড এর মাধ্যমে টাইপ করতে হয়! তো সেই ক্ষেত্রে সময়ও নষ্ট হয় এবং ভুল হওয়ার ও সম্ভাবনা থাকে।
কিন্তু যদি ওই ডাটা টাকেই কিউআর কোডের মাধ্যমে এনক্রিপটেড করে দেওয়া যায় তাহলে শুধুমাত্র স্ক্যান করলে আপনার ঐ কাজটা হয়ে যায়। এই কারণেই কিউ আর কোড এর ফুল ফর্ম হলেও কুইক রেসপন্স কোড।
মানে যখনই আপনি স্ক্যান করবেন সাথে সাথে আপনার ওই কোডটা এনক্রিপটেড থেকে ডিক্রিপ্টেড হয়ে যাবে এই কিউআর কোড কে ব্যবহার করে আপনি আপনার জীবনের ও অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
এটা টোটালি ওপেনসোর্স এর জন্য কোন লাইসেন্সিং বা কিছু দরকার পড়ে না এমনকি কিউআর কোডের মাধ্যমে আপনি কাউকে লাভ লেটার ও পাঠাতে পারেন তবে যখনই কেউ ওই কিউআর কোড টাকে স্ক্যান করবে তখনই সে বুঝতে পারবে যে ওই কিউ আর কোড এর মধ্যে আপনি কি লিখে পাঠিয়েছেন।
তো তার জন্য জানতে হবে আপনাকে যে কিউ আর কোড কিভাবে তৈরি করে তো আমি পরবর্তী পোষ্টের দেখিয়ে দিব কিভাবে কিউআর কোড তৈরি করতে হয়।
তবে সবার আগে আপনার এটাও জেনে নেওয়া দরকার যে ওই কিউআর কোড গুলোকে স্ক্যান করার জন্য এবং ওর ভেতরে কি আছে সেটা জানার জন্য একটা অ্যাপ এর দরকার হয় সেটা আপনি অ্যাপ স্টোরএ দিয়ে কিংবা প্লে স্টোর দিয়ে যেকোনো ফ্রি কিউআর কোড স্ক্যানার ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার এর আইডি কেনাবেচা করুন নিচের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ( চ্যানেল লিংক)
One thought on "কিউআর কোড কি এবং কিভাবে কাজ করে? ( চলুন জেনে নিই)"