একটু উন্নতমানের ডিভাইসের কথা ভাবলেই, প্রথমেই খেয়ালে আসে আপেল ল্যাপটপ অর্থাৎ ম্যাকবুকের কথা। সেটা হতে পারে এয়ার অথবা প্রো। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এই ডিভাইসগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমন দাম এর দিক থেকেও একটু উচ্চ পর্যায়ের। এই বাড়তি দামের কারন উন্নতমানের পার্টস, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, অত্যাধুনিক ফিচার এবং আপডেটেড ড্রাইভারস এবং সেরা অপারেটিং সিস্টেম। প্রতিনিয়ত এই ধরনের পণ্য কেনা বা পরিবর্তন করা সম্ভব না বলেই চলে, তাই একটি স্থায়ী আপেলের ল্যাপটপ ক্রয়ের আগে যে বিষয়গুলোর দিকে আপনাকে লক্ষ রাখা দরকার?

আপনার বাজেটঃ

ল্যাপটপ কিনার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যা আমাদের ঠিক করতে হয় তা হলো বাজেট। এই বাজেট ওপর নির্ভর করে নির্বাচন এর সম্পূর্ণ বিষয়টি, প্রতিটি ক্রেতারই বাজেট এবং প্রধান উদ্দেশ্য ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন করতে হয় সেরা পন্যটি। তাই যে কোন ল্যাপটপ বা কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই আপনার একটি সুর্নিদিষ্ট বাজেট করতে হবে যা আপনি অ্যাফোর্ড করতে সক্ষম। এবার আসা যাক অ্যাপেল ল্যাপটপে অথবা ম্যাকবুক এ! আপনি যদি সিদ্বান্ত নিয়ে থাকেন যে একটি অ্যাপেল ল্যাপটপ অর্থাৎ একটি ম্যাকবুক ক্রয় করবেন তবে অবশ্যই আপনার বাজেট রাখতে হবে ১,০০,০০০ – ১,৫০,০০০ টাকার মধ্য, কারন বর্তমান বাজরে ১ লক্ষ টাকার নিচে অ্যাপেলের কোন ল্যাপটপ নেই। ম্যাকবুকের বেস ভেরিয়েন্ট অর্থাৎ Macbook air m1 256 GB সেটিও এখন ১ লক্ষ এর উপরে যা পূর্বে ৯০ – ৯৫ হাজার এর মধ্যে পাওয়া যেত । তবে আপনার বাজেট যদি হয়ে থাকে ১,৫০,০০০ – ২,০০,০০০ লক্ষ টাকার মধ্যে তবে আপনার জন্য রয়েছে অনেক ওপশন। বিশেষ করে অ্যাপেল রিসেন্টলি প্রকাশিত করা M2 chip দিয়ে Macbook pro m2 যেটি শুরু হয়েছে ১.৫০ লক্ষ টাকা থেকে। এছাড়াও এখান থেকে জেনে নিতে পারেন বর্তমান বাজারের অ্যাপেল ল্যাপটপ এর দাম

কী কাজে ব্যবহার করবেন?

ক্রয়ের প্রধান উদ্দেশ্য বা কী কাজে ব্যবহার করবেন যেইটা অন্যতম একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় । আপনার ল্যাপটপ ক্রয়ের প্রধান উদ্দেশ্য কথা মাথাই রেখেই আপনার ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে। যদি আপনার মূল বা প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে থাকে অফিসিয়াল কাজ বা ইডিটিং অথবা কোডিং তবে আপনি বিজনেস ক্যাটাগোরির ল্যাপটপগুলোই হবে আপনার জন্য, যেই ল্যাপটপগুলো ডিজাইন করা হয়েছে এইসব মানুষদের কথা মাথায় রেখে। এর অন্যতম একটি উদাহরণ হলো অ্যাপেলের এই Macbook সিরিজ। অ্যাপেলের ম্যাকবুককে Workstation বলে আখ্যায়িত করা হয়, তবে আপনার ল্যাপটপ ক্রয়ের প্রধান উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে গেমিং তবে এই ক্ষেত্রে নির্বাচন তবে ম্যাকবুক আপনার জন্য নয়। এ ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন গেমিং সিরিজগুলো যাচাই করে সেরাটি বেছে নিতে পারেন।

সহজে বহনযোগ্য কি?

আপনি যদি একজন ভ্রমন প্রেমি হয়ে থাকেন অথবা আপনার প্রতিনিয়ত যদি আপনার জায়গা পরিবর্তন করতে হয়ে থাকে, তবে আপনার জন্য এই সেকশনটি খুবই গুরত্বপূর্ণ! বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ যারা পিসি থেকে ল্যাপটপে আসছে তাদের প্রধান কারনই এই সমস্যাটিকে ঘিরে। কারন একটি পিসি কখনোই এক জায়গা থেকে অন্য নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয় না যেটার সহজ সমাধান ল্যাাপটপ এ রয়েছে । এবং এক্ষেত্রে শুধৃু ল্যাপটপ বাছাই করলেই হবে না এই বিষয়টা আপনার মাথায় রাখতে আমার ল্যাপটপটা লাইটওয়েট নাকি আটার বস্ত! অবশ্যই আপনার একটি লাইটওয়েট ল্যাপটপ বেছে নিতে যদি আপনি আপনার প্রায়ই জায়গা পরিবর্তন করতে হয়ে থাকে, আর অ্যাপেল ল্যাপটপগুলি ডিজাইন করা হয়েছে এইসব ইউজারদের কথা মাথায় রেখে তবে পর্যায়ক্রমে অ্যাপেলের ও কিছু ডিভাইস রয়েছে যেগুলো হেভি ওয়েট সমপন্ন। আপনার প্রোয়জন বা কতটুক ওয়েট ক্যারি করতে পছন্দ করবেন তার ওপর ভিত্তি করে আপনার ডিভাইসটি নির্বাচন করতে হবে।

প্রসেসর এবং র‍্যাম:

জিপিউ এর পর অন্যান্ত গুরত্বপূর্ণ যেই দুইটি বিষয় লক্ষ করতে হয় তা হলো প্রসেসর এবং র‌্যাম। প্রসেসরকে একটি ল্যাপটপ বা একটি ডিভাইস এর প্রাণ বলেও আখ্যায়িত করা হয়। শুধু অ্যাপেল ল্যাপটপ নয় যেকোন ল্যাপটপ ক্রয়ের পূর্বে এই বিষয়গুলো আপনার সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। সচরাচর আমরা জানি যে তুলনায় অ্যাপেল এর প্রসেসর সেরা যার ফলে এই প্রসেসরটি নিয়ে বেশি গবেষনা করতে হয় না। তবে কিছু যা জানলেই নয়। অ্যাপেল এর সিপিউ এর কত ক্ষমতাসম্পন্ন তা নিবাচর্ন করা হয় কোর সংখ্যা এর উপর ভিত্তি করে। অ্যাপেলের ম্যাকবুকগুলোর সবনিম্ন বা বেস ভেরিয়েন্ট যেটি Macbook Air M1 ২৫৬ জিবি যেটিতে দেওয়া হয়েছে 8 কোর জিপিউ এবং 8 কোর সিপিউ এবং যেটি এখন বর্তমান বাজারে ৯৮,০০০ থেকে ১,০২,০০০ এর মধ্যে পাওয়া যায় এবং ল্যাপটপটির র‌্যাম রয়েছে ৮ জিবি এবং সবর্চ্চো বা Higher ভেরিয়েন্ট হচ্ছে MacBook Pro M1 Max Customize Model 16‑inch 10 / 32 core GPU 64GB RAM 8TB যার বর্তমান বাজার মূল্য 599,000৳। র‌্যাম বা প্রসেসর নির্বাচন এইটা সর্ম্পূণ নির্ভর আপনার এবং আপনার বাজেট আপনি কোন উদ্দেশ্য ক্রয় করতে চাচ্ছেন এবং আপনার বাজেট কত?

কোথা থেকে কিনবেন?

কোথা থেকে কিনবো? এইটা একটা অতি পরিচিত প্রশ্ন প্রায় বেশিরভাগ ল্যাপটপ ইউজাদর। এর প্রধান কারন হচ্ছে “আমরা প্রায়ই দেখি যে ক্রেতারা অ্যাপেল ডিভাইস ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে যা বিভিন্ন ভাবে হয়ে থাকে”। কিছু রিসেলার যারা পুরাতন বা রিকন্ডিশন ল্যাপটপগুলো নতুন বলে চালিয়ে এবং কথার জালে ফেলে আপনাকে বিশ্বাস করিয়ে ফেলে যে ডিভাইস শতভাগ ব্রান্ড নিউ এবং কোনো কাজ করা হয় নি যার কারনে অ্যাপেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি মানুষের অতি সাধারন একটি প্রশ্ন হয়ে দাড়িঁয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনার সহজ সমাধান এবং বিশ্বাস্ত পার্টনার হতে পারে MC Solution BD। এই কোম্পানিটি গত কিছু বছরে তাদের দুর্দান্ত সার্ভিসের মাধ্যমে অনেক ক্রেতার মন জয় করে নিয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় যেখানে অন্য কোনো জায়গায় অ্যাপেল এর ইন্টারন্যাশনাল ওয়ারেন্টি দেয় না সেখানে ১ বছরের অ্যাপেলের ইন্টারন্যশনাশ সাভির্স ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে।

Leave a Reply