বর্তমানে এই পৃথিবীতে স্মার্টফোনের ইন্ডাস্ট্রি একটা বিশাল ইন্ডাস্ট্রি প্রতিবছরেই ইন্ডাস্ট্রি প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলারের রেভিনিউ জেনারেট করে আর প্রায় ১ বিলিয়ন স্মার্টফোন প্রতিবছর বিক্রি হয়।
গুগল যারা স্মার্ট ফোনের এন্ড্রয়েড সেকশান কে অপারেট করে তারা অ্যাপেল এর কাছ থেকে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করছে ।
তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য স্মার্টফোনের চিপ অর্থাৎ প্রসেসর তৈরি করার চেষ্টা করছেন আর প্রসেসর গুলোকে আপনি গুগলের আপকামিং স্মার্টফোন গুগোল পিক্সেল ৬ এ দেখতে পারেন।

যা হয়তো এই বছরের শেষের দিকে রিলিজ হতে পারে এই পোস্টটিতে আমরা আরও একটা স্পেশাল জিনিস দেখার চেষ্টা করব যে কিভাবে গুগল তাদের এই চিপ টা কে তৈরি করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করছে।
যার সাহায্যে কয়েক ঘন্টার মধ্যে যে কাজটা করা সম্ভব হচ্ছে হয়তো কোন এক্সপার্ট এমপ্লয়ীদের টিম হলে সেই কাজটা করতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতো।

বর্তমানে মার্কেটে যত স্মার্ট ফোন আছে এমনকি এতদিন পর্যন্ত আমরা গুগলের যে সমস্ত ফোন ব্যবহার করেছি সেগুলো প্রসেসর এর জন্য কোয়ালকমের ওপরে নির্ভর করত কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন একটা আমেরিকান কোম্পানি যারা স্মার্টফোনের চিপ কে ডিজাইন করেন।

তবে তারা ডিজাইন করে কিন্তু এই চিপ গুলোকে ম্যাক্সিমাম টাইম ম্যানুফ্যাকচার করে স্যামসাং বর্তমানে গুগোল চেষ্টা করছে যে তারা তাদের ইকোসিস্টেম থেকে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এর ডিজাইন করা প্রসেসর কিভাবে সরাতে পারে।
গুগল তাদের স্মার্টফোনের জন্য যে প্রসেসর টা তৈরি করেছে তার নাম গুগোল সিলিকন 1O1 অথবা হোয়াইট চ্যাপেল আর এই প্রসেসর গুগলের আপকামিং ফোনগুলোতে ব্যবহার করা হবে এদিকে স্যামসাং গুগোল এর সঙ্গে টিমআপ করে নিয়েছে গুগলের এই প্রসেসর গুলো তৈরি করার জন্য।

আর এটা তাদের কাছে একটা ন্যাচারাল প্রসেস কারণ এর আগে স্যামসাং কোয়ালকমের জন্য ও চিপ তৈরি করেছেন তাছাড়া স্যামসাং নিজেদের জন্য ও চিপ তৈরি করেছে তাদের স্মার্টফোনের ব্যবহার করার জন্য।

এদিকে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বলেছে যে তারা সফট্ওয়ারে যেমন ইনভেস্ট করেছে সেই ভাবে তারা হারাতেও ইনভেস্ট করতে চায়।
তবে সত্যি কথা বললে গুগোল এখনো পর্যন্ত তাদের সেমিকন্ডাক্টর বিজনেসে এতটাও পর্যন্ত ইনভেস্ট করে নি যার ফলে তারা ডিরেক্টলি কোন কম্পিটিশনের মধ্যে আসতে পারে ।

কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা এমন একটা জায়গায় ফোকাস করছে যা তাদের কম্পিটিশনের থেকে অনেক আগে এগিয়ে রাখতে পারে আর এটা হল যায় এআই অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজিকে তাদের হার্ডওয়ার এর মধ্যে ইনক্লুড করতে চায় ।

যে ব্যাপারে মনে হয় না যে অন্য কোন কোম্পানি গুগোল কে পেছনে ফেলে দিতে পারে গুগল তাদের ফোনের ইমেজ কোয়ালিটি মেইনটেইন করার জন্য অলরেডি এ আই কে ইউজ করে গুগলের স্মার্টফোনের ক্যামেরার হার্ডওয়ার বহু বছর থেকে আপডেট করা কিন্তু তা সত্বেও তারা বর্তমান কম্পিটিশন কে যথাযথভাবে টেক্কা দিতে পারে আর এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র তাদের এ আই টেকনলজি জন্য।

একটা ইমেজ প্রসেসর চিপ যার মধ্যেই আছে এ আই আছে সেটা হার্ডওয়ার এক্সপ্রেশন এর মাধ্যমে নরমাল ফোনের থেকে অনেক বেশি সুন্দর ফটো তুলতে পারে ফটো তুলতে পারে মানে ফটোটা কে এডিট করতে পারে।
মেশিন লার্নিং কে ব্যবহার করে তারা কোন ছবির কালার সাইন ইন কে ইম্প্রুভ করতে পারে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন কে আরো বেশি ইফেক্টিভ করতে পারে এমনকি অডিও প্রসেসিং কেউ আরো অনেক বেশি ইম্প্রুভ করে ফেলতে পারে।

অ্যাক্সিওস এর একটা রিপোর্ট অনুযায়ী গুগলের নতুন চিপ অর্থাৎ হোয়াইটচ্যাপেল এ গুগোলের গুগোল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর জন্য আলাদা একটা সেকশন থাকবে আর তার সাথে যদি ইনক্লুড হয় গুগলের ল্যামডা প্রোগ্রাম তাহলে ব্যাপারটা আরো অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং হয়ে যায়।
আপনাদের মধ্যে যারা জানে না তাদের জন্য বলে দিই গুগলের ল্যামডা প্রোগ্রাম ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। যার সাহায্যে গুগোল অ্যাসিস্ট্যান্ট শুধুমাত্র আপনার কোশ্চেনটাঈ শুনবে না তার সাথে এই আই কে ব্যবহার করে বোঝার ও চেষ্টা করবে যে কেন আপনি এই প্রশ্নটা করেছেন।

Lambda এবং তার সঙ্গে যদি এনহ্যান্স করা থাকে হার্ডওয়ার তাহলে সেটা গুগোল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কনভারসেশন কে একটা নেক্সট লেভেল এ নিয়ে চলে যেতে পারে।
এবার এখানে প্রশ্ন হল যে কেন গুগোল নিজেরাই নিজেদের প্রসেসর তৈরি করার জন্য আগ্রহী এর প্রধান কারণ হলো সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার টাইট এর ইন্টিগ্রেশন ঠিক যেমনটা আমরা আইফোনে দেখতে পাই।
সফটওয়্যার আগে থেকেই জানবে যে সে কার সাথে কাজ করছেন এবং হার্ডওয়ার জানবে যে তাকে কি কাজ করতে হবে এ সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার যদি একে অপরের সঙ্গে টাইটলি ইন্টিগ্রেটেড থাকে তবে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এর আকাশ-পাতাল পার্থক্য ঘটতে পারে।

প্রথমদিকে স্মার্টফোনে যখন অন্যান্য ফোনে প্রচুর পরিমাণে ফিচার থাকত তখন আই ফোনের ফিচার কিন্তু অত বেশি থাকত না তা সত্ত্বেও আইফোন অন্যান্য ফোনে থেকে অনেক স্মুথলি কাজ করতে পারত এটা হতো শুধু একটাই কারণে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেশন মানে সফটওয়্যার জানে যে কাকে নিয়ে কাজ করতে হবে আর হার্ডওয়ার জানে যে আমাকে পর্টিকুলারলি কি কাজ করতে হবে।

এছাড়া আরও একটা কারণ আছে যার জন্য গুগল নিজেরাই নিজেদের চিপ তৈরি করছে সেটা হল প্রোডাকশন খরচ কমানোর জন্য অর্থাৎ বাইরে থেকে যদি কোন চিপ কে কিনতে হয় তাতে যে অ্যাকাউন্টটা খরচা হয় সেটা যদি নিজেরাই তৈরি করে তবে সেই খরচটা অনেক কমে যায় তার সাথে তারা এটা ভালোভাবে বুঝতে পারবে যে তাদের একচুয়ালি কি হার্ডওয়ারের দরকার।

এদিকে তারা যদি কোয়ালকমের থেকে প্রসেসর কেনে তবে কোয়ালকম্ম ও একটা প্রফিট রাখবে যার জন্য স্বাভাবিকভাবে ফোনের দাম একটু বেড়ে যায় এবার আমাদের একটু জেনে নেওয়া দরকার যে গুগলের যে হোয়াইটচ্যাপেল চিপটা মার্কেটে আসতে চলেছে তার থেকে আমরা কি কি এক্সপেক্ট করতে পারি।

গুগোল এর এই ডিসিশনটা যে তারা কোয়ালকমের থেকে আলাদা হয়ে যেতে চায় এটা সত্যি খুবই ইন্টারেস্টিং কারণ সাধারণ চোখে যদি আপনি দেখেন তবে আপনার মনে হবে যে কোয়ালকম থেকে যদি গুগোল সরে আসে তবে গুগলের ফোনগুলোতে একটা পারফরম্যান্স ড্রপ হতে পারে।
কারণ গুগোল এ যে হোয়াইটচ্যাপেল চিপ টা আসতে চলেছে সেটা অ্যাপেলের বায়োনিক এর মত হবে না এমনকি কোয়ালকমের স্নাপড্রাগণ ৮৮৮ এর থেকে ও ফাস্ট হবে না মানে আপাত দৃষ্টিতে দেখলে তো এটাই মনে হচ্ছে।
বিভিন্ন নিউজ সোর্স থেকে জানা যাচ্ছে যে এই চিপ টা ৮ করের হবে এবং তিনটে ক্লাস্টার থাকবে।

অনেকটা স্যামসাংয়ের এক্সিনোস টুয়েন্টি ওয়ান হান্ড্রেড এর মত যদিও তারা আধুনিক টেকনোলজি কে ব্যবহার করছে কিন্তু তা সত্ত্বেও এই চিপটা মার্কেটের অন্যান্য যে কম্পিটিশন আছে তার থেকে পিছনেই পড়ে থাকবে অনেকে এই চিপটাকে স্নাপড্রাগণ ৭৬৫ এর সঙ্গেও তুলনা করেছেন যা এর আগে পিক্সেল ফাইভে ব্যবহার করা হয়ে গেছে।
অতএব সাধারণ মানুষের চোখে এই চিপটা খুবই নরমাল পারফরম্যান্স করা একটা চিপ হতে চলেছে তবে ব্যাপারটা এতটাও অসাধারণ নয় যে সাধারণ মানুষের চোখে সবই ধরা পড়ে যাবে।
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো গুগলের একটা টিম এমন একটা মডেলের উপর কাজ করছে যার সাহায্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে তারা চিপ ডিজাইন করতে পারে।

এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পুরনো মেথড কে দেখে এবং সেখান থেকে নিজেদের ভুল গুলোকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের সলিউশন নিজেরাই খুঁজে নিতে সক্ষম। গুগলের টিম একটা সাইন্টিফিক যোর্নাল লিখেছে … Aur method was used to design the next generation of Google’s artificial intelligence accelerators and has the potential to save thousands of hours of human effort for each new generations

তার মানে একটা জেনারেশন থেকে আরেকটা জেনারেশনে তাদের যদি নিজেদের চিপকে ডেভলপ করতে হয় তবে হাজার হাজার ঘন্টার মানুষের পরিশ্রমকে তারা অ্যাভয়েড করতে পারে।
শুধুমাত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে তার মানে সোজা ভাষায় বলতে গেলে একটা জেনারেশনের চিপ থেকে আরেকটা জেনারেশনের ডেভলপ করতে খুবই কম সময় লাগবে তাদের টিম অনুযায়ী মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তারা কোনো প্রোগ্রামের জন্য চিপ কে অপটিমাইজ করে ডিজাইন করে ফেলতে পারে। এমনকি পাওয়ার কন্সাম্পশন এবং পারফরম্যান্স ও

এটা এত ইনোভেটিভ এবং এত ইম্পরট্যান্ট তার কারণ হলো চিপ ডিজাইনের ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত কোনো ভাবেই অটমেশন কে ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি একটা চিপ থেকে আর একটা চিপ ডিজাইন করার জন্য মানুষের মাথা কে কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হতো তবে এই চিপ ডিজাইনের ক্ষেত্রে যদি এ আই চলে আসে তবে খুব ইজিলি কোন চিপ কে খুব কম সময়ের মধ্যে মডিফাই করা সম্ভব তবে ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে সেটা আমাদের ভালো করে দেখতে হবে।
সবার শেষে মার্কেটে এসে গুগল কি অন্যান্য ডিজাইনিং কোম্পানিগুলোকে কম্পিটিশন দিতে পারবে আপনার কি মনে হয় কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।


আপনার প্রতিটি নাম্বার থেকে ১০ টাকা ইনকাম করুন | দশটি সিম থাকলেই ১০০ টাকা একদম ফ্রী! আরও থাকছে প্রতি রেফারে ১০ টাকা।

পস্টি যদি ভালো লাগে তবে একটা লাইক এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে একদমই ভুলবেন না।

2 thoughts on "Google এর নতুন Processor | Whitechapel পাল্টে দিতে পারে সারা বিশ্বের এন্ড্রয়েড ফোন গুলোকে | A to Z বিস্তারিত"

  1. সুন্দর ছিলো । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।
  2. Md Jion Contributor says:
    Google is really best. I wish their chip will be next super hero ?

Leave a Reply