বাংলাদেশি জাল বা নকল টাকা চেনার উপায় ২০২১
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি, অনেক টাকা নকল ধরা পড়ে। সুতরাং এগুলো যদি আপনার ভিতরে ঘটে যায় তাহলে কি করবেন? এই বিষয়টির সচেতন করার জন্য আমাদের অবশ্যই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়া উচিত!কেননা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। আজকের আর্টিকেলে আমরা সাধারনত, আসল বাংলাদেশী টাকা এবং নকল বাংলাদেশী টাকা থেকে মুক্তি, পাওয়ার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করব।
এখন যদি আপনার সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যে, বুথ থেকে আপনি টাকা উঠাতে গিয়ে, ওই টাকাগুলো যদি জল হয় তাহলে কি করবেন? এই বিষয়টির সচেতন হওয়া জরুরী, কারণ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অসচেতন থাকলে নিজের পায়ে, নিজে কুড়ুল মারা হবে। সুতরাং চলুন বন্ধুরা, বুথ থেকে বাংলাদেশি জাল টাকা, আসলে আপনার কি করনীয় এবং মুক্তি কিভাবে পাবেন? এ বিষয়ে একটু সচেতন হওয়ার চেষ্টা করি।
###সাধারণত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা জরুরি। সেখানে অবশ্যই কোন বুথে কোন ব্যাংক এবং কবে কিভাবে কত তারিখে, টাকা আপনি কি তুলতে আসছেন, এই বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত জানানো প্রয়োজন। তাহলে অবশ্যই, জালনোট বাংলাদেশি টাকা থেকে আপনি খুব সহজে মুক্তি পাবেন।
###বুথ থেকে বাংলাদেশি জাল টাকা হাতে পেলে আপনাকে সাধারনত যে বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করা জরুরি। চলুন এগুলো নিয়ে কিছু নিয়ম জেনে আসা যাক!
###বুথ এর সংরক্ষণকারী বা আশেপাশের নিরাপত্তা কারীর, সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। এবং সেই সাথে যেন অবশ্যই নিরাপত্তা কারি, নোট করে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে রাখে। এ বিষয়টি জানানোর সাথে আপনাকে করতে হবেই।
###সাধারণত বাংলাদেশি নোটের নম্বর গুলো আপনাকে অবশ্যই, বুথ এর সি,সি,টিভি, ক্যামেরা ? এর সামনে দেখানো দরকার বা প্রয়োজন, এখানে এই ক্ষেত্রে আপনি যত ভালোভাবে ক্যামেরার সামনে, দেখাতে পারবেন ততই ভালো। আশা করি এই নিয়মগুলো ফলো করলে অবশ্যই, আপনারা সাধারণত বুথ থেকে জাল টাকা এর কাছ থেকে মুক্তি পাবেন।
এখন আমরা নকল টাকা আসল টাকা কিভাবে চিনব? বন্ধুরা বাংলাদেশি নকল টাকা এবং আসল টাকা চেনার জন্য, সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমাদের যে বিষয়গুলো, বাংলাদেশি নকল টাকা চেনার জন্য সাহায্য করবে। এ বিষয়ে চলুন একটু সচেতন এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। বাংলাদেশি এক টাকা চেনার জন্য সাধারণত, বাংলাদেশী ব্যাংক ওয়েবসাইট থেকে, আসল টাকা চেনার বৈশিষ্ট্যসমূহ নিয়ে চলুন বিস্তারিত, নকল টাকা চেনার চেষ্টা করি।
এবং সেই সাথে, বাংলাদেশি অরিজিনাল নোট টাকাগুলো কেমন হয়? কিভাবে চিনবেন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব! তবে ধৈর্য এবং শেষ পর্যন্ত পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইল, যদি আপনি বাংলাদেশি অরিজিনাল এবং নকল টাকা, এগুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে আপনার নিজের! চলুন কথা না বাড়িয়ে এখন আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি যে, বাংলাদেশী আসল টাকার নোট এবং নকল টাকার নিয়োগ সম্পর্কে?
BANGLADESH BANK WEBSITE থেকে জানা ORIGINAL বাংলাদেশি টাকার নোট গুলো কেমন হয় তা নিচে দেওয়া হল।
###বাংলাদেশি টাকার আসল নোটগুলি শেখ মুজিবুর রহমান এটি সাধারণত, ছবি সম্বলিত নোট আলোর বিপরীতে ধরা হলে সাধারণত, ওই টাকার নোট শেখ মুজিবের ছবি স্পষ্টভাবে উজ্জ্বল করবে। এদিকেও আবার বাংলাদেশী ব্যাংক এর মনোগ্রাম স্পষ্টভাবেই উজ্জ্বল নোট এর ইংরেজি মূল্যমান বা কত টাকা সেটা দেখা যায়।
তবে, এদিকে খেয়াল রাখা উচিত যে, লাল রঙ বাংলাদেশি সাধারণত, ১০০০ টাকার নোট গুলোর ক্ষেত্রে, শাপলা ফুল এর মনোগ্রাম দেখা যাবে। আবার অপরদিকে, বাংলাদেশি ব্যাংকের মনোগ্রাম দেখা যাবে। এমনকি এদিকে আবার উজ্জ্বল মূল্যমান বা টাকার দাম, শহীদ মিনারের ছবি এর উপরের দিকে দেখা যাবে স্পষ্ট ভাবে। তাই এদিকেও আপনারা বিবেচনা করে আসল নোট চিনতে পারবেন।
###অমসৃণ মুদ্রণের বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। বাংলাদেশী ১০০০, ৫০০,১০০ টাকার নোট এর ডান দিকে হেলানো থাকে। তাছাড়া ৭টি সমান্তরাল লাইন অবশ্যই দেওয়া থাকে । আর এদিকে আবার হেলানো লাইনের নিচের দিকে বৃত্ত কার ছাপ রয়েছে।
১০০০ টাকায় ৫টি, ৫০০ টাকায় ৪টি এবং ১০০ টাকায় ৩টি বৃত্তাকার ছাপ থাকবে। আর এদিকে আবার সমান্তরাল লাইন, বৃত্তাকার ছাপ এর পিছনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবং পেছনে এবং সামনের দিকে আবার বাংলাদেশ ব্যাংক লেখার পাশাপাশি ইন্ট্যাগলিও পদ্ধতি অবলম্বনে মুদ্রণ করা রয়েছে তাই সাধারণত এগুলো অমসৃণ অনুভূত হয়ে থাকে।
###১০০০,৫০০,১০০ বাংলাদেশি টাকা এর মূল্যমান যত হবে, প্রত্যেক নোটের উপরে সাধারণত, ডানদিকের কোনার দিকে ইংরেজী নোটের মূল্যমান দেখা যাবে স্পষ্টভাবে। এদিকে বাংলাদেশি ১০০ ও ১০০০ টাকা আস্তে আস্তে নড়াচড়া করলে, ওই বাংলাদেশি টাকার নোটের মূল্যমান বা টাকার দাম সাধারণত,
সোনালী হতে এবং ক্রমেই সবুজ রঙে পরিবর্তন হয়ে যায়। এদিকে আবার বাংলাদেশি ৫০০ টাকা মূল্যমান নোটে ৫০০ টাকা মূল্যমান দাম সাধারণত, লালচে হয়ে পরিবর্তন হয় সবুজ রঙে। এদিকে অবশ্যই আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, জাল নোট গুলি সাধারণত, ব্যবহৃত এ রঙ চকচক উপরোক্ত কার্যক্রম কখনোই পরিবর্তন হবে না।
###টাকার নোট এর বাম পাশে সাধারণত নোট এর নিরাপত্তা সূতা হল হলোগ্রাফিক। তাছাড়া এই সাধারণত রং পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে। তাই এ দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরী। তবে এখানে অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশি টাকার নোট গুলো নাড়াচাড়া করলে, এই টাকার নোট এর রং বদলাবে ।
তাই এগুলো অবশ্যই আমাদের মনে রাখা উচিত। যখন টাকার নোট নড়াচড়া করাবেন, তখন সাধারণত ছোট ছোট হরফে বাংলাদেশ ব্যাংক এই লেখাটি দেশে আসার কথা। এবং আশ্চর্যের বিষয় হলো বাংলাদেশি ১০০০ টাকা লাল নোট-গুলি সাধারণতঃ আলো এর বিপরীতে থরে রাখা হলে, নিরাপত্তা সূত এখানে ‘১০০০ টাকা’ এই লেখা স্পষ্টভাবে ভেসে ওঠে।
এখানে মনে রাখা দরকার যে, নিরাপত্তা সূতাটি আসল বাংলাদেশি টাকার নোট, ধারালো কোন কিছু দিয়ে ঘষলে ও সেগুলো উঠবে না। আর সাধারনত এদিকে জাল নোট টাকাগুলি আঠা দিয়ে তৈরি থাকায়, খুব সহজেই সেগুলি উঠে আসে। তাই বিষয়টি আশাকরি মনে রাখবেন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত শেষ কথা?
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমাদের আলোচনা বাংলাদেশের নকল টাকা চেনার উপায় নিয়ে! আশাকরি আর্টিকেলটি তোমাদের কাছে একটু হলেও ভালো লেগেছে! আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করবে! বরাবরের মতো আমাদের আজকের আর্টিকেল এ পর্যন্তই দেখা হবে আবার অন্য কোন আর্টিকেলে! সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
3 thoughts on "বাংলাদেশি জাল বা নকল টাকা চেনার উপায় ?"