শুধু বর্তমান নয় পূর্ব থেকেই অ্যাপেল মানেই আমরা বুঝি আসছি বিলাসিতা এর প্রধান কারন চড়া মূল্য তবে অ্যাপেল যে শুধু মানেই চলে তেমনটা কিন্তু নয়। আপনি লক্ষ করলে দেখবেন যে অ্যাপেল সবসময় অন্যান্য ব্রান্ডের প্রোডাক্ট এর তুলনায় কম স্পেসিফিকেশন প্রোভাইড করে তবুও অন্যান্য ব্রান্ডের তুলনায় এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি এর প্রধান কারন হচ্ছে অ্যাপেল এর নিজস্ব প্রসেসর যেটি অন্যান্য ব্রান্ডের অফার করা প্রসেসর থেকে অনেক ভালো পারর্ফমেন্স দিতে সক্ষম। এথন বতর্মান বাজারে অ্যাপেলের পন্যগুলিও হাই স্পেসিফিকেশন এবং ভ্যালু ফর মানি ডিভাইস প্রোভাইড করছে।
অ্যাপেলের m1 chip টি এখন পর্যন্ত ৪টি ভেরিয়েন্ট বা ভার্সনে বাজারে এসেছে এগুলো হলো: M1, M1 Pro, M1 Max, M1 Ultra। ভেরিয়েন্ট এবং মূল্য ভেদে ডিভাইসগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্যাটাগোরির প্রসেসরগুলো। প্রসেসরটির এত জনপ্রিয়তার পাওয়ার পিছনে একটি কারন হচ্ছে এর বিল্ড বা সাইজ যেটি মাত্র ৫ নেনোমিটার এখন পর্যন্ত এর চেয়ে ছোট কোনো প্রসেসর বাজারে না দেখা গেলেও কিছু প্রসেসর ব্রান্ড ৪ নেনোমিটার প্রসেসর ও তৈরি করেছে। প্রসেসরটিতে রয়েছে ৮টি কোর রয়েছে যার ৪টি performance core এবং অপর চারটি efficiency cores। প্রসেসরটিতে রয়েছে অ্যাডভান্স ছবি প্রসেসিং ক্ষমতা যেটি এর ইউজারদের জন্য ভালো একটা দিক। এর জনপ্রিয়তার আরেকটি কারন হচ্ছে এর প্রকাশ করা বাজার মূল্য যেটি অনেকটা গ্রহনযোগ্য এবং সাশ্রয়ীও অন্যান্য মডেলের তুলনায়। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া কি ফিচারগুলো রয়েছে ডিভাইসটির মধ্যে এবং কোনো এই ডিভাইসটি এত জনপ্রিয়। এই মডেলটির প্রকাশিত ভেরিয়েন্টগুলোর বর্তমান মূল্য সম্পর্কে জানতে এখানে ভিজিট করতে পারেন https://mcsolution.com.bd/laptop/apple/macbook-air/
ডিসপ্লে
অ্যাপেলের প্রসেসর সেকশনে প্রাইসের উপর ভিত্তি করে অনেক চেঞ্জ থাকলেও তাদের ডিসপ্লে তেমন সেকশনে পরিবর্তন লক্ষ করা যায় নি। তারা বরাবরই ১৩ ইঞ্চির পরিচিত ডিসপ্লে দিয়ে গেছেন। Macbook air (2022) ডিভাইসটিতে যে ডিসপ্লেটি ব্যবহার করা হয়েছে। Macbook air ১৩.৩ ইঞ্চির একটি diagonal backlit – LED ডিসপ্লে যার রেজুলেশন সক্ষমতা রয়েছে ২৫৬০ x ১৬০০ পিক্সেল যেটি হিসাব করলে পাওয়া যাবে ২২৭ পিক্সেল প্রতি ইঞ্চিতে। এছাড়াও ডিসপ্লেটিতে উজ্জ্বলতা বা ব্রাইটনেস দেওয়া হয়েছে 400nits যা যথেষ্ট একজন ইউজার এর জন্য। ডিসপ্লেটি লক্ষাধিক কালার সার্পোট দিতে সক্ষম। অ্যাপেল এর ডিসপ্লে সবসময় এক ধাপ এগিয়ে থাকে। তবে এই ডিসপ্লেতে দেওয়া ফিচারগুলি আকর্ষিত করবে তাদের ইউজারদের। আমার এর ডিসপ্লে সেকশন নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ নাই। তবে OLED অফার করলে ডিভাইসটি আরো অধিক পরিসরে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হত।
ব্যাটারি
ব্যাটারি যেটি সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অংশ অ্যাপেল ডিভাইসগুলোর। এটিকে গুরপূর্ণ বলার কারন হলো অ্যাপেল সব দিক থেকে এগিয়ে থাকলে অনেক ভালো পারর্ফম করা সত্ত্বে তারা ব্যাটারি সেকশনে অনেকটা পিছিয়ে অন্যান্য ব্রান্ড থেকে। অনেক সময় ধরে অ্যাপেল এর এই সমস্যাটি বিস্তার করছে তাদের ডিভাইসগুলোতে। যার কারনে কেউ অ্যাপেলে স্থান্তর করার পূর্বে চিন্তা করতে হয় এই সেকশনটা নিয়ে। তাদের ব্যাটারি সেকশন একটু সমস্যা থাকলেও তাদের প্রকাশিত Macbook air (2022) ডিভাইটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 54.4Wh এর একটি ব্যাটারি। যেই ব্যাটারিটি আপনাকে ১৫ ঘন্টা ব্রাউজিং এবং ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। তবে এই প্রাইস রেঞ্জে থাকা ডিভাইসগুলির ব্যাটারির সাথে তুলনা করলে কিছুটা পিছিয়ে থাকবে অ্যাপেল। 54.4Wh যথেষ্ট বলা চলে যদি হেভি ইউজার না হয়ে থাকে। তবে যদি গেমার হন তবে একটু সমস্যা হতে পারে বলে আমি মনে করি। কিন্তু এর দুর্দান্ত পারর্ফমেন্স আপনাকে সেই বিষয়টি নিয়ে ভাবার সুযোগ দিবে না।
অডিও সিস্টেম
যে বিষয়টা নিয়ে সচরাচর একটু কম কথা বলতে দেখা যায় সেটি হলো অডিও সেকশন। অ্যাপেলের অডিও সেকশন নিয়ে তেমন কথা বলা প্রোয়জন না হলেও কিছু বিষয় না বললেই নয়। অ্যাপেলের এই ডিভাইসটির অডিও সেকশনে যুক্ত করা হয়েছে Stereo speakers যেটি একটি লাউডার অডিও সিস্টেম এবং অডিও সিস্টেমটিতে Wide stereo sound সিস্টেম দেওয়ায় আপনি যে কোন মিউজিক শুনতে পারবেন সর্বচ্চো সাউন্ডে। এই অডিও সিস্টেমটিতে আরো যুক্ত করা হয়েছে Dolby Atmos playback সার্পোট যা সতিই অসাধারন। এক পরিক্ষায় দেখে গিয়েছে Macbook air কিছুটা লাউডার সাউন্ড প্রোভাইড করে Macbook pro তুলানায়। এছাড়াও এতে দেওয়া দেওয়া 3.5 mm headphone jack যা যথেষ্ট বললে ভুল হবে না। নির্বিশেষে বলা যায় সাউন্ড সিস্টেমটি এই প্রাইস রেঞ্জে গ্রহনযোগ্য ইউজারদের জন্য
আমার মতামত:
আজকের আলোচিত macbook air m1 মডেলটির সব দিক বিবেচনা করে এটা বলা যায় এই প্রাইস রেঞ্জে থাকা অন্যান্য ল্যাপটপের এর তুলনায় এটি কোন অংশ কম নয়। সবসময়ের মতো এইবারও ক্রেতাদের মূল আকর্ষন হবে এর প্রসেসর সেকশন অর্থাৎ m1 chip। ল্যাপটপটি নিয়ে আমি এই পরামর্শটি দিতে পছন্দ করবো আপনি যদি হেভি ইউজার বা ইডিটর হন এবং আপনার জন্য ব্যাটারি যদি কোন ইস্যু না হয় পারর্ফমেন্সই এবং ভিজ্যুয়াল এক্সেপিরিয়েন্সই যদি প্রধান হয় তবে আপনি নিশ্চিন্তে এই ল্যাপটপটি নিতে পারেন। আপনাদের ,মতামত আমাকে জানাবেন। ধন্যবাদ
3 thoughts on "অ্যাপেলের যে ল্যাপটপটি এক চাটিয়া রাজ করেছে ল্যাপটপ বাজারে"