পৃথিবীকে ঘিরে চক্কর খাবে গুগলের ‘প্রজেক্ট লুন’ এর বেলুনগুলো। সরাসরি বেলুনগুলোর পথের নিচে অবস্থান করছেন এমন বাসিন্দারা গুগলের ইন্টারনেট বেলুনের কার্যক্ষমতাও যাচাই করে দেখতে পারবেন।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৬ সালে গুগলের হিলিয়াম বেলুনগুলোর মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রান্সমিশনের ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার তিনটি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান।
প্রজেক্ট লুনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা যাচাই করে দেখতে স্বাক্ষর করেছে শ্রীলঙ্কাও।
২০১৩ সালের জুন মাসে প্রথমবারের মতো ‘প্রজেক্ট লুন’ এর ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। সেবার নিউজিল্যান্ড থেকে গুগলের এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে এক সঙ্গে উড়ানো হয়েছিল ৩০টি বেলুন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রাথমিক অবস্থায় ৩জি সংযোগের সমান গতির ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার উপযোগী হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল বেলনগুলোতে। তবে দুই বছরে এই প্রযুক্তির বেশ অগ্রগতি হয়েছে। মাটিতে অবস্থিত অ্যান্টেনার সাহায্যে প্রতি সেকেন্ড ১০ মেগাবিট ডেটা সরবরাহ করতে পারবে বেলুনগুলোর ইন্টারনেট কিট।
বেলুনগুলোতে দুটি রেডিও ট্রান্সিভার থাকবে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য। ব্যাক-আপ হিসেবে থাকবে আরেকটি রেডিও। অবস্থান ঠিক রাখার জন্য থাকবে ফ্লাইট কম্পিউটার আর জিপিএস ট্র্যাকার।
আর পছন্দের গন্তব্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বেলুনগুলোর অ্যালটিউড কন্ট্রোল সিস্টেম। যা বাতাসের প্রবাহ চিহ্নিত করে বেলনগুলোকে উপরে উঠাবে অথবা নিচে নামাবে। আর বেলনগুলোর কম্পিউটার সিস্টেম চলবে সৌরশক্তিতে।
One thought on "পৃথিবীকে ঘিরে চক্কর খাবে গুগলের ‘প্রজেক্ট লুন’ এর বেলুন…"