রাহেনূর ইসলাম স্বাধীন, আউটোর, ট্রিকবিডি ডট কম: দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৪৯
শতাংশ সপ্তাহের প্রতিদিন কমবেশি
ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
স্কুল ও কলেজের এসব শিক্ষার্থীদের
মধ্যে ছেলেদের দৈনিক ইন্টারনেট
ব্যবহারের হার ৫৩ শতাংশ ও
সপ্তাহজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে
এমন মেয়ে শিক্ষার্থী মাত্র ৩৩
শতাংশ।
এতে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রতিদিন
নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে
খুলনা অঞ্চল সবচেয়ে এগিয়ে।
এখানকার ৬৭ শতাংশ স্কুল ও কলেজ
পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সপ্তাহজুড়ে
ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
মাঝেমধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে
এমন পরিসংখ্যানে এগিয়ে ময়মনসিংহ।
এ অঞ্চলের ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী
মাঝে মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের
সুযোগ পায় বলে স্বীকারোক্তি
দিয়েছে।
একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের
সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণায় এমন
তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের জুন থেকে জুলাই সময়ে ১১
থেকে ১৮ বছর বয়সী ১ হাজার ৫১০ জন
স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর
জরিপেরভিত্তিতে এ গবেষণা করা
হয়েছে।
গ্রাহকের বিচারে শীর্ষ মোবাইল ফোন
অপারেটর গ্রামীণফোন পরিচালিত এ
জরিপে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশের
নিয়ে সমস্যায় পড়লে তাদের সাহায্য
বা দিক নির্দেশনা দেয়ার কেউ নেই।
এর কারণ হিসেবে তারা বলেছেন,
বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অভিভাবকরা
এ বিষয়ে যথেষ্ট সক্ষম নন।
গ্রামীণফোন বলছে, তরুণ প্রজন্মের
মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকে নিরাপদ
করতে তথ্য সংগ্রহ এ জরিপ চালানো
হয়।
জরিপে দেখা যায়, সপ্তাহে তিন
থেকে পাঁচ দিন ইন্টারনেট ব্যবহার
করে এমন শিক্ষার্থী ৩১ শতাংশ।
সপ্তাহে এক দুই দিনের বেশি
ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এমন দলে
আছে ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
কালেভাদ্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করে
এমন শিক্ষার্থী ৫ শতাংশ।
জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি
গবেষণা প্রতিবেদনটি শনিবার
রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে
আয়োজিত একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে
উপস্থাপন করা হয়। গ্রামীণফোনের
হেড অব করপোরেট রেসপনসিবিলিটি
দেবাশীষ রায় এটি উপস্থাপন করেন।
এতে আরও দেখা যায়, ইন্টারনেট
ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে
৩০শতাংশেরও বেশি সাইবার হয়রানির
শিকার অথবা এরা ইন্টারনেটে
উত্যক্তকারীদের অশোভন বার্তা
পেয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী,
ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্রদের কাছে এ
ধরনের বার্তা বেশি এসেছে। ছাত্রীরা
এমন সব বার্তা পেয়েছে যেখানে
অচেনা ব্যক্তিকে তাদের ব্যক্তিগত
ইন্টারনেটের এই অপব্যবহার
শিক্ষার্থীদেরকে খুবই অস্বস্তিকর
অবস্থায় ফেলে। শিক্ষার্থীরা এ
বিষয়ে তাদের বাবা-মা ও শিক্ষকদের
সাথে আলোচনা করার চেয়ে
বেশিরভাগ সময়ই বন্ধুদের সঙ্গে
আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
গবেষণায় অংশ নেয়া ৭০ শতাংশ
অংশগ্রহণকারীই এ ধরনের ঘটনায়
তাদের ভাই-বোন ও বন্ধুদের সাহায্য
করতে চান।
এরা জানান, তাদের শিক্ষক ও
বিদ্যালয় সাইবার অপরাধ প্রতিহত
করতে এবং এ সংক্রান্ত বার্তা
ছড়িয়ে দিতে সমর্থ নয়।
এদিকে গবেষণা প্রতিবেদনের শুরুতেই
গ্রামীণফোন জানিয়েছে, দেশের মোট
সাড়ে পাঁচ কোটি ইন্টারনেট
সংযোগের মধ্যে ৯৫ শতাংশই
মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেটের
সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে ৬৯ শতাংশ
প্রতিদিনই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ৬০
শতাংশ মাঝে মধ্যেই ইন্টারনেট
ব্যবহার করেন।