পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্মার্টফোন নিয়ে নেওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক ব্রিটিশ প্রফেসর। তিনি এটিকে একধরনের হয়রানি বলে উল্লেখ করেছেন।

পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্মার্টফোন নিয়ে নেওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক ব্রিটিশ প্রফেসর। তিনি এটিকে একধরনের হয়রানি বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটেনের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড: সুগতা মিত্র পাঠ্যক্রম প্রণেতা এবং শিক্ষকদের পড়াশোনার একটি টুল হিসেবে ইন্টারনেটকে গ্রহণ না করে পাঠ্যক্রমে এটিকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত বা ইংরেজির মতো আলাদা একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত করার আহবান জানান। চলমান চতুর্থ বিশ্ব শিক্ষা সামিটে বক্তৃতা প্রদানকালে মিত্র বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় গরমিল আছে। তারা ইন্টারনেটকে অগ্রাহ্য করতে চায়। তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্মার্ট ডিভাইস কেড়ে নিয়ে একটি সংখ্যার স্কয়ার রুট নির্ণয় করতে বলে। এটা হয়রানি।’ মিত্র বলেন, ‘ইন্টারনেটের কারণে শিশুদের পড়াশোনায় এক নতুন মাত্রা পেয়েছে এবং ভবিষ্যতের শিক্ষাবিজ্ঞান স্বতস্ফূর্ত ধারায় পাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় ইন্টারনেটকে অন্তর্ভূক্ত করা আবশ্যক। ইন্টারনেটকে একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে পড়ানো উচিত। নেটওয়ার্ক, বিশুঙ্খল তত্ত্ব এবং জরুরী ঘটনা সম্বন্ধে মানুষের শিক্ষা দেওয়া উচিত।’ ৬৩ বছর বয়সী মিত্র ভারতে ‘হোল ইন দ্য ওয়াল এক্সপেরিমেন্ট’র জন্য পরিচিত। এটির মাধ্যমে ভারতের ইন্টারনেট এবং ইংরেজি শিক্ষা বঞ্চিত শিশুরা কোন শিক্ষক ছাড়াই একটি দলে কাজ করে বড় বড় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। প্রকল্পের আওতায় শিশুদেরকে কম্পিউটার দিয়ে একটি প্রশ্ন করা হয়। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই তারা ইন্টারনেট ঘেঁটে প্রশ্নের উত্তর বের করে এবং তা উপস্থাপন করে। মিরার মতে, প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সাথে সাথে পড়া, লেখা এবং গণিতের অগ্রাধিকার কমে গেছে। উপানুষ্ঠানিক, ন্যূনতম পুঙ্খানুপুঙ্খ শিক্ষার উপর গবেষণার কারণে ২০১৩ সালে ১ মিলিয়ন মাকিন ডলার টিইডি পুরস্কার বিজয়ী মিত্র বলেন, ‘বোধশক্তি, যোগাযোগ এবং গণনা হলো শিক্ষার নতুন ভিত্তি।’

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

3 thoughts on "পরীক্ষা চলাকালীন স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়া অনুচিত: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ"

  1. amirusel Contributor says:
    উনার কথায় যুক্তি আছে। তবে বাংলাদেশের জন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ অসম্ভব।
  2. SaimonIslam Contributor says:
    Valo, amy ar phoka….

Leave a Reply