সংকটময় মুহূর্তে রোবট মোটেও আস্থার প্রতিদান দিতে পারে না। আগুন বা অন্য কোনো জরুরি মুহূর্তে মানুষ অন্ধভাবে রোবটের ওপর বিশ্বাস করে, কিন্তু রোবট সে আস্থার যোগ্য নয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় মার্কিন গবেষকেরা এ তথ্য পেয়েছেন।

জর্জিয়া টেক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (জিটিআরআই) জ্যেষ্ঠ গবেষণা প্রকৌশলী অ্যালান ওয়াগনার বলেন, জরুরি মুহূর্তে নিরাপত্তার জন্য মানুষ রোবটের ওপর সীমাহীন আস্থা রাখতে পারে। কিন্তু যন্ত্র সেই আস্থার যোগ্য নয় বলে প্রমাণ করেছে। মানুষ বিশ্বাস করে, রোবটিক সিস্টেম মানুষের চেয়ে এ বিশ্ব সম্পর্কে ভালো জানে। তাই রোবট কখনো ভুল করবে না বা রোবটের কাজে কোনো ত্রুটি হবে না।
গবেষকেরা রোবটের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা চালাতে একটি বহুতল ভবনে আগুন নেভানোর মহড়া চালান। গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেন, যন্ত্রের আচরণ বিশ্বাসযোগ্য না হলেও মানুষ অন্ধভাবে রোবটের নির্দেশ পালন করে। তাঁরা ৪২ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ গবেষণা চালাতে একটি রোবট তৈরি করেন। আগুন লাগলে ভবন খালি করতে মানুষ রোবটের নির্দেশনা মানে কি না, তা জানতে এ পরীক্ষা চালানো হয়। শিক্ষার্থীদের ‘ইমার্জেন্সি গাইড রোবট’-এর নির্দেশ মানতে বলা হয়। এই রোবটের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা একটি সম্মেলন কক্ষে জড় হন। সেখানে তাঁদের রোবট সম্পর্কিত একটি জরিপে অংশ নিতে হয় এবং একটি সাময়িকীর নিবন্ধ পড়তে বলা হয়। গবেষণায় অংশ নেওয়া এই শিক্ষার্থীদের শুরুতে মূল গবেষণা সম্পর্কে জানানো হয়নি।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ‘২০১৬ এসিএম/আইইইই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন হিউম্যান-রোবট ইন্টারঅ্যাকশন’ সম্মেলনে এ গবেষণা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

গবেষক পল রবিনেট বলেন, রোবটের কাজ যদি আস্থাহীন বলে প্রমাণ হতো, মানুষ রোবটের কথামতো চলত না। রোবটের আগের কার্যকারতা যাই হোক না কেন, গবেষণায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থী রোবটের নির্দেশ মেনেছে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

পোস্ট টি এর আগে প্রকাশিত হয়েছেHamwap.com এ

Leave a Reply