আপনারা নিশ্চয়ই ‘সানবাথে’ টার্মটি শুনে থাকবেন। বাইরের দেশগুলোতে এই কাজটি খুব কমন হলেও আমাদের দেশেও কিন্তু সি-বিচগুলোতে মাঝে মধ্যে সানবাথ করতে দেখা যায়। যাই হোক, সানবাথের সময় অনেকেই বিভিন্ন রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন, বলুনতো কেন?
এর কারণ হচ্ছে, সেই ক্রিমগুলো সূর্য থেকে নির্গত হাই আলট্রাভায়োলেট রে (রশ্নি) থেকে স্কিন বা ত্বককে রক্ষা করে থাকে। আলট্রাভায়োলেট রশ্নি আমাদের ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর কেননা এর কারণে অতিমাত্রায় স্কিন ক্যান্সারের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই আলট্রাভায়োলেট রশ্নির কারণে যে ক্যান্সারগুলো হয়ে থাকে তার মধ্যে মেলানোমা সবচাইতে কমন।
যাই হোক, সানবাথের পূর্বে যে সকল সান্সক্রিন আমরা ব্যবহার করে থাকি তা অ্যাপ্লাই করা কিছুটা বিরক্তকর এবং সময়সাপেক্ষও বটে। তাই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এই ক্রিমগুলোকে ওরাল ফর্মে নিয়ে আসার জন্য যাতে করে খুব সহজেই এটি ব্যবহার করে ক্ষতিকর রশ্নিগুলো থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি।
নতুন এই সানস্ক্রিন পিলগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে পলিপোডিয়াম লিউকোটোমস নামের একটি ফার্ন যা সাউথ আমেরিকায় বহুদিন ধরেই সোরিয়াসিস এবং ডার্মাটিটিসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আসা হচ্ছিল কেননা পলিপোডিয়াম লিউকোটোমসে রয়েছে অ্যান্টিওক্সিডেন্টস।
প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই পিল গ্রহণের পর সানবার্নের পরিমাণ প্রায় ৮৪ শতাংশ কমে গিয়েছে ফলে আপনি সহজেই এই পিল ব্যবহার করে স্বাভাবিকের চাইতে প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে নিজেকে এক্সপোজ করতে পারছেন সরাসরি সূর্যের আলোতে।
তবে এখনই আপনার কাছে থাকা ক্রিম বা লোশনগুলোকে ফেলে দেয়ার প্রয়োজন নেই, কেননা ফলাফল ভালো হলেও এখনোও প্রোডাক্টটি উন্মুক্ত করা হয়নি। এখনো সানস্ক্রিন নিয়ে গবেষণা চলছে তাই আপনাদের চমৎকার এই টেক ইনোভেশনটির জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে সম্ভবত আগামী বছর এই সানস্ক্রিনটি আমরা পেয়ে যাবো।