অ্যাপলের স্মার্টঘড়িকে মোটামুটি
মহার্ঘ বস্তু বলা চলে। যা না হলেও
চলে, তবে শৌখিন প্রযুক্তিমনারা
সংগ্রহে রাখতে চান। তবে হৃৎকম্পন
মেপে হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস
দিতে নাকি যন্ত্রটির জুড়ি নেই।
অন্তত ৬২ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক
ডেনিস অ্যানসেলমো তাই
জানিয়েছেন। একবার হার্ট
অ্যাটাকের সময় অ্যাপল ওয়াচে
সতর্ক বার্তা পাওয়ায় সে যাত্রায়
নাকি তাঁর জীবন রক্ষা পেয়েছিল।
সেদিন ‘জ্বর জ্বর’ ভাব শরীরে নেমে
আসার সময় তাঁর স্মার্টঘড়ির পর্দায়
দেখেন হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে ২১০!
যা বোঝার বুঝে গেলেন।
দ্য সান পত্রিকাকে দেওয়া এক
সাক্ষাৎকারে সেদিনের ঘটনা
বর্ণনা করেন অ্যানসেলমো। বলেন,
‘আমার সহকারীর সঙ্গে উঠানে

বেড়া ঠিক করছিলাম। দুপুরের
খাবার সেরে কাজে ফেরার
মিনিট দশেক পরেই সহকারীকে
বললাম, আমার খারাপ লাগছে,
কিছুক্ষণ বসতে চাই।’ অ্যাপল ওয়াচ
কিনেছিলেন সপ্তাহ দুয়েক আগেই।
এরই মধ্যে যখন-তখন নাকি
স্মার্টঘড়িতে হৃৎকম্পনের গতি দেখা
‘মুদ্রাদোষে’ পরিণত হয়েছিল তাঁর।
সাধারণত হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের
চেয়ে নিচে থাকে, তবে সেদিন
২১০ উঠেছিল বলে জানান তিনি।
অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বলতেই
সবাই দৌড়ে এসে বুঝতে পারে যে
হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। হাসপাতালে
নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা
হৃদ্যন্ত্রের ধমনির বাধা অপসারণ
করেন।
পরে চিকিৎসক তাঁকে বলেছিলেন,
সেদিন যদি খারাপ লাগা থেকে
ঘরে গিয়ে শুয়ে থাকতেন কিংবা
এটা যদি ঘুমের মধ্যে হতো তবে
হয়তো দ্বিতীয় অ্যাটাকে সেদিন
মারা যেতে পারতেন।
মজার ব্যাপার হলো, মোটামুটি সব
স্মার্টঘড়িতেই হৃৎস্পন্দন মাপার
সেন্সর থাকে, সতর্ক করে দেওয়ার
ব্যবস্থাও থাকে। সেদিন হয়তো
অ্যাপল ওয়াচ ছিল, তবে যেকোনো
স্মার্টঘড়িই কাজটি করবে।
স্মার্টঘড়ি কেনার এটা হয়তো
কোনো কারণ না, তবে থাকলে
সুবিধাটি ব্যবহার করে দেখতে
দোষের কী!
পপুলার মেকানিকস অবলম্বনে
মেহেদী হাসান

Leave a Reply