অ্যাপলের সর্বাধুনিক স্মার্টফোন হিসেবে বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে আইফোন এসই। তবে অ্যাপল ভক্তদের কাছে শ্রেষ্ঠ ফোনের তকমাটা নাও পেতে পারে ফোনটি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া আইফোন এস’র ৭টি বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করেছে যা হয়তো আপনাকে আইফোন এসই ক্রয় করতে নিরুৎসাহিত করতে পারে।

বিক্রয়মূল্য

আইফোন এসই’র সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এর দাম। অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন ছোট্ট স্ক্রিনের ফোনটির আনুমানিক দাম ৪৯৪ মার্কিন ডলারের মতো হবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে অ্যাপল এর দাম ৫৮৪ মার্কিন ডলার ঘোষণা করে। ফোনটির অতি উচ্চ মূল্য শুধুমাত্র অনেক ক্রেতাই হারায়নি বরং বাজারের অন্যান্য শক্তিশালী অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন গুগল নেক্সাস ৬পি এবং সনি এক্সপেরিয়া জেড’র সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েছে।

ছোট্ট স্ক্রিন

আইফোন এসই’র আরেকটি বড় সমস্যা হলো এর ৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের স্ক্রিন। এটি অনেক ক্রেতার কাছেই অতিরিক্ত ছোট বলে মনে হতে পারে। আইফোনের অন্যান্য মডেলের তুলনায় তুলনামূলক ছোট্ট স্ক্রিনের স্মার্টফোনটি ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হতে পারে।

থ্রিডি টাচবিহীন ফোন

অ্যাপলের সর্বাধূনিক ফোন হিসেবে বাজারে আসা আইফোন এসই’তে আইফোন ৬এস এবং ৬এস প্লাসের আলোচিত থ্রিডি টাচ ফিচারটি অনুপস্থিত। থ্রিডি টাচের অনুপস্থিত থাকার ফলে অ্যাপলের নতুন অ্যাপ নেভিগেশন টুলগুলো ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত হবে ইউজাররা।

১৬ জিবি স্টোরেজ

৫৮৪ মার্কিন ডলার দিয়ে ১৬ জিবি স্টোরেজের ফোন কেনাটা অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু আইফোন এসই’তে সেরকম কিছুই অফার করছে অ্যাপল। ইউজাররা তাদের যাবতীয় ডাটা স্টোর করার জন্য কোনমতে ১১-১২ জিবি স্টোরেজ পেতে পারেন। তবে তার ফলাফল খুব একটা সুখকর হবে না তা অনুমেয়। কিছু দিন পরই ‘আউট অব স্টোরেজ’ মেসেজটি বারবার স্ক্রিনে এসে আঙ্গুল দিয়ে স্টোরেজ সীমাবদ্ধতার কথা জানান দেবে। তাছাড়া লাইভ ফটোস এবং ৪কে ভিডিও অনেক বেশি মেগাবাইটবহুল। সুতরাং ছবি তোলার ক্ষেত্রে ইউজারদের বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে।

অপর‌্যাপ্ত ব্যটারী

আইফোন ৫এস’র মতো একই ধরণের ব্যাটারী সার্ভিস প্রদান করতে পারে আইফোন এসই। অর্থাৎ, আইফোন ৫এস’র মতো দিনে দু’বার চার্জ দেওয়া লাগতে পারে ফোন চালানোর জন্য। অপর‌্যাপ্ত ব্যাটারী লাইফ অনেক পাওয়ার ইউজারের কাছে দুঃস্বপ্ন মনে হতে পারে।

পুরনো ডিজাইন

আইফোন ৫, ৫এস’র ডিজাইনের আদলেই তৈরি করা হয়েছে আইফোন এসই। তবে এজ এবং রোজ গোল্ড কালার অপশন ফোনটির ডিজাইনকে কিছুটা অনন্য করেছে। তবে রোজ গোল্ড কালার অপশনটি না খরিদ করলে নতুন মডেলটির সাথে আইফোন ৫এস’র কোন ফারাক থাকবে না।

কোন লক্ষ্যণীয় ফিচার নেই

এই প্রথমবারের মতো অ্যাপল এমন এক ধরণের আইফোন বের করল যেটিতে স্বতন্ত্র কোন ফিচার নেই যা এটিকে বাকিদের থেকে আলাদা করবে। অথচ তার পরিবর্তে আইফোন এসই’তে আদিকালের আইফোনের অনেক ফিচারই যুক্ত করা হয়েছে, যেমনঃ আইফোন ৫এস’র ডিজাইন, ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, আইফোন ৬এস’র প্রসেসর, ক্যামেরা প্রভৃতি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

like my page plz

Leave a Reply