রাজধানীতে প্রতিদিন ১৩০ মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য মজুদ হয়। যা পরিবেশ ও মানব জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আর সেই পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উদ্ভাবন করেছে স্কুলছাত্র মকলেসুর রহমান ইমন।
মকলেসুর রহমান ইমন ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলায় আরজি চন্দন চহট গ্রামের রেজাউল করিম এবং মালেকা খাতুনের ছেলে। মকলেসুর রহমান ইমন দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দরের আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
সে এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৩১ মার্চ ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৬’ প্রতিযোগিতায় ‘দৈনন্দিন বিজ্ঞান’ জুনিয়র গ্রুপে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ হতে জ্বালানি তেল উদ্ভাবনী বিষয়ে সে চ্যাম্পিয়ন হয়।
মকলেসুর রহমান ইমন ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতায় দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথমে জেলা এবং গত ২৪ মার্চ রংপুর বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপরে ৩১ মার্চ জাতীয় পর্যয়ে প্রতিযোগিতাটি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন করে আসা সেরাদের মধ্যে আমেনা-বাকী স্কুলের ছাত্র ইমন চ্যাম্পিয়ন হয়।
মকলেসুর রহমান ইমন তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ৫ম শ্রেণিতে পড়ার সময় নতুন কিছু করার অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাকে আবিষ্কারের পথে এগিয়ে নিয়ে আসে। আর ৮ম শ্রেণিতে থাকাকালে সে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ থেকে জ্বালানি তেল উদ্ভাবন করে পেয়ে যায় তার স্বীকৃতি।
ইমন বলেন, ‘পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এই প্লাস্টিক পঁচতে ৪শ বছর সময় লাগে। শুধুমাত্র রাজধানীতেই প্রতিদিন ১শ ৩০ মেট্রিক টন বর্জ্য মজুদ হয়। যা আমাদের পরিবেশ ও মানব জীবনে মারাত্মক হুমকি। তাই এই প্লাস্টিক বর্জ্যকে পুনরায় ব্যবহার করে জ্বালানি তেল উদ্ভাবন করলে একদিকে জ্বালানি কাজে লাগানো যাবে অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে। আমেনা-বাকী স্কুলের শিক্ষক, আমার সহপাঠিরা জ্বালানি উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার গঠন প্রণালী, কার্যপ্রণালী ও উপকরণ সংগ্রহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছে বলে আমি সফল হয়েছি।’
আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানর রহমান জানান, জাতীয় পর্যায়ে মকলেসুর রহমান ইমন দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী হওয়ায় আমরা গর্বিত।