আশা করি সবাই ভালো আছেন। অনেক দিন পর আবার লিখতে
বসলাম। মূলত আমাদের আজকের বিষয়টা হলো Visual Effects(VFX)।
আমরা ধাপে ধাপে Visual Effects সম্পর্কে পুরো বিস্তারিত
জানবো।… 🙂

VFX কি?

আসলে আমরা সকলেই Visual Effects সম্পর্কে মোটামটি
পরিচিত। Visual Effects হলো অবাস্তবকতাকে বাস্তবে প্রকাশ
করা যদি তার উপস্থিতি সেখানে ছিলো না। সহজ ভাষায়
কম্পিউটার গ্রাফিক্স এর মাধ্যমে কোন কিছুকে তৈরি করা। 🙂

VFX এর প্রকারভেদ?

VFX কে মুলত সহজে প্রকারভেদ করা যায় না কারন এর সংখ্যা
অসংখ্য এবং অনেক গুলোর সাথে অনেক গুলো মিলে যায়।
কিন্তু কিছু VFX কে প্রকারভেদে ফেলা যায় যাদের মধ্যে
তেমন মিল নেই। একটি থেকে আরেকটি আলাদা।

১.লাইভ অ্যাকশানঃ এটি আমাদের কাছে অতিপরিচিত
একটি ভিএফএক্স।এটি হলো মুলত Keying। অর্থাৎ কোনো
ভিডিও রেকর্ডের সময় ব্লু স্ক্রীন(নীল কাপড়) অথবা গ্রীন
স্ক্রীন(সবুজ কাপড়) ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে সেই ভিডিও
এর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা হয়।

২.ম্যাট পেইন্টিং: এটি হলো লাইভ অ্যাকশান থেকে আরও
বেশি উন্নত ভিএফএক্স।এটিতে কোনো প্রকার স্ক্রীন
ছাড়াই বদলে দেয়া হয় ভিডিও এর ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে শুরু
করে যে কোনো অংশ।এমন কি একটি Still Picture কে Motion
Picture এ রুপান্তরিত করা যায়। উদাহরণ সরূপ বলা যায় ধরুন
আপনি একটি সমূদের ছবি তুললেন এবং অন্য কোথাও থেকে
সমুদ্রের ঢেউ এর ভিডিও ডাউনলোড করে নিলেন। আপনি এই
সমুদ্রের ঢেউ এর Movement টা আপনার সমূদের ছবিতে ব্যবহার

করে আপনার ছবিকেই ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন।

৩.ডিজিটাল এনিমেশনঃ এনিমেশনও ভিএফএক্স এর মধ্যে
পরে। এনিমেশন 2D বা 3D যেকোনোটা হতে পারে।
মডেলিং,ট্যাক্সচারিং,রিগিং সব গুলই এই ডিজিটাল
এনিমেশন এর অংশ।মুলত এই ভিএফএক্স এ কোনো ২ডি বা ৩ডি
কনটেন্টকে ভিডিও এর সাথে যুক্ত করা হয়।

৪.সিজিআইঃ VFX এর বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় রূপ হলো
সিজিআই। যার ব্যবহার আপনার চোখকেউ ধোঁকা দিতে
পারে। কোনো জিনিসকে কম্পিউটার গ্রাফিক্স এর
মাধ্যমে বাস্তবের সাথে মিল রেখে বানানই হলো
সিজিআই। অর্থাৎ সিজিআই এ একটি বাস্তব মানুষকেও তৈরি
করা যায় কম্পিউটার গ্রাফিক্স এর মাধ্যমে।
ব্যবহার
বর্তমানে কম্পিউটার গ্রাফিক্স কথা যেখানে আসে
সেখানে ভিএফএক্স চলেই আসে। মিলিয়ন বিলিয়নের
জাগাতেও এর ব্যবহার।

৫.ফিল্ম মেকিং: বর্তমান এই প্রযুক্তির সময় ভিএফএক্স প্রায় সব
মুভিতেই ব্যবহার করা হয়।আর তা যদি হলিউড হয় তাহলে কথাই
নেই।হলিউডের এতো সাই-ফাই মুভি দেখি তা সব এই
ভিএফএক্স এর কেরামতি।

৬.গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ভিএফএক্স যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর
অংশ তেমনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ ভিএফএক্স ব্যবহার করা
হয়। লোগো ডিজাইন,এনিমেশন,আর্কিটেকচার ইত্যাদিতে
ভিএফএক্স ব্যবহার করা হয়।

৭.গেম ও এনিমেশন মেকিং: গেম ও এনিমেশন মেকিং এ এখন
ভিএফএক্স ব্যাবহিত হয়। তাই বড় বড় গেম ও এনিমেশন মেকিং
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার জন্য ভিএফএক্স সম্পর্কে জ্ঞান
থাকা প্রয়োজন।

VFX সফটওয়্যার

VFX এর অনেক সফটওয়্যার থাকলেও। কিছু পরিচিত সফটওয়্যার
রয়েছে।এগুলো হলঃ

১. Adove After Effects
২. BlackMa gic Design DaVinci Resolve 11
৩. Cinema 4D
৪. Autodesk Maya 2016
৫. Blender
৬. Adobe Premiere Pro CS6
৭.Nuke
৮.Adove SpeedGrade CC
এই পর্বে আপনাদের প্রাথমিক ধারণা দিলাম ভিএফএক্স
সম্পর্কে।আগামীতে আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো। 🙂
.
.
.
.
.
.
এই পোষ্টটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় নিম্নল্লিখিত ঠিকানায় 🙂

প্রযুক্তির সর্বশেষ খবর পেতে TrickBD.Com এর পাশাপাশি 🙂 TrickNewsBD.Com 🙂 এর সাথেই থাকুন।

4 thoughts on "Visual Effects( VFX ) ও কম্পিউটার গ্রাফিক্স সম্পর্কে জানুন যা দিয়ে শাহরুখ খানের ফ্যান মুভি নির্মিত।"

  1. titu Contributor says:
    এই গুলার লিনক দিলে ভালো হত
  2. SagorSrkian Author Post Creator says:
    যেমন??? পরের পোষ্টে দিতে চেষ্টা করব!
    🙂
  3. @ishan Subscriber says:
    পুরে ১৯৯৭ সালে যে চেহারা সে চেহারার মতো দেখা গিয়েছিলো
    1. SagorSrkian Author Post Creator says:
      😀 একদম ঠিক বলছো।

Leave a Reply