বদলে গেছে পৃথিবীর
চেহারা। মাদাগাস্কার দ্বীপের
রঙটা এখন বিবর্ণ। ঠিক একই রকম
পাংশু চেহারা হয়েছে
ব্রাজিলেরও। চিরহরিৎ অরণ্যরা
আজ ছুটি নিয়েছে। তাদের ছুটি
দিয়েছে মানুষই।

কেমন দেখতে লাগছে
পৃথিবীকে? এ বার সেই ছবিই ধরা
পড়েছে মহাকাশ থেকে তোলা
তথ্যচিত্র ‘আ বিউটিফুল
প্ল্যানেট’-এ। ২৯ এপ্রিল
আমেরিকায় মুক্তি পাচ্ছে
ছবিটি।
হলিউডের সঙ্গে জুটি বেঁধে
তৈরি হওয়া এই ছবিটি বানানো
সহজ ছিল না। নাসার
মহাকাশবিজ্ঞানীরা
জানিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল
স্পেস স্টেশন (আইএসএস) বা
মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে
কোন ক্যামেরায় ছবিটি শ্যুট
করা হবে তা নিয়ে প্রথমে ধন্দ

ছিল খানিক। আর তা কাটতেই
প্রায় তিন বছর লেগে যায়।
ছবিটির চিত্র-নির্দেশক জেমস
নেহাউজের দাবি, পৃথিবীর এমন
দৃশ্য আগে চাক্ষুষ করেননি কেউ।
আইএসএসের একটি পর্যবেক্ষণ
কেন্দ্র কুপোলা। যেখান থেকে
পৃথিবীকে ১৮০ ডিগ্রির মতো
বিশাল ক্ষেত্র জুড়ে দেখা যায়।
জেমস জানিয়েছেন, পৃথিবীর
সেই ছবিই এ বার ধরা পড়েছে
তাঁদের তথ্যচিত্রে।
ছবিটির টিমে ছিলেন
মহাকাশচারী স্কট কেলি, জেল
লিন্ডগ্রেন, সামান্থা
ক্রিস্টোফোরেটি এবং মহাকাশ
বিজ্ঞানী টেরি ভার্টস ও
ব্যারি উইলমোর। গবেষণা এবং
অন্যান্য কাজ সেরে শ্যুটিং-এর
ফুরসত মিলত মূলত রাতে আর
সপ্তাহান্তে।
কিন্তু কাজ সেরে শ্যুটিং—
তাতে আদৌ ক্লান্তি বোধ
করতেন না তাঁরা। বরং এটা
তাঁদের কাছে একটা অক্সিজেন।
একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। যে
প্রযোজনা সংস্থা থেকে মুক্তি
পেতে চলেছে ছবিটি, সে
সম্পর্কে লিন্ডগ্রেন বলেছেন,
‘‘ওটা ছোটখাটো একটা ফিল্ম
স্কুল।’’
এই ছবিতে যেমন ধরা পড়েছে
পৃথিবীর বিবর্ণ চেহারাটা।
তেমনই ফুটে উঠেছে তার বিভিন্ন
উজ্জ্বল রঙও। ছবির পরিচালক
টোনি মায়ার্সের কথায়, পৃথিবীর
উপর মানুষের প্রভাবটা তুলে
ধরাই এ ছবির লক্ষ্য।
শুধু ধ্বংস নয়, মানুষ যে আবার
সুন্দর করে তুলতে পারে এ
পৃথিবীকে তা-ই বোঝাতে
চেয়েছেন তাঁরা।

♦♦♦♦Visit My Site .. ♦♦♦

Leave a Reply