১৪ বিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে
হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নিয়ে কার্যত
প্রযুক্তি বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে
ফেসবুক ৷ অনেকের মনেই প্রশ্ন, কী এই
হোয়াটসঅ্যাপ? কেনই বা এত দাম
তার? চলুন নজর দেয়া যাক,
হোয়াটসঅ্যাপের ইতিহাসের দিকে ৷
ইয়াহুর দুই সাবেক কর্মী ব্রায়ান অ্যাক্টন
এবং জ্যান কুম ২০০৯ সালে
হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠান করেন ৷ মূলত
ইংরেজি শব্দ ‘হোয়াটস আপ’ থেকে
‘হোয়াটসঅ্যাপ’ নামটি নিয়েছেন
তারা ৷
আর ধারণাটা অনেকটা স্কাইপের
মতোই৷ এক স্মার্টফোন থেকে আরেক
স্মার্টফোনে মেসেজ পাঠানো
যাবে বিনা খরচায়, মুঠোফোন
সেবাদাতার ইন্টারনেট সংযোগ
ব্যবহার করে৷ এক্ষেত্রে বাড়তি
কোনো ডাটা চার্জ প্রযোজ্য হবে
না ৷ স্কাইপও একই পদ্ধতিতে ভয়েস
ডাটা ট্রান্সফার করে ৷
হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠাতারা শুরু
বিজ্ঞাপনদাতা, গোয়েন্দা সংস্থার
নিয়ন্ত্রণ থেকে দূরে রেখেছেন ৷ এই
অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য যাতে
তৃতীয় কোনো পক্ষ না পায়, সে
ব্যাপারে সচেষ্ট তারা ৷ নীতিগত এসব
ব্যাপার ব্যবহারকারীদের আস্থা
অর্জনে সহায়তা করেছে ৷
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফেসবুক বিপুল
অর্থের বিনিময়ে অ্যাপ-টি কিনে
একটি ভিন্ন ইঙ্গিত দিচ্ছে ৷ অনলাইন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই
ওয়েবসাইটটি এখন মুঠোফোন এবং
ট্যাবলেটের দিকে নজর দিচ্ছে৷ কারণ
মানুষ এখন ক্রমশই কম্পিউটারের চেয়ে
বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের
বেশি আগ্রহী ৷ তাই ব্যবসার স্বার্থে
মোবাইল ডিভাইসেও নিয়ন্ত্রণ
প্রতিষ্ঠা জরুরি ৷
শুধু ফেসবুক নয়, মাইক্রোসফটও ভবিষ্যৎ
দেখছে মোবাইল ডিভাইসে ৷ যে
কারণে কিছুদিন আগে পাঁচ বিলিয়ন
ইউরোর বেশি খরচ করে নোকিয়ার
মোবাইল ইউনিট কিনে নেয়
প্রতিষ্ঠানটি ৷
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ যে কেউ
বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন৷ তবে
ব্যবহারের দ্বিতীয় বছর থেকে ৯৯ সেন্ট
ব্যবহার করে স্মার্টফোন থেকে
সহজেই ছবি, ভিডিও, অডিও এবং টেক্সট
মেসেজ পাঠানো যায় ৷ মেসেজ
পাঠানোর বিকল্প এই উপায় দ্রুতই
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের নজর
কাড়ে ৷
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর
সংখ্যা ৪৫০ মিলিয়নের বেশি ৷
প্রতিদিন পাঁচ বিলিয়ন মেসেজ
আদানপ্রদান হয় এই অ্যাপের মাধ্যমে৷
ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত
প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে রয়েছেন ৫০
জন কর্মী৷ এদের মধ্যে ত্রিশজনই
ইঞ্জিনিয়ার ৷
BDprizukti.blogsopt.in