একটা সময় ছিল যখন সেলফোন ব্যবহারকারীরা কেবল ভয়েস কল এবং মিনিট নিয়েই চিন্তা করতো কিন্তু এখন ব্যাপারটা ভিন্ন কেননা এখন আর মোবাইল ফোন কথোপকথনে সীমাবদ্ধ নয়। এখন মানুষ মোবাইলে কথাবলার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্রাওজিং, ফেসবুকিং, স্কাইপ চ্যাট ও অন্যান্য ইন্টারনেটের ব্যবহার করে থাকে। ফলে এখন শুধু ভয়েস মিনিট নিয়ে ভাবলেই হয়না বরং ভাবতে হয় বিভিন্ন ডাটা প্ল্যান নিয়েও।
আনলিমিটেড ডাটা প্ল্যান থাকা সত্তেও দেখা যায় কয়েক গিগাবাইট বার্ন করার পরে উচ্চগতির সংযোগ ফিরে ডায়াল-আপের কাছাকাছি চলে আসে অথবা খুব তাড়াতাড়ি লিমিটেড ডাটা প্ল্যান শেষ হয়ে যায়। কীভাবে মোবাইলে ডেটা খরচ কমাবেন? জেনে নিন, চারটি সহজ কৌশল—
১. ফেসবুক অ্যাপ: ফেসবুক অ্যাপ খুলুন। ডানদিকের উপরের কোণে ‘সেটিংগস-এ ক্লিক করুন। তারপর যান ‘অ্যাপ সেটিংগসে’। ‘অটোপ্লে’-তে ক্লিক করে ‘নেভার অটোপ্লে ভিডিওজ’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। এতে ফেসবুকে আপনা-আপনি ভিডিও চলা বন্ধ হবে। বাঁচবে আপনার মোবাইল ডেটাও।
এছাড়া মোবাইলে ডাউনলোড ও ইনস্টল করে নিন ফেসবুক লাইট অ্যাপটি। এতে ফেসবুকের পিছনে ডেটা খরচ অনেকটা কমবে।
২. হোয়াটস অ্যাপ: ‘সেটিংগস’-এ যান, ‘নেটওয়ার্ক’-এ ক্লিক করুন। ‘মিডিয়া অটো ডাউনলোডে’র ভিতরে ‘হোয়েন ইউজিং মোবাইল ডেটা’ অপশনটিকে ক্লিক করে ‘ডকুমেন্টস’ সিলেক্ট করুন। ‘হোয়েন রোমিং’-এ সিলেক্ট করুন ‘নো মিডিয়া’। ‘কল সেটিংগস’-এ ‘লো ডেটা ইউসেজ’ অপশনটি সিলেক্ট করে রাখুন। এতে হোয়াটস অ্যাপে ডেটা খরচ কমবে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ফোটো ও ভিডিও ডাউনলোড হতে পারবে না।
৩. ইউটিউব: ইউটিউব-এ ভিডিও দেখার সময়ে খয়েরি রং-এর তির চিহ্নটির উপরে ট্যাপ করুন। ‘সেভ ওভারনাইট’ অপশনটিকে সিলেক্ট করুন। এতে আপনার মোবাইলের সার্ভিস প্রোভাইডারের পরিষেবা অনুসারে যখন ডেটা রেট কম থাকবে সেই সময়ে আপনার অফলাইন ভিউইং-এর জন্য ভিডিওটি সেভ হয়ে থাকবে। পরে আপনি সুবিধামতো অফলাইনে দেখতে পারবেন ভিডিওটি। এতে ভিডিও দেখার জন্য ডেটা খরচ কমবে। তবে এই সুযোগ ভারতে সমস্ত মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের কানেকশনে পাওয়া যাবে না।
৪. গুগল ক্রোম: ‘সেটিংগস’-এ যান, ‘অ্যা়ডভান্সড’ অপশনের ভিতরে ‘ডেটা সেভার’ অপশনটিকে অন করে দিন। পাশাপাশি ‘রিকোয়েস্ট ডেস্কটপ সাইট’ অপশনটিকে আনচেক করে রাখুন। এতে ব্রাউজিং-এর সময়ে ডেটা খরচ কমবে।
plz Tuner me