আসসালামু আলাইকুম।
কার্বোহাইড্রেটস হলো ফল, দানাদার খাদ্যশস্য, সবজি এবং দুধজাত খাদ্যে থাকা চিনি (sugar), শ্বেত সার (starch) ও আঁশ (fibers)। যদিও অনেক সময় ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তথাপি স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য মৌলিক খাদ্যগোষ্ঠীগুলোর একটি কার্বোহাইড্রেটস।
আমাদের দেহ যে তিনটি প্রধান পুষ্টি উৎস থেকে শক্তি ও ক্যালোরি গ্রহণ করে তার একটি কার্বোহাইড্রেটস। কার্বোহাইড্রেটস এর রাসায়নিক উপাদানগুলো হলো- কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন। আর এ কারণেই এর নাম রাখা হয়েছে কার্বোহাইড্রেটস।
প্রধান তিনটি পুষ্টি উৎস হলো- কার্বোহাইড্রেটস, প্রোটিন এবং ফ্যাট বা চর্বি। মানব দেহের কার্যক্রম সঠিকভাবে সচল রাখার জন্য এই তিনটি উৎস থেকেই প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হয়।
প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে অন্তত ১৩৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে প্রত্যেককেই স্বাধীনভাবে নিজেদের কার্বোহাইড্রেটস গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কথাও বলা হয়। আর বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই কার্বোহাইড্রেটস গ্রহণের মাত্রা মোট ক্যালোরি গ্রহণের ৪৫ থেকে ৬৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এক গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস এর সমান ৪ ক্যালোরি। সুতরাং প্রতিদিন ১৮০০ ক্যালোরির খাবারে অন্তত ২০২ থেকে ২৯২ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেটস থাকে। ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তদের প্রতিদিন গ্রামের বেশি কার্বোহাইড্রেটস সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত নয়। আর গর্ভবতী নারীদের প্রতিদিন অন্তত ১৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস খাওয়া উচিত।
কার্বোহাইড্রেটস এর কাজ কী?
কার্বোহাইড্রেটস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের (central nervous system) জন্য জ্বালানী এবং কাজের মাংসপেশীগুলোর জন্য শক্তির যোগান দেয়। এছাড়া তারা প্রোটিনকে শক্তির উতস হিসেবে ব্যবহৃত হতে বাধা দেয় এবং চর্বি হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে।
সরল বনাম জটিল কার্বোহাইড্রেটস
কার্বোহাইড্রেটসকে দুভাগে ভাগ করা হয়- সরল ও জটিল। সরল কার্বোহাইড্রেটস দ্রুত হজম হয় আর জটিল কার্বোহাইড্রেটস হজমে দীর্ঘ সময় লাগে।
ফল, দুধ, চিনি এবং কিছু কিছু সবজি এবং প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত চিনিতে তৈরি খাদ্যে সরল কার্বোহাইড্রেটস পাওয়া যায়। এসব খাদ্যে ভিটামিন, খনিজ পুষ্টি এবং আঁশ থাকে না। এগুলোকে বলা হয় “শুন্য ক্যালোরি” এবং এসব খাবারে দ্রুত ওজন বাড়ে। এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
জটিল কার্বোহাইড্রেটস এর উতস হলো- শিম, মটর দানা, ডাল, বাদাম, আলু, শস্য, গাজরজাতীয় সবজি, রুটি, গম ও চাল জাতীয় পুর্ণ খাদ্যশস্য। এসব খাবারে থাকা কার্বোহাইড্রেটস জটিল হওয়ায় হজমেও বেশি সময় লাগে এবং দেহের জন্য আরো টেকসই শক্তির যোগান দেয়।
ধন্নবাদ। পোস্টি পড়ার জন্ন।
সময় হলে আমার সাইট টা একবার ভিসিট কইরেন আসাকরি ভালো লাগবে –