সকল বন্ধুদের আমার সালাম।আসলে আমার Youtubr চেনেল আছে সেজন্য আমাকে এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।আর আমি কন্টিবিউটার যার ফলে পোস্ট করলে পাবলিশ হতে অনেক দেরি হয়।তো চলেন টিউনে ফিরে যাই।

পাঁচ বছর আগে গুগলের ভিডিও সেবার সাইট ইউটিউব তাদের পার্টনার প্রোগ্রাম সবার জন্য উন্মুক্ত করে। এটি ছিলো সত্যিকার অর্থেই অনেক বড় একটি কাজ। কারণ এর মানে হচ্ছে যে কেউ চাইলে ইউটিউবে একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং তাদের আপলোড করা ভিডিও থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন। এই মডেলটি বড় ধরনের ভিডিও চ্যানেল তৈরিতে অনেক বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। পাশাপাশি বেশ কিছু সমস্যারও তৈরি করেছে। এ জন্য এবার কঠোর হচ্ছে গুগল কর্তৃপক্ষ।

এত দিন ইউটিউবে চ্যানেল খুলে এক ভিডিওর নামে অন্য ভিডিও দিয়ে দর্শকদের ধোঁকা দেওয়ার প্রবণতা ছিল। ‘ভিউ’ বাড়ানোর চেষ্টায় অনেক চ্যানেলে আপত্তিকর কনটেন্ট দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় ভিডিওর থাম্বনেইলে থাকে আকর্ষণীয় বিষয়ের ছবি, কিন্তু ভেতরে থাকে বিরক্তিকর ভিডিও। এতে যেমন দর্শক ওই ভিডিওতে বিরক্ত হন, তেমনি বিরক্ত হন বিজ্ঞাপনদাতারাও।

বৃহস্পতিবার থেকে গুগল কর্তৃপক্ষ ইউটিউব চ্যানেলগুলোর জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চালু করেছে। এ ছাড়া যেসব চ্যানেলে ১০ হাজারের কম ভিউ রয়েছে, সেগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গুগল কর্তৃপক্ষ বলছে, আপত্তিকর ও পাইরেটেড ভিডিও প্রদর্শন করে অর্থ আয়ের সুবিধা বন্ধ করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এর মূল কারণ হচ্ছে আপত্তিকর কনটেন্ট বা ভিডিওর জন্য ইউটিউবে বিজ্ঞাপন বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ড। বিষয়টি নিয়ে গুগলও বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে। ব্র্যান্ডগুলো মনে করছে, আপত্তিকর ভিডিওতে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানো হলে মানুষ ইউটিউবের ওই ভিডিওর সঙ্গে তাদের ব্র্যান্ডের তুলনা করবে।

এ সম্পর্কে গুগলের পণ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিয়েল বারডিন বলেছেন, নতুন মান নির্ধারণ করার ফলে কোনো চ্যানেলের বৈধতা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য থাকবে। কমিউনিটি গাইডলাইন বা বিজ্ঞাপন নীতিমালা মানা হচ্ছে কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। যারা অর্থ আয় করার লক্ষ্যে নতুন করে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন, (নিউ ক্রিয়েটরস) তাদের জন্য পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে গুগলের।

যখন কোনো চ্যানেলের ভিউ বা ভিডিও দর্শক ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে, তখন ওই চ্যানেলের ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। যদি ওই ভিডিও ইউটিউবের কোনো নীতিমালা ভঙ্গ করে, তখন আর বিজ্ঞাপন পাবে না। এই প্রক্রিয়ার ফলে এখন থেকে শুধু প্রকৃত ও নিয়মনীতি অনুসরণকারী ভিডিও নির্মাতারাই আয়ের সুযোগ পাবেন।

গুগলের এখন একই সাথে বিজ্ঞাপনদাতাদের খুশি করতে হবে অন্যদিকে ভিডিও নির্মাতাদের প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে। আর এ কাজে সম্প্রতি নতুন একধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্বলিত প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ইউজারদের ইউটিউব ভিডিওর নীতিমালা মানতে বাধ্য করা হবে। নইলে চ্যানেল ব্যান করে দেয়া হবে। এতে বিজ্ঞাপনদাতাদের চোখে আপত্তিকর ভিডিওগুলোকে বাছাই করতে সুবিধার পাশাপাশি তাদের পছন্দগুলোকেও প্রতিফলিত করবে।

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে টাইমস নিউজপেপার অব লন্ডন ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিলে প্রথম হোচট খায় গুগল। পরে এটিঅ্যান্ডটি, ভেরিজনের মতো প্রতিষ্ঠান ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়। এরপর থেকেই বিজ্ঞাপন নীতিমালার ক্ষেত্রে কঠোরতা আনার পরিকল্পনা নেয় গুগল। তাই এখন ইউটিউব চ্যানেল খুলে অর্থ আয় করতে হলে প্রকৃত কনটেন্ট সরবরাহ করার পাশাপাশি ১০ হাজার ভিউ থাকতে হবে। তা না হলে চ্যানেলের জন্য কোনো অর্থ দেবে না গুগল।

এদিকে গুগলের প্রধান প্রতিযোগী ফেসবুকও তাদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন বসাতে শুরু করেছে। এখন বিজ্ঞাপণদাতারা গুগল থেকে ফেসবুককেই বেশি পছন্দ করছেন। ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা এখন ইউটিউব থেকে ফেসবুকের দিকেই বেশি ঝুঁকবেন। গুগলের এই সিদ্ধান্তে ফেসবুকের ব্যবসার সুযোগ আরও অনেক বেড়ে গেল।

5 thoughts on "ইউটিউব ভিডিও থেকে টাকা আয় করার নতুন ‘কঠিন’ নিয়ম।"

  1. ℝ???? ℍ???? Author says:
    আপনার প্রথম পোস্ট দেখতে আসলাম ।

    কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে ।

    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      কেন
  2. ℝ???? ℍ???? Author says:
    ১.নিজের পোস্টে নিজের কমেন্ট ছাড়া অন্য কারো কমেন্ট নেই ।
    ২.লেখার মান টা মোটামুটি ভালো।
    ৩.টপিকটা কেমন গোলমেলে ।
    1. MD Shakib Hasan Contributor Post Creator says:
      ?

Leave a Reply