টেলিভিশন:

তােমরা সবাই টেলিভিশন দেখেছ এবং জানাে যে টেলিভিশন এমন একটি যন্ত্র যেখানে দূরবর্তী

কোনাে টেলিভিশন সম্প্রচার স্টেশন থেকে শব্দের সাথে সাথে ভিডিও বা চলমান ছবিও দেখতে পাই। 1926 সালে জন লগি বেয়ার্ড প্রথম টেলিভিশনের মাধ্যমে ভিডিও বা চলমান ছবি।

পাঠিয়েছিলেন। তাঁর পদ্ধতিটি ছিল একটি যান্ত্রিক পদ্ধতি, পরে ইলেকট্রনিকস ব্যবহার করে ছবি।

পাঠানাের পদ্ধতিটি আরাে আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।

টেলিভিশন

আগের টেলিভিশন

বর্তমান টেলিভিশন

রেডিও ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার কীভাবে কাজ করে :

 

সেটি যদি তােমরা বুঝে থাকো তাহলে

টেলিভিশন কীভাবে কাজ করে সেটিও খুব সহজেই বুঝতে পারবে। টেলিভিশনে শব্দ এবং ছবি।

আলাদা সিগন্যাল হিসেবে পাঠানাে হয়। শব্দ পাঠানাের এবং গ্রাহক যন্ত্রে সেটি গ্রহণ করে শােনার

বিষয়টি ইতিমধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে আমরা ছবি পাঠানাের বিষয়টি ব্যাখ্যা করি।

চলমান ছবি বা ভিডিও পাঠাতে হলে প্রতি সেকেন্ডে 25 টি স্থির চিত্র পাঠাতে হয় এবং আমাদের

চোখে তখন সেগুলােকে আলাদা আলাদা স্থির চিত্র মনে না হয়ে একটি চলমান ছবি বলে মনে হয়।

টেলিভিশনে রঙিন ছবি পাঠানাের জন্য টেলিভিশন ক্যামেরা প্রতিটি ছবিকে লাল, সবুজ ও নীল (RGB:

Red, Green and Blue) এই তিনটি মৌলিক রঙে ভাগ করে তিনটি আলাদা ছবি তুলে নেয়।

 

টেলিভিশন ক্যামেরার ভেতরে আলােকে সিসিডি (CCD: Charge Coupled Device) ব্যবহার করে।

বৈদ্যুতিক সিগন্যালে রূপান্তরিত করা হয়। এই বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে উচ্চ কম্পাঙ্কের বাহক তরঙ্গের সাথে যুক্ত করে অ্যান্টেনার ভেতর দিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়া হয় (চিত্র 13.14)।

গ্রাহক যন্ত্র বা টেলিভিশন সেট তার অ্যান্টেনা দিয়ে উচ্চ কম্পনের বাহক তরঙ্গকে গ্রহণ করে এবং

রেকটিফায়ার দিয়ে বাহক তরঙ্গকে সরিয়ে মূল ছবির সিগন্যালকে বের করে নেয়। আগে এই

সিগন্যাল থেকে তিন রঙের তিনটি ছবিকে ক্যাথােড রে টিউব নামের পিকচার টিউবে তার স্ক্রিনে ইলেক্ট্রনিকন গান দিয়ে প্রক্ষেপণ করা হত। এখন পিকচার টিউব প্রায় উঠে গিয়েছে এবং এলইডি

Emitting Diode) তার জায়গা দখল করেছে। এখানে ইলেকট্রন গান দিয়ে

ইব তেরি না করে লাল, সবুজ ও নীল রঙের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলইডিতে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে ছবি

য করা হয়। এলইডি টেলিভিশনে ছবির ঔজ্জ্বল্য অনেক বেশি এবং গুণগত মানও অনেক ভালাে।

সম্প্রচার

এখানে উল্লেখ্য যে এন্টেনার সাহায্যে টেলিভিশনের সিগন্যাল পাঠানাে ছাড়াও কো এক্সিয়াল ক্যাবল।

দয়েও সগন্যাল পাঠানাে হয়। এই ধরনের টিভির সম্প্রচার ক্যাবল টিভি নামে পরিচিত। এছাড়া

সাটেলাইট টিভি নামে এক ধরনের টিভি অনুষ্ঠানের সম্প্রচার করা হয়। এটি মহাকাশে পাঠানাে

‘ উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি পৃথিবীতে পাঠানাে হয়।

টেলিভিশন নিয়ে আরোও জানতে ভিসিট করুন উইকিতে –টেলিভিশন ইতিহাস

এবং ভিসিট করুন বাংলাপেনে

2 thoughts on "টেলিভিশনের ইতিহাস : টেলিভিশন কিভাবে কাজ করে এবং সম্প্রচার প্রক্রিয়া"

  1. rex boy Contributor says:
    Valo post, but aro onek thonno dewa hoyni. Aro tottho sombolito hole valo lagto
    1. Sajeeb Ahmed Author Post Creator says:
      dhonnobad..

Leave a Reply