আসসালামুআলাইকুম।কেমন আছেন ভাই ও
বন্ধুরা ??? আমি মহান আল্লাহ্র অশেষ
মেহেরবানিতে ভালোই আছি।আজ
আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু
জিনিসের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে
ধরবো।নিচের থেকে বিস্তারিত
পড়তে থাকুন।আশাকরি ভালো লাগবে
ও অনেক কিছু শিখতেও পারবেন।
তাহলে শুরু করলাম।

শরীরে চুলকানি অনুভব কেন হয়???

চামড়ার ব্যথার স্নায়ুগুলো মশার
কামড়,চামড়ার শুষ্কতা ও বিভিন্ন প্রকার
অ্যালার্জির প্রভাবে স্বল্প পরিমাণে
উত্তেজিত হলেই সাধারণত আমরা ব্যথা
অনুভব না করে চুলকানি অনুভব করি।

দুধ গরম করার সময় উপচে পড়ে কেন???

দুধ গরম করলে এতে বিদ্যমান প্রোটিন ও
ফ্যাট এর উপর পাতলা ক্রিমের স্তর
তিরী করে জলীয়বাষ্পকে উড়ে যেতে
বাধা সৃষ্টি করে।আর বাষ্পই দুধকে উপচে
পড়তে বাধ্য করে।

পেঁয়াজ কাটলে চোখে পানি আসে
কেন???

পেঁয়াজে বিদ্যমান অ্যামিনো
এসিডের সালফোক্সাইড যৌগ পেঁয়াজ
কাটার সময় পেঁয়াজ থেকে নিঃসৃত
অ্যালিনেজ নামক এনজাইম দ্বারা
উদ্বায়ী সালফোনিক এসিড তিরী
করে।আর এটা চোখের পানির সাথে
বিক্রিয়া করে মৃদু সালফিউরিক এসিড
উৎপন্ন করে,যার প্রভাবে চোখে পানি
আসে।

চুল ও নখ কাটলে ব্যথা লাগে না
কেন???

প্রাণীর শরীরের প্রতিটি অংশেই
স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত স্নায়ুতন্ত্র
বিদ্যমান, যা স্পর্শ, তাপ, চাপ ইত্যাদি
অনুভূতি জন্মায়।কিন্তু চুল ও নখে এ
কোষগুলো মৃত হওয়ায় এগুলো কাটলে
ব্যথা লাগে না।

আমাদের শরীর গরম থাকে কেন ???

আমাদের গ্রহণকৃত খাদ্যবস্তু জারণ
প্রক্রিয়ায় দহনের মাধ্যমে তাপশক্তি
(প্রতিদিন সাধারণত ২৫০০ ক্যালরি)
উৎপন্ন করে বলে আমাদের শরীর গরম
থাকে এবং তাপশক্তি শরীরের
বিভিন্ন অংশকে বিভিন্ন কাজ করতে
সক্ষম করে তোলে।

গরমে কিছু ধরলে হাত পোড়ে কেন ???

আমাদের শরীর কোষ এবং কোষগুলো
অসংখ্য অণু দ্বারা গঠিত।সুস্থ অবস্থায়
স্বাভাবিক তাপে অণুগুলো গতিশীল
থাকে।গরম কিছু স্পর্শ করলে এগুলোর
গতি বেড়ে কোষগুলো ভাঙ্গতে শুরু
করে ও পোড়ার অনুভূতি জন্মায়।এ সময়
রক্ত দ্রুত চলাচল করে তা মেরামত করার
চেষ্টা করে।এতে ত্বকে লাল দেখায়।
এভাবে গরম খুব বেশি হলে কোষ
পুরোপুরি নষ্ট হয়ে পুড়ে যায়।

মানুষের মুখে ব্রন কিভাবে হয় ???

মানুষের ত্বকের নিচের ছোট ছোট
“অয়েল গ্ল্যান্ড” থেকে ত্বকগ্রন্থির
ছিদ্রপথে সামান্য পরিমাণে তেল
বের হওয়ায় ত্বক নরম থাকে।কিন্তু
বাতাসের ধুলাবালি বা কোষের
বর্জনীয় পদার্থ কখনও কখনও এই ছিদ্রপথ বন্ধ
করে দিলে রক্তের শ্বেতকণিকা পুজে
পরিণত হয়ে এখানে ব্রনের সৃষ্টি করে।

সমুদ্রের পানি নোনা হয় কেন ???

নদী,বৃষ্টি ইত্যাদির পানি খনিজ পদার্থ
ও লবণসহ নানা উপাদান নিয়ে সমুদ্রের
পানিতে মিশে।পরবর্তীতে সূর্যের
তাপে পানি বাষ্প হয়ে উপরে উড়ে
গেলে উপাদানগুলো এখানেই থেকে
যায়।ফলে সমুদ্রের পানি লবণাক্ত হয়

মশা কানের কাছে ভন ভন করে কেন ???

মশা উড়ার সময় অতি দ্রুত পাখা ঝাপটায়
(সেকেন্ডে প্রায় ৩০০-৬০০ বার) বলে
কানের কাছে এলে এর ভন ভন শোনা
যায়।

আমরা ক্লান্তি বোধ করি কেন ???

অতিরিক্ত পরিশ্রমে মাংসপেশীতে
অক্সিজেনের ঘাটতি হলে অতিরিক্ত
শক্তি যোগাতে মাংস-পেশীর
সঞ্চিত গ্লাইকোজেন ফারমেন্টেশন
প্রক্রিয়ায় ল্যাকটিক এসিডে
রূপান্তরিত হয় এবং সেই সাথে ফ্যাটি
টক্সিন নামক জৈব বিষও তৈরি হয়।এই
এসিড ও জৈব বিষ রক্ত দ্বারা শরীরে
ছড়িয়ে পড়লেই আমরা ক্লান্ত বোধ
করি।
@ সংগ্রহিত- টেকটিউনস

One thought on "আমাদের চারপাশে নিয়মিত ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।কেউ এড়িয়ে যাবেন না।তাহলে জানার অপূর্ণতা থেকে যেতে পারে।"

Leave a Reply